somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শাহরিয়ার কবিরকে একুশে পদক দেয়া হোক

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একাত্তেরর ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাথে প্রয়াত জননী জাহানারা ইমামের নাম অবিচ্ছেদ্য । আমাদের এই মহীয়সী জননী গতায়ু হবার পর এই সংগঠণটির সাথে আরেক অকুতোভয় যোদ্ধা শাহরিয়ার কবির এর নাম এমন ভাবে যুক্ত হয়ে গেছে যে, এই দুটিকে আলাদা করার কোনো সুযোগ নেই। একটি আরেকটির পরিপুরক বা একটি ছাড়া অপরটি অসম্পূর্ণ । শুধু কি তাই ? ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ও শাহরিয়ার কবির, এ নাম দুটি এখন সমার্থক হয়ে গেছে । এই সংগঠনটিকে সচল, সক্রিয় এবং এর অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখার জন্যে এর সাথে সংশ্লিস্টদের ওপর দিয়ে জামাত-বিএনপি এবং অশুভ চরম প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির হুমকি ধমকি অপপ্রচার, জেল-জুলুম, অত্যাচার-নিপীড়ন, জীবনের ঝুঁকিসহ পদে পদে যে ঝড়-ঝাপ্টা নিরবিচ্ছিন্নভাবে বয়ে গেছে, তা দুর্যোগের এক অলেপনীয় অধ্যায় হিসেবেই চিহ্নিত হয়ে আছে এবং থাকবে । এতকিছুর পরেও সংগঠনটি নির্মূল হয়ে যায়নি । এর অস্তিত্ব আজ সদর্পে দেদীপ্যমান । জামাত-বিএনপির জোট সরকারের ভয়ংকর চাপের মুখে থেকেও সংগঠণের সাথে সক্রিয় কেউ নতি স্বীকার করেননি । তবে পাপী সেই সরকার চাপে ফেলে বাধ্য করেছেন আমাদের দেশবরেন্য প্রধাণ কবি শামসুর রাহমানকে পিছু হটতে । সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা এন এস আই এ কর্মরত কবির মেয়ে জামাইকে চাকুরিচ্যুত করার হুমকি দিয়ে নিরুপায় কবিকে সংগঠনটির শীর্ষ পদ থেকে পদত্যাগে বাধ্য করেন জোট সরকার । এছাড়া তেমন উল্লেখযোগ্য কাউকে শত চাপের মুখে রেখেও সংগঠণ ছাড়া করতে পারেনি সেই দুষ্ট সরকার । দুর্বৃত্ত মোল্লাদের জাহেলিয়া ফতোয়া, মুরতাদ ও সরকার কর্তৃক রাস্ট্রদ্রোহী (শাহরিয়ার কবির, মুনতাসির মামুন ) ঘোষণা ও নানান আজগুবি মামলা করেও সংগঠনটির টীকিটিও বাকা করতে পারেনি । বহু ঝঞ্ঝাময় দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে সংগঠণটি এগিয়ে গেছে তার লক্ষ্যে সাহস ও মনোবল অটুট রেখে , দুর্বার গতিতে না হলেও হাটি হাটি পা পা করে । এবং তা সম্ভব হয়েছে লক্ষ্য অর্জনে স্থির ও দুর্মর অকুতোভয় নেতৃত্বের কারণে । এর পুরোভাগেই ছিলেন শিরোমণি শাহরিয়ার কবির । তার সাথে ওতপ্রতোভাবে জড়িত মুনতাসির মামুন, কাজী মুকুল সহ দেশ প্রবাসের বহু নিবেদিত কর্মী বাহিনীর অবদানও খুব বড় মাপে উল্লেখ করার মতো । এদের মধ্যে আমার খুব কাছে থেকে দেখা সুইডেন প্রবাসী এক নিবেদিত কর্মী সাব্বির খানের সংগঠণটির জন্যে বিরামহীনভাবে অক্লান্ত পরিশ্রম দানের কথা এখানে উল্লেখ না করে পারছি না । জাতির জন্যে এদের ঋণ শোধ করার মতো নয় । এখানে শাহরিয়ার কবিরের কথাই আমি বিশেষ ভাবে উল্লেখ করবো । এই সংগঠণটির জন্যে তিনি ঘর সংসার পিছু ফেলে রেখে, দুর্মুখদের নানান অপবাদ, তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যকে উপেক্ষা করে , জীবনকে