somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাবার সাথে ঈদগাহে

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১.
ছোট বেলায় ঈদের চাঁদ উঠার আগেই মনেতে ঈদের বাজনা বেজে উঠত। কবে নতুন জামা কাপড় কিনব, আজ ই কিনে দিতে হবে, না না কাল না আজ ই কিনে দিতে হবে এসব বলে বাবা মার কান জ্বালা পালা করে দিতাম। নতুন জামা কিনে দিত। ঈদের আগে তা প্রায় বের করে দেখতাম। ঈদে পরব। ঈদের দিন সকালে সবার আগে ঘুম ভেঙ্গে যেত। গোসল করে সেমাই, মিষ্টি খেয়ে বাবার দুটি আঙ্গুল চেপে চলতাম ঈদগাঁয়ের দিকে। বাবার দুটি আঙ্গুল চেপে ঈদ গাঁয়ে যাবার যে কিআনন্দ তা ভাষায় প্রকাশ করার মত না। রাস্তা দিয়ে যেতাম আর মানুষগুলোর দিকেচেয়ে থাকতাম আমার মত অনেক ছোট বাচ্চা তাদের বাবার সাথে ঈদ গায়ে যাচ্ছে।আহ্কত যে আনন্দ!
হয়তোবা ঐ দিন গুলো ই ছিল প্রতিটি মানুষের সবচেয়ে মধুর এক টা সময়।যা মানুষ সেদিন গুলো আর কথনও ফিরে পাবে না।
২.
যৌবনে হয়ত সে সুযোগ আর কারো থাকে না। বাধ্য হয়ে একা বের হতে হয় মাঠে। খুব ই যন্ত্রনার দিন গুলো। রাস্তায় যেতেই চোখে ভেসে উঠে অতীতের সেই দিন গুলির কথা। অনেক বাচ্চা তাদের বাবার সাথে ঈদ গায়ে যাচ্ছে। হঠ্যাত্‍ বাবাকে রেখে দৌড় দিচ্ছে। আবার বাবার কাছে ফিরে আসছে। বাচ্চা টা হাত গুড়িয়ে গুড়িয়ে অন্যদের দেখাচ্ছে।ছবি গুলো চোখে ভেসে আসলে চোখের কোণে জল এসে যায়।
৩.
আজ আমি একজন বাবা। জীবন সংগামে আজ হয়ত পূর্ণতা এসেছে। ঈদের সকালে আমার বাচ্চা আমার আঙ্গুল দুটি ধরে আমার সাথে যেতে প্রস্তুত। আজ আমি বাবা হয়ে বুঝতে পেরেছি বাবা হবার কি আনন্দ। এটা ও বুঝতে পেরেছি আমার বাচ্চার কাছে আমার হাত টি তার একটি খুঁটি। আমার ছোট বেলার মতো আজ সে ও অনেক আনন্দে ঈদ গায়ে যাচ্ছে। তার প্রতিটি আনন্দের বিন্দু গুলো আমার হৃদয়ে দোলা দিতে থাকল। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই শংক্ষা লাগল সে ও একদিন এ জিনিস টা হারিয়ে ফেলব।
৪.
একদিন আসবে হয়ত আমি ও থাকবনা। সেই একাত্বটাকে তাকে ও বহন করতে হবে। এই ছবি গুলো দেখে তার ও একদিন দু চোখ অশ্রুতে ভেসে যাবে। সে তার বাবার সেই স্পর্শ মায়ের সেই স্নেহ আর ফিরে পাবে না। তার দু চোখের অশ্রু মুছে দেবার ও কেউ থাকবে না। আমার বাচ্চাকে একদিন এই সংগ্রাম পাড়ি দিতে হবে।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রোড জ্যাম ইন ভিয়েতনাম

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৭



আমার ধারনা ছিল জটিল জ্যাম শুধু বাংলাদেশেই লাগে । কিন্তু আমার ধারনা ভুল ছিল । ভিয়েতনামে এরকম জটিলতর জ্যাম নিত্য দিনের ঘটনা । ছবিটি খেয়াল করলে দেখবেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা

লিখেছেন জানা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬



২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেভাবে শরণার্থীরা একটি দেশের মালিক হয়ে গেলো!

লিখেছেন মাঈনউদ্দিন মইনুল, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৬



এবার একটি সেমিনারে প্রথমবারের মতো একজন জর্ডানির সাথে পরিচয় হয়। রাসেম আল-গুল। ঘনকালো মাথার চুল, বলিষ্ট দেহ, উজ্জ্বল বর্ণ, দাড়ি-গোঁফ সবই আছে। না খাটো, না লম্বা। বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। প্রতিটি সেশন... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিউ ইয়র্কের পথে.... ২

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২


Almost at half distance, on flight CX830.

পূর্বের পর্ব এখানেঃ নিউ ইয়র্কের পথে.... ১

হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্লেন থেকে বোর্ডিং ব্রীজে নেমেই কানেক্টিং ফ্লাইট ধরার জন্য যাত্রীদের মাঝে নাভিশ্বাস উঠে গেল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সামুতে আপনার হিট কত?

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৩



প্রথমে মনে হল বর্তমান ব্লগাদের হিটের সংখ্যা নিয়ে একটা পোস্ট করা যাক । তারপর মনে পড়ল আমাদের ব্লগের পরিসংখ্যানবিদ ব্লগার আমি তুমি আমরা এমন পোস্ট আগেই দিয়ে দিয়েছেন ।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×