somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গনতন্ত্র নাকি ভাতের নিষ্চয়তা, কোনটা বেশী দরকার?

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৭ রাত ৯:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বর্তমান সরকারের কর্মকান্ডে অনেকেই খুশী না।এরা হলো সাবেক সরকার আর রাজনৈতিক দলগুলোর সুবিধাভোগী অনুসারীরা।এদেরকে রাজনৈতিক দালালও বলা চলে।সরকারের দুর্নিতি বিরোধী কর্মকান্ডে এদের এখন ত্রাহি মধুসূদন অবস্থা।এরা এখন আর সুবিধা করতে পারছে না।তাই বরাবরের মতো সরকারের বিরুদ্ধে এদের যতো লম্ফজম্ফ।এরা বলছে, রাজনৈতিক অধিকার চাই,গনতন্ত্র চাই।এই সরকার নাকি সব কেড়ে নিচ্ছে।সাধারন মানুষের আবেগকে পুজি করে এরা রাজনীতি করে।সুনিপুনভাবে আমাদের সাধারন মানুষের মধ্যে রাজনীতির বীজ বুনে দিয়ে জনগনকে পুজি করে এরা ফায়দা লুটে।মাঝখানে ভোগান্তি বাড়ে সাধারন মানুষের।আমজনতা কি আর এতোসব বোঝে?জনগনেরতো নুন আনতেই পানতা ফুরায়।ক্ষুধার্ত,অভুক্ত মানুষগুলোকে যা বুঝানো হয় তাই বোঝে।

মানুষের পেটের ক্ষুধার কাছে রাজনীতি,স্বাধীনতা অর্থহীন।একটা ক্ষুধার্থ কুকুরকে কিছু খাবার দিলে সেও পোষ মেনে যায়।তেমনি আমাদের ক্ষুধার্থ সাধারন মানুষকে রাজনীতি নামক অমৃত এতদিন ধরে দেওয়া হইছে।আর বলা হইছে,তোমরা রাজনীতি আর দলাদলী করো।তাহলেই তোমাদের ক্ষুধানিবারণের উপকরন মিলবে।যা চাও তাই পাবে।দলে আসো আর নাহয় লীগে আসো।ক্ষমতায় গেলেই পাবে কান্খিত সুযোগ।খাবার নিষ্চয়তা চাও,চাকরি চাও,গাড়ি বাড়ী চাও,অর্থসম্পদ চাও?সব পাবে।তার আগে রাজনীতি করো।রাজপথে নামো,হরতাল কর,জ্বালাও পোড়াও।এসবই তোমাদের মন্গলের জন্য।দেশের বারোটা বাজুক তাতে তোমাদের কি?তোমাদেরতো গনতন্ত্র থাকছেই।গনতন্ত্রই তো তোমাদের সব।এটাকে ভিজিয়ে প্রতিদিন সকালে এবং রাতে একগ্লাস পানি খাবে।আর দিনের বেলায় রাজপথ তোমাদের হবে।তোমাদের কল্যানে আমরা দেশদরদী নেতানেত্রীরা তো আছিই।যদিও আমরা বিদেশে টাকা পাচার করি,ত্রানের টীন চুরি করি,কমিশন খাই,দুর্নিতি করি।তারপরেও আমরা তোমাদের মন্গলের জন্যই রাজনীতি করি।হরতাল ডাকি,অবরোধ করি।যদিও আমাদের ছেলেমেয়েরা এসব নোংরা রাজনীতি পছন্দ করে না।তাই ওদেরকে এসবে ডাকিও না।ওরা এইতো,কোনোমতে দেশের বাইরে থাকে আর কি।ওখানে নামিদামী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করে।টাকা পয়সা যা লাগে আমরাইতো যোগান দেই।তাইতো মাঝে মাঝে একটু আধটু হাত বেহাত করতে হয়।কি করবো,এতো কষ্ট করতে হয় তোমাদের জন্য আর তার বদলে এই সুযোগটুকু পাবো না?

এই হলো নোংরা রাজনীতি।আর এই নোংরা রাজনীতির লাইসেন্স হলো গনতন্ত্র।এই গনতন্ত্রের মাধ্যমেই কাংখিত ক্ষমতা পাওয়া যায়।ক্ষমতাই হলো গনতন্ত্র।এই গনতন্ত্রকে হারালে চলবে না।যে করেই হোক একে টিকিয়ে রাখতেই হবে।তাই এই গনতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখতে কিছু রাজনৈতিক দালাল উঠেপড়ে লেগেছে।জনগনকে এরা বুঝাতে চাইছে যে,এই সরকার থাকলে কিন্ত সব গেলো।জনগনের মাথায় কাঠাল ভেংগে খাওয়ার লাইসেন্সধারী কিন্ত আর কেউ থাকলো না।সব জলপাই কালারের পোষাক পরা লোকগুলো খেয়ে ফেলবে।অতএব এদেরকে সরাতে হবে।এতোদিন আমরা খাইছি।এখনো আমরাই খাবো।অতএব আমজনতা আসো।আমাদের আবার লুটপাটের লাইসেন্স দাও।লুটপাট করে আমরা এখন দেশের ৯০ ভাগ সম্পদের মালিক।বাকি ১০ ভাগ তোমরা ৯০ ভাগ লোকে খাও।কিন্ত তার আগে আমাদের গনতন্ত্র দাও,ক্ষমতা দাও।আমরা লুটেরা,লুটপাট করা আমাদের অধিকার।

আমরা আর কত চোখ বুঝে থাকবো?আর কত?