যমদুতের মুখে ঠেলে দিয়ে সীমাহীন ঝুঁকি নিয়ে বীর যোদ্ধা সৈনিকের মতো যেভাবে নিরলস কাজ করে আসছেন নিবেদিত প্রাণে, তার অন্য কোনো নজীর নেই বাংলাদেশে । যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ত্বরান্বিত ও কার্যকর করার অবিচল লক্ষ্যে এই সংগঠনটির কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে তার নিজের যা আছে তা সহ এমনকি মুল্যবান সম্পদ বিক্রি ও ধার-দেনা করে এবং দেশে বিদেশে সতীর্থদের কাছ থেকে প্রাপ্ত যৎসামান্য চাঁদা বা অনুদান নিয়ে বহু কষ্টে তার ক্যাম্পেইন অব্যহত রেখেছেন। শুধু তাই নয়, বর্তমান ও আগামী প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে অবিকৃতভাবে চীরঞ্জীব করে রাখার জন্যে নিয়মিত প্রকাশনা দেশের অসংখ্য লাইব্রেরীতে এবং বিদেশে প্রেরন, বহু অসহায় বীরাঙ্গনা ও দরিদ্র শহীদ পরিবার এবং তাদের সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ বহন করার জন্যে আর্থিক ও বৈষয়িক সহায়তা প্রদাণের কথা খুব কম সংখক লোকই জানেন । বর্ণনা দেবার মতো সুংগঠনটির অনেক কিছুই আছে। এখানে অতো ফিরিস্তি দিয়ে লাভ নেই । শাহরিয়ার কবির এবং তার সংগঠনটিকে আমার খুব কাছ থেকে প্রত্যক্ষ করার সুযোগ হয়েছে বলে
এসব জানতে পেরেছি । এখানে শাহরিয়ার কবির প্রসঙ্গে আরো কিছু কথা উল্লেখ না করলেই নয় । সংগঠণের কাজে যখন তিনি বিরামহীনভাবে দেশ-বিদেশ চষে বেড়ান , সেখানেও তিনি নিজের ঘুম, আরাম, আহার-বিহার হারাম করে ক্লান্তিহীন কাজ করে যান রাতদিন । ধারাবাহিকভাবে একের পর এক লেখালেখির কর্মকাণ্ড , বক্তৃতা-বিবৃতি , সভা-সেমিনার , ফিল্ম / ডকুমেন্টারি শো , বৈঠক-আড্ডা কোনোটাতেই তার বিন্দুমাত্র ক্লান্তি নেই। দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর ধরে যুগ কাল পেরিয়ে একটা মানুষ এতো প্রকান্ড কাজ কিভাবে করেন তা আমার কাছে রীতিমত এক বিস্ময় বলেই মনে হয় । এর অন্য উদাহরণ আমার চোখের সামনে আমি খুজে পাই না । এক অভীষ্ট লক্ষ্যকে সামনে রেখে যে অতুলনীয় নিষ্ঠা, ত্যাগ ও শ্রম তিনি দিয়ে যাচ্ছেন সংগঠনটির ভেতরে এবং বাইরে, এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে, তার বিকল্প আমি দেখি না। তিনি যে যুদ্ধে নেমেছেন, সেই যুদ্ধের তিনি একজন জাঁহাবাজ সিপাহসালার । জাহানারা ইমাম, মারা যাবার পর তার সংগঠণটি মুখ থুবড়ে পড়েনি। আদর্শ এবং লক্ষ্য থেকে বিন্দুমাত্র বিচ্যুত হয়নি একমাত্র অসাধারণ মেধাসম্পন্ন এই যোগ্য বুদ্ধিজীবি মানুষটির নেতৃত্বের জন্যে । যে স্বপ্ন ও সংকল্প নিয়ে জাহানারা ইমাম যুদ্ধে নেমেছিলেন তার যোগ্য উত্তরসুরীর নেতৃত্বে সেই স্বপ্ন আজ আমাদের সফল পরিণতি লাভ করেছে । চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের বহুল প্রতীক্ষিত ও কাংখিত রায় প্রকাশ শুরু হয়েছে । ইপ্সিত লক্ষ্য পূরণ ও মনের কোণে জমে থাকা চল্লিশ বছরের অবিনাশী ক্রোধ ও দুঃসহ যন্ত্রনার তীব্র দহন হাল্কা হয়ে আসছে । পরাজিত অপশক্তির বিষদাঁত ভেঙ্গে দিয়ে তাদের নির্মূল করার যুদ্ধ আমাদের সফলতার দিকে । বহুমুখী প্রতিভাসম্পন্ন এই বীর তার অনন্য কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়েই