somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ধাঁধা ১৩: 'দ্য পাইরেটস অভ আন্দামান'

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৭ সকাল ৯:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

[গতকাল ভিডিওতে পাইরেটস অভ ক্যারিবিয়ানের ২য় পর্ব দেখছিলাম ... গাঁঝাখুরী গল্পে ঘুম চলে আসছিল ... মনে হলো পাইরেটসদের নিয়ে এর চেয়ে মজার কিছু করা যায় ]
*********************************************

হায়দার যখন তার সাম্পানের নৌকা নিয়ে বঙ্গোপসাগরে পাড়ি দিয়েছিল সে সময়ের কথা; এরকম ভ্রমনে সাধারনত সবাই ভয়াবহ ঝড়ে পড়ে, হায়দারই বা বাদ যাবে কেন? ঝড়ের কবলে পড়ে ভাসতে ভাসতে কেউ যদি কোন জনমানবহীন দ্বীপে এসে ল্যান্ড করে তখনই কেবল সে গল্পের নায়ক হয়, হায়দারও তাই। সেজন্যই সামহোয়ারের পেইজে তার কথা।

তো আন্দামানের যে ছোট্ট জনমাবহীন দ্বীপে এসে হায়দার পড়েছিল, সেখানে কোন নারকেল গাছবা অন্যকোন গাছ ছিলনা, ছিল শুধু রহস্যময় ছোট ছোট মাথার খুলি। হায়দার খুব সাহস করে একটি খুলির কাছে গেল, ভালমতো খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতেই তার চোখে পড়ল খুলির ভেতরের চকচকে একটা জিনিস। হ্যাঁ, যা ভেবেছেন তাই! স্বর্ণমুদ্রা।
পুরো খুলি ভালমতো হাতড়ে বিছড়েও সে এই একটার বেশী মুদ্রা পেলনা। হঠাৎ তার মাথায় খেয়াল চাপল, আরে, তাইতো!!
ভালমতো গুনে দেখল পুরো দ্বীপে মোট চল্লিশটি খুলি আর বুঝতেই পারছেন, প্রত্যেক খুলির ভেতরে লুকোনো একটি করে স্বর্ণমুদ্রা। হায়দার মনের আনন্দে সবগুলো মুদ্রা একটা ব্যাগে ঢুকিয়ে, ব্যাগটাকে জড়িয়ে ধরে নাক ডাকিয়ে দিল এক ঘুম। এই জনশূন্য বৃক্ষশূন্য দ্বীপ থেকে শহরে না ফিরতে পারলে যে এই মুদ্রার কোন দাম নেই, সবেমাত্র গুপ্তধন খুঁজে পাওয়া হায়দারের মাথায় সেই চিন্তাটাও আসলনা।

বিকেলে যখন তার ঘুম ভাঙে তখন সে দেখে তার সামনে বিকট দর্শন তিন লোক, হ্যাঁ, এরাই 'দ্য পাইরেটস অভ আন্দামান।' তিন পাইরেটসের নাম যথাক্রমে বুডু, মুডু (মডুরাম নহে) আর ছুডু, এবং বুডু সবচেয়ে বড়, মুডু মেঝ, ছুডু সবচেয়ে ছোট। স্বর্ণমুদ্রা দেখে জলদস্যু তিনজন হায়দারকে তাদের 'বস্' মানল।

সেখানে ঠিক হলো, তিন পাইরেটস মিলে বস্ হায়দারকে শহরে পৌঁছে দেবে যদি হায়দার মুদ্রাগুলো চারজনের (হায়দার আর তিন জলদস্যু) মাঝে ঠিকভাবে ভাগ করে দিতে পারে।

যে শর্তগুলো দেয়া হলো, তা হলো,
১. বস্ ভাগ করে দেবে মুদ্রা।
২. ভাগবন্টন দেখে সবাই ভোট দেবে এরপক্ষে (হ্যাঁ) বা বিপক্ষে (না)
৩. হ্যাঁ জিতলে ঝামেলা শেষ, সবাই সুখী; কিন্তু না জিতলে
বস্-কে ফাঁসী দেয়া হবে, এবং এরপর বয়সের ক্রমে সবচেয়ে বড়জন বস্ হবে। মানে হায়দারের ফাঁসী হলে বস্ হবে বুডু।
যখন মোট সদস্যসংখ্যা জোড়, তখন হ্যাঁ ভোটকে জিততে হলে অর্ধেকের চেয়ে অন্তত ১ টি ভোট বেশী পেতে হবে। সমান-সমান হলে 'না' ভোট জিতবে।


যে ব্যাপারগুলো হায়দার জানে,
১. জলদস্যু এবং সে নিজে, তাদের সবার মাথায়ই নিজের সবচেয়ে ভালটা বোঝার মতো যথেষ্ট বুদ্ধি আছে।
২. চারজনের সবার কাছেই সবচেয়ে মূল্যবান হলো 'নিজের জীবন', এরপর 'স্বর্ণমুদ্রা'।
৩. জলদস্যুরা সবাই কাউকে ফাঁসী দেয়া খুব পছন্দ করে, কাজেই কোন জলদস্যু যদি বুঝতে পারে যে এখনকার বস্-কে
ফাঁসী দিলেও পরের বস্ তাকে সমানসংখ্যক মুদ্রাই দেবে তাহলে সে এখনকার বসের বিপক্ষে হাত তুলবে, মানে 'না' ভোট দেবে।
৪. বুডু, মুডু, ছুডু এদের সবার সাথে সবার সম্পর্ক খারাপ। কেউ পরস্পর কোন চুক্তিতে আসবেনা, কারণ সে জানে যে যেকোন মুহূর্তে আরেকজন চুক্তি ভাঙতে পারে। সবাই নিজের সর্বোচ্চ স্বার্থ দেখবে।

এখন বলুনতো দেখি, হায়দার নিজে কয়টা স্বর্ণমুদ্রা নিয়ে বাড়ী ফিরেছিল?
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৭ সকাল ১০:২৯
৫৯টি মন্তব্য ০টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কৃষ্ণচূড়া আড্ডার কথা

লিখেছেন নীলসাধু, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:০২



গতকাল পূর্ব নির্ধারিত কৃষ্ণচূড়ায় আড্ডায় মিলিত হয়েছিলাম আমরা।
বছরের একটি দিন আমরা গ্রীষ্মের এই ফুলটির প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে প্রকৃতির সাথে থাকি। শিশুদের নিয়ে গাছগাছালি দেখা, ফুল লতা পাতা চেনাসহ-... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×