somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমাদের সেনাবাহিনী।

২৪ শে আগস্ট, ২০০৭ বিকাল ৪:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ঘানার এক মেয়ের সাথে চ্যাট হয়েছিল ইয়াহুতে। সে নির্বাচন কমিশনে কাজ করে। আমি বাংলাদেশী বলার সাথে সাথে সে উচ্ছসিত, "তোমাদের সেনা বাহিণী আফ্রিকায় খুবই জনপ্রিয়, তাদের মত এত চমত্কারভাবে শান্তি স্থাপন আর কোন দেশের শান্তি রক্ষী পারে নি.... ইত্যাদি, ইত্যাদি....।" পড়ে আমার গর্ববোধ হচ্ছিল প্রচন্ড।
সম্ভবত ১০-১২ বছর আগের ঘটনা... পূর্ব ইউরোপের কোন এক দেশে (খুব সম্ভবত যুগোস্লাভিয়ায়.. মনে নেই) ইউ এন মিশনে বাংলাদেশ আর্মি; প্রত্যন্ত অঞ্চলে এক দুর্যোগপূর্ণ গ্রামে এক ইউনিটের দায়িত্ব পরেছে। কাজ হচ্ছে গ্রাম বাসীকে গুপ্ত আক্রমন হতে রক্ষা করা। প্রচন্ড বরফ পরছে এবং রসদ প্রায় শেষ, ওদিকে গ্রমেও খাদ্যের অভাব। এমতাবস্থায় একটি হেলিকপটারে কিছু রসদ এসেছে আর্মির জন্য। কিন্তু আর্মির জোয়ান রা প্রায় সব খাবারই গ্রামবাসীদের মাঝে বিলিয়ে দিয়েছে। আর তারা থেকেছে অনাহারে অর্ধাহারে।
পরে যখন তারা মিশন শেষ করে চলে আসে, ঐ গ্রমের কেউ অশ্রু সংবরন করতে পারে নি।
(সেই মিশন কমান্ডার এক পত্রিকায় লিখেছিল ।)

আমাদের সেনাবাহিনী নিয়ে আমরা সত্যিই গর্বিত। ইউ এন আকাশী নীল হেলমেট আর বাংলাদেশ সেনাবাহিনি এখন সমার্থক (আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে)। বাংলাদেশ সেনাবাহিনি এখন শুধু একটি দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনিই শুধু নয়, বিশ্বের শান্তিরক্ষা মিশনের অগ্রদূত। সাহসিকতা, প্রফেশনালিজম, least technology use করে High output গেইন করতে তারা পারঙ্গম।

কিন্তু চিন্তার বিষয় হচ্ছে এরকম সুশৃঙল একটি বাহিনির বর্তমান আচরন। গত কয়েক দিনের ঘটনার সাথে উপরে উল্লেখিত আচরনের কোন মিল কি পাওয়া যাচ্ছে? কি হয়েছে তাদের? ছাত্রদের ফুটবলখেলাকে কেন্দ্র করে যা ঘটেছে তাতে কাদের গোয়ার্তুমী দায়ী? এর পর যা ঘটেছে তা ত উনমত্ত জনতার ক্ষোভের বহিপ্রকাশ। এর পিছনে কোন অপশক্তি জড়িত আছে কিনা তা ইনভেস্টিগেট করে দেখতে হবে... সময়ের ব্যাপার।
কিন্তু কার্ফিউ চরাকালিন সময়ে আর্মির আচরনের পিছনে কোন অপশক্তি জড়িত ছিল তা কি কখনও জানতে পারবো?
রা.বি.এর ছাত্রীরা যারা বাড়ী ফেরার জন্য স্টেশনে দাড়িয়ে ছিল তাদের কি অপরাধ ছিল? তারা কেন আক্রান্ত হল আর্মি দ্বারা? অথবা আজিজ সুপার মার্কেটে যেসব ছাত্র (সংখ্যায় খুব সামান্য ছিল) মেসে ছিল কেন তাদেরকে ২ ঘন্টা ধরে পিটানো হল? বিল্ডিঙের মহিলারা যখন বাধা দিতে এসেছিল (মৌখিকভাবে) তখন তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে পাঠিয়ে দিল! অথবা কর্মজীবি মহিলা হোস্টেলে গভীর রাতে অভিযান, বা ঢাবির ভিতর দিয়ে ৩ ছাত্রছাত্রী যখন বাসায় ফিরছিল কেনো তাদে পিটিয়ে ছত্রভঙ্গ করা হল (৩ জনে কি আন্দোলন হয়!!!)?

এসব পশ্নের উত্তর কখনও পাওয়া যাবে কিনা জানি না। কিন্তু এরকম একটি গৌরবময় ঐতিহ্যের ধারক এবং Most Professional সেনাবাহিনি কি কখনও এসব ঘটনার জন্য আত্মসমালোচনায় ভুগবে না?

আজ আমার টেক্সের অর্থে পালিত সেনাবাহিনি আমাকে, আমার ভাই-বোনকে নিমর্মভাবে পিটিয়েছে, কোন কারন ছাড়া। ইউ এন মিশনের মনুষ্যত্ববোধের ছিটে ফোটাও তাদের মাঝে পাই নি।
আবারও কো আফ্রিকান যখন আমাদের সেনাবাহিনীর উচ্চসিত প্রসংশা করবে জানিনা তখন অজান্তেই দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে পরবেকিনা।
১৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×