আজ জাতীয় এক আইকনে পরিণত হয়েছেন । তার তুলনা তিনি নিজেই । জননী জাহানারা ইমাম এবং নির্ভীক যোদ্ধা শাহরিয়ার কবিরকে আমাদের সশ্রদ্ধ সালাম ও আজন্মের কৃতজ্ঞতা, তাদের ঐতিহাসিক দুরুহ কর্মকাণ্ডের জন্যে । সেই সাথে ধন্যবাদ, অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এবং তার সরকারকে । এর সাথে আমার আরো প্রত্যাশা, বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ বিরোধী জঞ্জাল নির্মূলের জন্যে বর্তমান সরকারের অন্তত আরো চার টার্ম ক্ষমতায় থাকা ও গোটা দেশ-জাতি শাশ্বতকাল মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জীবিত থাকার জন্যে এর পক্ষের একটি সরকারের স্থায়ীভাবে ক্ষমতায় অবস্থান করা । আমার প্রস্তাব, সার্বিক অবদান বিবেচনা করে এ বছর একুশে পদক শাহরিয়ার কবিরকে দেয়া হোক । এটা হবে জাতির জন্যে তার অসাধারণ কর্মকাণ্ডের প্রতি একটি অতি ক্ষুদ্র সম্মান ও স্বীকৃতি । এই ক্ষুদ্র প্রাপ্তি তিনি প্রশ্নাতীতভাবেই পেতে পারেন ।


ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাথে প্রয়াত জননী জাহানারা ইমামের নাম অবিচ্ছেদ্য । আমাদের এই মহীয়সী জননী গতায়ু হবার পর এই সংগঠণটির সাথে আরেক অকুতোভয় যোদ্ধা শাহরিয়ার কবির এর নাম এমন ভাবে যুক্ত হয়ে গেছে যে, এই দুটিকে আলাদা করার কোনো সুযোগ নেই। একটি আরেকটির পরিপুরক বা একটি ছাড়া অপরটি অসম্পূর্ণ । শুধু কি তাই ? ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ও শাহরিয়ার কবির, এ নাম দুটি এখন সমার্থক হয়ে গেছে । এই সংগঠনটিকে সচল, সক্রিয় এবং এর অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখার জন্যে এর সাথে সংশ্লিস্টদের ওপর দিয়ে জামাত-বিএনপি এবং অশুভ চরম প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির হুমকি ধমকি অপপ্রচার, জেল-জুলুম, অত্যাচার-নিপীড়ন, জীবনের ঝুঁকিসহ পদে পদে যে ঝড়-ঝাপ্টা নিরবিচ্ছিন্নভাবে বয়ে গেছে, তা দুর্যোগের এক অলেপনীয় অধ্যায় হিসেবেই চিহ্নিত হয়ে আছে এবং থাকবে । এতকিছুর পরেও সংগঠনটি নির্মূল হয়ে যায়নি । এর অস্তিত্ব আজ সদর্পে দেদীপ্যমান । জামাত-বিএনপির জোট সরকারের ভয়ংকর চাপের মুখে থেকেও সংগঠণের সাথে সক্রিয় কেউ নতি স্বীকার করেননি । তবে পাপী সেই সরকার চাপে ফেলে বাধ্য করেছেন আমাদের দেশবরেন্য প্রধাণ কবি শামসুর রাহমানকে পিছু হটতে । সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা এন এস আই এ কর্মরত কবির মেয়ে জামাইকে চাকুরিচ্যুত করার হুমকি দিয়ে নিরুপায় কবিকে সংগঠনটির শীর্ষ পদ থেকে পদত্যাগে বাধ্য করেন জোট সরকার । এছাড়া তেমন উল্লেখযোগ্য কাউকে শত চাপের মুখে রেখেও সংগঠণ ছাড়া করতে পারেনি সেই দুষ্ট সরকার । দুর্বৃত্ত মোল্লাদের জাহেলিয়া ফতোয়া, মুরতাদ ও সরকার কর্তৃক রাস্ট্রদ্রোহী (শাহরিয়ার কবির, মুনতাসির মামুন ) ঘোষণা ও নানান আজগুবি মামলা করেও সংগঠনটির টীকিটিও বাকা করতে পারেনি । বহু ঝঞ্ঝাময় দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে সংগঠণটি এগিয়ে গেছে তার লক্ষ্যে সাহস ও মনোবল অটুট রেখে , দুর্বার