ম্যাম, আই’ল ডু হোয়াটএভার নিডফুল ফর মি, কোন চিন্তা করোনা। ...
না, বাট হাউ ইউ ইনফরমড এবাউট দিস।
ওহ ম্যাম, বাদ দাও ও সব।
মুহীন আঙ্কেল এখন কেমন? ম্যাম, প্লীজ টেক কেয়ার হিম।
না মা আজ আমি তোর সাথে কথা বলতে চাই। অনেক কথা। তোর কি সময় আছে।
নীহা জবাব দেয় না। চুপ করে থাকে।
কথা বল মা। আমার অনেক কথা আছে।
বল কী বলতে চাও বলো?
আচ্ছা তুই ঠিক হয়ে নে, ফ্রেশ হ, দেন কল মী।
নীহা একমাত্র মেয়ে বয়স কেবল ১৭-১৮। গুলশানে থাকে। মা ফারহানা শারমীন এনজিও করেন। বাবা সম্পর্কে নীহার কোন ধারনা নেই। কোন ছবিও নেই। ও কেবল জানে তার মায়ের সাথে বনিবনা না হওয়া তার বাবাকে ছেড়ে চলে এসেছে তার মা। ফারহানা শারমীন এখন অনেক টাকার মালিক। গুলশানে বাড়ি। রাষ্ট্রিয় গুরুত্বপূর্ণ অনেকের সাথে তার যোগাযোগ। হাইকমিশনার, এম্বাস্যাডরদের বাড়িতে নিমন্ত্রণ। সব মিলিয়ে দারুন ব্যস্ত। মেয়ের খবর খুব বেশি একটা রাখা হয় না।
কয়েক দিন আগে একটি ঘটনা নীহা সম্পর্কে মায়ের চোখ খুলে দিয়েছে। নীহার ড্রয়ারে কয়েকটি কনডম পাওয়া গেছে। সেই দিনই তার খেয়াল হয় মেয়ের মুখে কামড়ের দাগ। সে সময় কিছু বলতে চেয়েছিল কিন্তু পারেনি।
নীহা কয়েক দিনের জন্য চট্ট্রগামে গিয়েছে গ্র“প স্টাডি করতে। মা ফারহানা শারমীন বরিশালে। কিশোরীদের যৌন ধারণার উপর একটি র্যান্ডম স্যাম্পলিং করতে। বাসায় চাকরের মাধ্যমে খবর পায় নীহা ঢাকায়। সাথে এক বন্ধু। ২ দিন ধরে বন্ধুর সাথে বাসায় থাকছে।
শুনেই নীহাকে ফোন।
কেমন আছিস মা?
ভাল, তুমি কেমন
ভাল। চিটাগংএ কেমন চলছে তোমার গ্র“প ষ্টাডি।
ভাল। তবে আমি এখন ঢাকায়।
কেন কি হয়েছে? কোন অসুখ করেছে।
না।
তাহলে?
এর পর কথা হয়। মেয়েকে অনেক কথা বলতে চায়। ইনিয়ে বিনিয়ে ভূমিকা নিয়ে শুরু করতে চায়। নীহা মাকে বলে মা তুমি আমার জন্য এত অস্থির কেন। কই আমি তোমার জন্য অস্থির না। তুমি তোমার মত থাক। আমি আমার মত থাকছি। কোন চিন্তা করো না দু জনার জীবন একরকম চলে গেলেই হলো। যে কয়টা দিন বেচেঁ থাকি। তুমি তোমার জীবন নিয়ে থাক। তোমার লোক দেখানো সমাজের কল্যান। তোমার স্টাটাস। তোমার অহংকার। তোমার চাওয়া। তোমার স্বাধীনতা। তুমি সব নিয়ে থাক। আমার অস্তিত্ব তোমার মধ্যে নিওনা। তাতে লাভ হবে না। যখন নেয়ার কথা ছিল। যখন আমাকে সময় দেবার কথা ছিল তখন তুমি তোমার জীবনকে উপভোগ করেছো। তোমার স্টাটাস বাড়াতে দিনের পর দিন এমনকি মাসের উপরে বাইরে থেকেছো। আমাকে দেখেছে বাড়ির আয়া। আমাকে সংগ দিয়েছে রহিম কাকার মেয়ে। তুমি না। তুমি আমাকে লেখা পড়া শিখিয়েছো তাও তোমার জন্য, তোমার স্ট্যাটাসের জন্য। সো, তুমি তোমার মত থাক। আমাকে নিয়ে তোমার কোন চিন্তা করতে হবে না। ...