পাতায়া বীচ আমাদের কক্সবাজারের মত এত সুন্দর না হলেও খারাপও না। কারণ এর সৈকত খুব অল্প। মেইন রাস্তার পরেই সমুদ্র শুরু হয়েছে। সমুদ্রও উত্তাল নয়, শান্ত। তেমন বড় বড় ঢেউ নেই। স্পীড বোটে করে ঘুরা যায়, পাশের দ্বীপে বেড়াতে যাওয়া যায়। সময় না থাকার কারণে আমরা যেতে পারি নি। এখানে অনেক সুন্দর সুন্দর ফুলের বাগান এবং বিভিন্ন ধরনের মূর্তি বানানো আছে। সেখানে আমরা অনেক ছবি তুললাম।
সমুদ্রে অনেক ছোট বড় জাহাজ ছিল। আমরা সেগুলোর ছবিও তুললাম। রাতের বেলা খুবই সুন্দর লাগছিল তাদের দেখতে। রাত ৯.০০টা পর্যন্ত বীচ ও বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে আমরা হোটেলে ফিরে আসি। রাত ১০.০০টায় সেই পাকিস্তানী হোটেলে ডিনার করে রাত ১২.০০ টা পর্যন্ত পাব, বার ও ডিসকো দেখে হোটেলে ফিরে চমতকার একটি ঘুম দিই। তবে সময়ের অভাবে টাইগার শো দেখা হয় নি।
অত:পর সকালে উঠে আমরা নাস্তা করতে যাই। পুরা বীচ এলাকা তখন চুপচাপ, কোন হৈ'হল্লা নেই। কারণ সারা রাত এটা সরগরম থাকে আর দিনে ঘুমায়। এখানকার রাস্তায় প্রকাশ্যেই ব্লু'ফ্লিম এর সিডি সাজিয়ে রাখা হয়েছে। যার যেটা প্রয়োজন কিনে নেয়, নো প্রবলেম। এরপর আমরা বীচে ছবি তুলি এবং স্পীড বোটে করে কিছুদুর ঘুরে হোটেলে ফিরে আসি। ১২.০০টার সময় আমরা পাতায়া ত্যাগ করে ব্যাংককের উদ্দেশ্যে রওনা দিই।
(চলবে)