somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দ্বিধাহীন খুনী

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৪:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

-আমি কি খুন করে ফেলেছি?
-অবশ্যই। নিজ হাতে গলা টিপে খুন করেছ; আবার একথা বল। এজন্যই তো তুমি দ্বিধা।
-খুব ভালো; তুমি সত্য। কিন্তু তুমি তো জয়ী হতে পারলে না।
জবাবে স্মিত হাসল সত্য।
হঠাৎ ভয় কথায় যোগ দিতে এল। সে-ও মনেরই আরেকটা অংশ। দ্বিধা আর সত্যের মত।
বলল-দেখ সত্য খুনটা যে হল তাতে শুধু যে আমাদের দুজনার দোষ তা কিন্তু নয়। আমাদেরও কিছু যুক্তি আছে।
-মিথ্যে বল না। তোমার ঐ যুক্তির মা হল ভয়। তুমি ’ও’কে ভয় পেতে বলেই যুক্তি দাঁড় করিয়েছ; দ্বিধাকে দলে টেনেছ। অথচ প্রচার করেছ তুমি দ্বিধাহীনভাবে খুন করেছ। একটু থেমে সত্য আবারও গর্জে উঠল। আর কতদিন ভয় হয়ে থাকবে? নিজেকে বাঁচাতে যুক্তির মুখোশ কতদিন পরবে তুমি?
একটু ভয় পেয়ে গেল দ্বিধা। চুপচাপ মিলিয়ে গেল সে।
ভয় বলল-দেখ সত্য ’ও’কে আমি কখনই বুঝতাম না। তাই ’ও’র জবাবও দেই নি। দিলে প্রতারণা হত।
-হুঁহ। ’ও’ কে বোঝেনা এমন একটা হৃদয় মনও সারা পৃথিবীতে নেই। ’ও’কে ভাষায় প্রকাশ করে যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা করবার প্রয়োজন হয় না। সমগ্র সত্তার অণু পরমাণু ’ও’কে অনুভব করতে পারে। জবাব দিয়ে চলে গেল সত্য, পড়ে রইল দ্বিধা।

অস্থির হয়ে পাশ ফিরে শুলাম। মনটাতে তোলপাড় চলছে। বুকের ঠিক গভীরে-একেবারে মাঝখানটায় যেন একটু শূন্যতা। পাশ বালিশটা আঁকড়ে ধরলাম; তাতেও যদি শূন্যতা একটু কাটে।

আমি খুব ভয় পেয়েছি। ’ও’ ফিরে এসেছে। আমি ’ও’কে হাত নেড়ে বিদায় জানালাম। সেই হাত নাড়ার অর্থ ’না’। কিন্তু আমার হাত দুটো ভীষণ বিব্রতকরার মত কাঁপছে। একটা অবলম্বন খুঁজল আমার হাত দুটো -আঁকড়ে ধরার জন্য। পেয়েছি। আমি আমার সমস্ত শক্তি দিয়ে জাপটে ধরলাম অবলম্বনটি। সে শক্তি দিতে গিয়ে আমার মস্তিষ্ক কান্ত হয়ে পড়ল। চোখ খুললাম আমি। ’ও’ চলে গেছে।

ভয় বলল-কাজটা ভুল হয়নি।
দ্বিধা দ্বিধা প্রকাশ করল-কিন্তু এটা যদি আমার দ্বিতীয় খুন হয়ে থাকে? আমি কি তবে ভুল কাজে সাহায্য করলাম তোমাকে?
সত্যের কন্ঠ শোনা গেল-হ্যাঁ। তোমরা এমনভাবে ’ও’র গলা জাপটে ধরেছিলে যে ’ও’ মারা গেছে।
দ্বিধা অবাক হল-সেটা তো ছিল অবলম্বন।
সত্য বলল-’ও’ Ñই হল অবলম্বন।
সত্য আর দ্বিধা মন খারাপ করে মিলিয়ে গেল মনের মাঝে।
ভয় একা একা রইল। বলল-’ও’ হল ’ভালবাসা’। ’ও’ হল ’মরীচিকা’। প্রতিরোধ না করলে চলবে কেন। আবার এলে আবার বধ করব।বলে কালো হাত দুটো প্রসারিত করল সে। আবারও ’ও’ আসছে যে।
১৬.৯.’০৭
রাত ১১:৩৫

সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই মে, ২০০৮ দুপুর ১:১৫
১৩টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইসলামে পর্দা মানে মার্জিত ও নম্রতা: ভুল বোঝাবুঝি ও বিতর্ক

লিখেছেন মি. বিকেল, ১৯ শে মে, ২০২৪ রাত ১:১৩



বোরকা পরা বা পর্দা প্রথা শুধুমাত্র ইসলামে আছে এবং এদেরকে একঘরে করে দেওয়া উচিত বিবেচনা করা যাবে না। কারণ পর্দা বা হিজাব, নেকাব ও বোরকা পরার প্রথা শুধুমাত্র ইসলাম ধর্মে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×