সকাল বেলা প্রথম আলোর সম্পাদকীয় পড়ে চিন্তায় পড়ে গেলাম। গত দুইদিনের ঢাবি সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে যে জাগরণ আমরা দেখেছি তাকে ইতিমধ্যে নানান ভাবে সবাই বিশ্লেষণ করা শুরু করে দিয়েছে। প্রথম আলো সম্পাদকীয়তে বলেছে, কোনো অশুভ শক্তি যেন এ সহিংসতার সুযোগ নিতে না পারে। আমি খানিক বোঝার চেষ্টা করলাম, অশুভ শক্তি টা কি? কাল একজন ব্লগার তাত্ক্ষণিক মন্তব্যে সবাইকে জানাতে চাইলেন যে, জেনারেলরা পুরোদমে সামরিক শাসন ব্যবস্থা কায়েম করার জন্য পথ তৈরি করছেন। আসলে তাত্ক্ষণিক ভাবে অনেক কিছুই বলা যায়। এই তাত্ক্ষণিক ভাবে বলতে বলতে আমরা কোথায় এসে ঠেকেছি। কিছুই কি আমরা আগে থেকে অনুমান করতে পেরেছি? ব্যাপারটা আবহাওয়া অফিসের ওয়েদার রিপোর্টের মতো!
আমার কথা হলো, জেনারেলরা কেন এভাবে পথ তৈরি করবেন? কি জন্য? তাহলে কি, সরকারের সাথে সেনাবাহিনীর দুরত্ব তৈরি হচ্ছে? জেনারেল মঈন আর উপদেষ্টা ফকরুদ্দীন সাহেবের মধ্যে দুরত্ব তৈরি হচ্ছে? আমার চিন্তা হলো, কেন?
সেনাবাহিনীকে যাতে কোনোভাবে বিতর্কিত না করা হয়, এর আগে এ নিয়ে শেখ হাসিনা, খালেদা জিয়া নানান কথা বলেছেন!
দেশে যখন অনিশ্চয়তা, জাতি যখন অসহায় ঠিক সেই মূহুর্তে সেনাবাহিনীর আগমনকে সবাই স্বাগতম জানিয়েছে। সেনাবাহিনী বির্তকিত হবেনা, জাতির কল্যাণ সাধনে নিয়োজিত হবে সবাই সেটাই চেয়েছিলো!সরকার সেনাবাহিনীর সহয়তায় ইতিমধ্যে একটি এন্টি করাপশন ইমেজ গড়ে তুলেছে। আমরা কি সেটা অস্বীকার করবো? কিন্তু ঢাবিতে খেলা দেখা নিয়ে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে ঘটে যাওয়া ঘটনাকে অন্য চোখে দেখার চেষ্টা করা কতোটুকু বাস্তবসম্মত। অনেকে এমনও বলেছেন, সরকারতো কাইত! আমি তো মনে করি, সরকার অনেক স্মার্ট। আন্দোলোন করলো, ছাত্ররা, বিজয় হলো সরকারের! কিভাবে?
