এক বিষন্ন সকাল বেলা
আজ আমার কাজ মেলা ।
মাঠে গিয়ে প্রাতঃ কৃ ত্য সারলাম ,
বাড়ীর পিছনের পুকুরে স্নান করলাম।
ছেড়া পাঞ্জাবীটা গায়ে গলিয়ে,
ভাঙ্গা চেয়ারটায় দিলাম গা এলিয়ে।
কত কি চিন্তা করলাম,
তার পর উঠে পড় লাম।
বাস্ক থেকে প্লাস্টিকের থলিটা নিয়ে
বস্তি থেকে পড়লাম বেরিয়ে।
প্রথমেই গেলাম সদ্দ প্রাক্তন হওয়া প্রেমীকার বাড়ি।
সে বিরক্ত হয়ে বল্ল মুরোদ আছে চড়ানোর হাড়ি
দিতে পারবে বিয়ের পরে পরনের শাড়ী।
থলের মধ্যে থেকে হাত বের করে নিলাম।
পারলাম না ,উদ ভ্রান্তের মতো বেরিয়ে এলাম।
আবার চলেছি , আমার পরের টার্গেটের বাড়ি।
আমার প্রাক্তন মালিক ,যার প্রচুর টাকাকড়ি।
কিন্তু নোং রা চরিত্র শয়তানের ধাড়ি।
চেয়েছিল আমার বোন কে এক রাতের জন্য,
তাহলে নাকি তার জীবন হতো ধন্য।
দিতো সে আমায় অনেক টাকা পয়সা,
হয়তো পেতাম প্রেমীকার ঘর বাধার ভরসা।
এখহাতে শয়তানটার গলা টিপে ধরলাম,
অন্যহাতে থলে থেকে জিনিসটা বার করলাম ।
অস্ফুট কন্ঠে কাপতে কাপতে সে বলল
আমাকে মারলে কি সব মিটে গেলো।
আমি মরলে অন্য কেউ আসবে,
সে মরলে আর এক জন আসবে ,
শয়তানটার গলা থেকে হাত সরালাম,
শরীর থেকে গলগল করে বেরোচ্ছে ঘাম।
এটাই সিস্টেম, মারিস না আমাকে
টাকা দিচ্ছি অনেক তোকে।
লাথি মার লাম শয়তান টার পেটে,
তারপর বেরিয়ে এলাম হেটে।
তারপর চলছি তো চলছি,
সিস্টেমের পথ ধরে এগোচ্ছি ।
জমানো টাকায় কেনা পিস্তলটা দিলাম ফেলে ।
পশ্চিমে সূর্যটা গিয়েছে অনেকটা ঢলে ,
বিষন্ন সকালটা সাজছে অন্ধ কারের সাঁঝে ।
সোজা হয়ে দাড়ালাম রেল লাইনের মাঝে ,
দূর থেকে সিস্টেমের তীব্র হুইসেল সোনা যায় ।
আলোর ছটায় সাঁঝের অন্ধকার আরো ম্লান হয় ।।
তারপর......
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই অক্টোবর, ২০০৭ বিকাল ৪:২৩