এই সরকারকে বলতে চাই,আপনারা শুধু দুইটা কাজ করে যান।১.আমাদের পেটে শুধু দুটা মোটা ভাতের যোগান দিন।যেভাবে পারেন,দ্রব্যমুল্যের দাম কমান।কারন দেশের মানুষ ঠিক করে খেতে না পারলে আপনাদের ভালোকাজগুলো এদের চোখে পড়বে না।আর এই সুযোগ নিবে তথাকথিত গনতন্ত্রকামীরা।যারা নিজেরাই জানে না গনতন্ত্র কি,গনতন্ত্রের সফলতার শর্তগুলো কি কি।একটি দেশে গনতন্ত্র সফল করতে কি কি নিয়ামক দরকার। ২.জীবন যাত্রার মান উন্নয়নে সহায়ক কর্মসুচী তথা,নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা,দেশী বিদেশী বিনিয়োগকে স্বাগত জানিয়ে বিনিয়োগ সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং ব্যবসায়ীদেরকে হয়রানি না করে তাদের অবাদে ব্যবসা করার সুযোগ প্রদান করুন।সরকার যেহেতু ব্যবসা করে না তাই ব্যবসায়ীদের নির্ভয়ে ব্যবসা করার সুযোগ দিতে হবে।ব্যবসায়ীরা যতোদিন ভীতিমুক্ত না হতে পারবে ততোদিন অর্থনীতির চাকা সচল হবে না।

জনগন পেটপুরে খেয়ে বেচে থাকতে না পারলে এরা আপনাদের ভালো কাজগুলোর সুবিধা বুঝতে পারবে না।আর জনগনকে সুখে রাখতে না পারলে ব্যর্থ হবেন।আপনারা ব্যর্থ হলে আবার সুযোগ পেয়ে যাবে লুটেরা রা।আমরা তা চাই না।আপনারা আমাদের মনে যে আশার আলো জ্বালিয়েছেন তা যেনো কোনোভাবে নিভে না যায়।কারন আরেকটা ওয়ান ইলেভেন বাঙালী হয়তো আর নাও দেখতে পারে...।
২১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি

লিখেছেন বিষাদ সময়, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:১৬





মাসের আধিক কাল ধরে দাবদাহে মানব প্রাণ ওষ্ঠাগত। সেই যে অগ্নি স্নানে ধরা শুচি হওয়া শুরু হলো, তো হলোই। ধরা ম্লান হয়ে, শুষ্ক হয়, মুমূর্ষ হয়ে গেল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নীল আকাশের প্রান্ত ছুঁয়ে-৭ (আকাশ ভালোবেসে)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:১৯

০১।



=আকাশের মন খারাপ আজ, অথচ ফুলেরা হাসে=
আকাশের মন খারাপ, মেঘ কাজল চোখ তার,
কেঁদে দিলেই লেপ্টে যাবে চোখের কাজল,
আকাশের বুকে বিষাদের ছাউনি,
ধ্বস নামলেই ডুবে যাবে মাটি!
================================================
অনেক দিন পর আকাশের ছবি নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পানি জলে ধর্ম দ্বন্দ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

জল পানিতে দ্বন্দ লেগে
ভাগ হলোরে বঙ্গ দেশ
এপার ওপার দুই পারেতে
বাঙালিদের জীবন শেষ।

পানি বললে জাত থাকে না
ঈমান থাকে না জলে
এইটা নিয়েই দুই বাংলাতে
রেষারেষি চলে।

জল বললে কয় নাউযুবিল্লাহ
পানি বললে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সমস্যা মিয়ার সমস্যা

লিখেছেন রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ), ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

সমস্যা মিয়ার সিঙ্গারা সমুচার দোকানে প্রতিদিন আমরা এসে জমায়েত হই, যখন বিকালের বিষণ্ন রোদ গড়িয়ে গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে, সন্ধ্যা পেরিয়ে আকাশের রঙিন আলোর আভা মিলিয়ে যেতে শুরু করে। সন্ধ্যা সাড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই মুহূর্তে তারেক জিয়ার দরকার নিজেকে আরও উন্মুক্ত করে দেওয়া।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৬ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৬


তারেক জিয়া ও বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে আমি ব্লগে অনেকবারই পোস্ট দিয়েছি এবং বিএনপি'র নেতৃত্ব সংকটের কথা খুব স্পষ্টভাবে দেখিয়েছি ও বলেছি। এটার জন্য বিএনপিকে সমর্থন করে কিংবা বিএনপি'র প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×