সরকার দুঃখ প্রকাশ করেছে, এবং সেনাবাহিনী তাদের ক্যাম্প সরিয়ে নিচ্ছে! এরপর আর আন্দোলনের কিছু থাকে!! আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের নানান সরকার এসে নানান ভাবে নাজেহাল করেছে। ছাত্ররাজনীতির আড়ালে চলেছে নানান কূট নীতি! আমাদের শাদাদল, নীলদল মার্কা শিক্ষকেরা ছাত্রদের এসবে সঠিক পথ দেখাতে পারেনি, নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করতে চেয়েছে! কিন্তু, ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া ঘটনাকে যদি "সরকার কাইত" জাতীয় দুরভীসন্ধিমূলক সাফল্যের সাথে মেলানোর অপচেষ্টা করা হয়, তাহলে দুঃখ জনক।
বড়ো আন্দোলনের জন্য বড়ো ধরনের প্রস্তুতি থাকা দরকার। যদিও ছোট অনেক ঘটনা থেকে বড়ো সাফল্য চলে আসতে পারে। দেশে অনেক বছর ধরেই আমাদের আষ্টে পৃষ্টে বাধা আছে সমস্যা। গণতান্ত্রিক নির্বাচিত সরকার আমাদের জন্য কি করেছে , আমরা জানি। তাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি ছিলো, কথায় কথায় ধর্মঘট, হরতাল। আমরা চাইনা গণতন্ত্রে এ সংস্কৃতি ফিরে আসুক। আমরা চাইনা, আমাদের বারবার ব্যবহার করা হোক! এ সরকার চলে একদিন যাবেই, কিভাবে যাবে সেটা বিবেচ্য বিষয়। কিন্তু কথায় কথায় কারো প্ররোচনায় বিক্ষুব্ধ হয়ে আন্দোলনে আমাদের ঝাপিঁয়ে পড়াতে সাফল্য অন্য কোথায় চলে যেতে পারে! আমরা যদি আবার পুরনো সংস্কৃতিকেই জায়গা করে দিই, তাহলে নতুন করে স্বপ্ন দেখবো কি করে, সেই পুরানো স্বপ্নটিই বার বার দেখে যেতে হবে।
বর্তমানে সরকারের সমালোচনা আমরা করছি, পাশাপাশি সরকার যে , এন্টি করাপশন ইমেজ গড়ে তুলেছে ,তাকেও আমরা সাধু বাদ জানাচ্ছি। আমাদের চাওয়ার সাথে , আমাদের সংগ্রাম ও সাফল্যের যাতে বৈষম্য না ঘটে সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে। আমরা বড়ো কোনো পরিকল্পনা, প্রস্তুতি ছাড়া আন্দোলন করে আবার জঙ্গলে ফিরে যেতে চাইনা!
আলোচিত ব্লগ
মাটির কাছে যেতেই..
মাটির কাছে
যেতেই..
ঠিক যেন
খা খা রোদ্দুর চারদিকে
চৈত্রের দাবদাহ দাবানলে
জ্বলে জ্বলে অঙ্গার ছাই ভস্ম
গোটা প্রান্তর
বন্ধ স্তব্ধ
পাখিদের আনাগোনাও
স্বপ্নবোনা মন আজ
উদাস মরুভূমি
মরা নদীর মত
স্রোতহীন নিস্তেজ-
আজ আর স্বপ্ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
বেলা বয়ে যায়
সূর্যটা বলছে সকাল
অথছ আমার সন্ধ্যা
টের পেলামনা কবে কখন
ফুটেছে রজনীগন্ধ্যা।
বাতাসে কবে মিলিয়ে গেছে
গোলাপ গোলাপ গন্ধ
ছুটেছি কেবল ছুটেছি কোথায়?
পথ হারিয়ে অন্ধ।
সূর্যটা কাল উঠবে আবার
আবারো হবে সকাল
পাকা চুল ধবল সকলি
দেখছি... ...বাকিটুকু পড়ুন
পর্ণআসক্ত সেকুলার ঢাবি অধ্যাপকের কি আর হিজাব পছন্দ হবে!
ইন্দোনেশিয়ায় জাকার্তায় অনুষ্ঠিত একটা প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক জিতেছে বাংলাদেশি নারীদের একটা রোবোটিক্স টিম। এই খবর শেয়ার করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপিকা। সেখানে কমেন্ট করে বসেছেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকজন... ...বাকিটুকু পড়ুন
আত্মস্মৃতি: কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায়
কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায়
আমার বাবা-কাকারা সর্বমোট সাত ভাই, আর ফুফু দুইজন। সবমিলিয়ে নয়জন। একজন নাকি জন্মের পর মারা গিয়েছেন। এ কথা বলাই বাহুল্য যে, আমার পিতামহ কামেল লোক ছিলেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন
বাঙালী মেয়েরা বোরখা পড়ছে আল্লাহর ভয়ে নাকি পুরুষের এটেনশান পেতে?
সকলে লক্ষ্য করেছেন যে,বেশ কিছু বছর যাবৎ বাঙালী মেয়েরা বোরখা হিজাব ইত্যাদি বেশি পড়ছে। কেউ জোর করে চাপিয়ে না দিলে অর্থাৎ মেয়েরা যদি নিজ নিজ ইচ্ছায় বোরখা পড়ে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন