(কিছু ব্লগারের সামরিক আচরণের বিরুপ ধারনার প্রতিউত্তরে কমেন্ট আকারে প্রকাশিত হয়েছিল।)
মানুষ যদি ঘাস না খায় তবে নিশ্চই সিভিল আর ডিফেন্সের পার্থক্য বোঝার কথা। সামরিক শাসন কোনো স্বাভাবিক অবস্থা নয়, সামরিক শাসনে জনগনের মৌলিক অধিকার রহিত থাকে। তারা তাদের স্টাইলে দেশ পরিচালনা করেন। এখন দেশে সেমি সামরিক শাসন চলছে। তাই কিছু রাজনৈতিক মুখোশধারী পাবলিক শিথিল মৌলিক অধিকারের সুযোগ নিয়ে লাফালাফি করতে চাইছে।
কোন গনতান্ত্রিক দেশে সামরিক শাসন কাম্য নয়। তবে আমাদের এখনকার আধাসামরিক শাসনের পরিবেশ আমাদের অসহিষ্ণু রাজনীতিবিদদের তৈরী। তারাই এমন অবস্থার সৃষ্টি করেছিল যাতে দেশের সামরিক বাহিনী এতে হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হয়েছে একটি গৃহযুদ্ধের হাত থেকে দেশকে বাচাঁতে। কোন বিপদগামী সেনাপতি তার অসৎ উদ্দেশ্যে এ অবস্থার সৃষ্টি করেনি এটা সচেতন সবাই স্বীকার করবেন। এই আধাসামরিক + তত্বাবধায়ক সরকার একটি স্বল্প মেয়াদের সরকার। কারো যদি সন্দেহ থাকে এই সরকার ২০০৮ এর ডিসেম্বরের আগে নির্বাচন দিবে না । তবে তাদের উচিৎ হবে গেস গেম না খেলে ধৈর্য্য ধারন করা। দেখুন না ২০০৮ এর ডিসেম্বর পর্যন্ত। তারা যদি নির্বাচন না করে তবে তারা পার পাবে না, দেশের জনগন তাদের ছেড়ে দেবে না।
দেশের সামরিক বাহিনীতো এদেশেরই সন্তান। তাদের কেনো প্রতিপক্ষ বানাচ্ছি আমরা! অসুখ হলে যেমন কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলতে হয়। তেমনি এই বিশেষ অবস্থায়ও কিছু বিধি নিষেধ আমদের ধৈর্য্যের সাথে মেনে চলতে হবে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে।
আজ কিছু বিশৃঙ্খল মানুষের উদ্ধত আচরনের জন্য পুরো দেশের মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। আর আমাদের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠের কিছু রাজনৈতিক লেবেলধারী শিক্ষক তাদের শিক্ষক সাইনবোর্ডের আড়ালে তাদের ব্যক্তি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থের ঘৃন্য অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
তাই বলতে হয়, "দূর্জন বিদ্বান হইলেও পরিত্যাজ্য, স্বর্পের মস্তকে মনি থাকিলেও তাহা ভয়ঃঙ্কর।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে আগস্ট, ২০০৭ বিকাল ৩:১৮