গতিতে না হলেও হাটি হাটি পা পা করে । এবং তা সম্ভব হয়েছে লক্ষ্য অর্জনে স্থির ও দুর্মর অকুতোভয় নেতৃত্বের কারণে । এর পুরোভাগেই ছিলেন শিরোমণি শাহরিয়ার কবির । তার সাথে ওতপ্রতোভাবে জড়িত মুনতাসির মামুন, কাজী মুকুল সহ দেশ প্রবাসের বহু নিবেদিত কর্মী বাহিনীর অবদানও খুব বড় মাপে উল্লেখ করার মতো । এদের মধ্যে আমার খুব কাছে থেকে দেখা সুইডেন প্রবাসী এক নিবেদিত কর্মী সাব্বির খানের সংগঠণটির জন্যে বিরামহীনভাবে অক্লান্ত পরিশ্রম দানের কথা এখানে উল্লেখ না করে পারছি না । জাতির জন্যে এদের ঋণ শোধ করার মতো নয় । এখানে শাহরিয়ার কবিরের কথাই আমি বিশেষ ভাবে উল্লেখ করবো । এই সংগঠণটির জন্যে তিনি ঘর সংসার পিছু ফেলে রেখে, দুর্মুখদের নানান অপবাদ, তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যকে উপেক্ষা করে , জীবনকে যমদুতের মুখে ঠেলে দিয়ে সীমাহীন ঝুঁকি নিয়ে বীর যোদ্ধা সৈনিকের মতো যেভাবে নিরলস কাজ করে আসছেন নিবেদিত প্রাণে, তার অন্য কোনো নজীর নেই বাংলাদেশে । যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ত্বরান্বিত ও কার্যকর করার অবিচল লক্ষ্যে এই সংগঠনটির কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে তার নিজের যা আছে তা সহ এমনকি মুল্যবান সম্পদ বিক্রি ও ধার-দেনা করে এবং দেশে বিদেশে সতীর্থদের কাছ থেকে প্রাপ্ত যৎসামান্য চাঁদা বা অনুদান নিয়ে বহু কষ্টে তার ক্যাম্পেইন অব্যহত রেখেছেন। শুধু তাই নয়, বর্তমান ও আগামী প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে অবিকৃতভাবে চীরঞ্জীব করে রাখার জন্যে নিয়মিত প্রকাশনা দেশের অসংখ্য লাইব্রেরীতে এবং বিদেশে প্রেরন, বহু অসহায় বীরাঙ্গনা ও দরিদ্র শহীদ পরিবার এবং তাদের সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ বহন করার জন্যে আর্থিক ও বৈষয়িক সহায়তা প্রদাণের কথা খুব কম সংখক লোকই জানেন । বর্ণনা দেবার মতো সুংগঠনটির অনেক কিছুই আছে। এখানে অতো ফিরিস্তি দিয়ে লাভ নেই । শাহরিয়ার কবির এবং তার সংগঠনটিকে আমার খুব কাছ থেকে প্রত্যক্ষ করার সুযোগ হয়েছে বলে
এসব জানতে পেরেছি । এখানে শাহরিয়ার কবির প্রসঙ্গে আরো কিছু কথা উল্লেখ না করলেই নয় । সংগঠণের কাজে যখন তিনি বিরামহীনভাবে দেশ-বিদেশ চষে বেড়ান , সেখানেও তিনি নিজের ঘুম, আরাম, আহার-বিহার হারাম করে ক্লান্তিহীন কাজ করে যান রাতদিন । ধারাবাহিকভাবে একের পর এক লেখালেখির কর্মকাণ্ড , বক্তৃতা-বিবৃতি , সভা-সেমিনার , ফিল্ম / ডকুমেন্টারি শো , বৈঠক-আড্ডা কোনোটাতেই তার বিন্দুমাত্র ক্লান্তি নেই। দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর ধরে যুগ কাল পেরিয়ে একটা মানুষ এতো প্রকান্ড কাজ কিভাবে করেন তা আমার কাছে রীতিমত এক বিস্ময় বলেই মনে হয় । এর অন্য উদাহরণ আমার চোখের সামনে আমি খুজে পাই না । এক অভীষ্ট লক্ষ্যকে সামনে রেখে যে অতুলনীয় নিষ্ঠা, ত্যাগ ও শ্রম তিনি দিয়ে যাচ্ছেন সংগঠনটির ভেতরে এবং বাইরে, এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে, তার বিকল্প আমি দেখি না। তিনি যে যুদ্ধে নেমেছেন, সেই যুদ্ধের তিনি একজন জাঁহাবাজ সিপাহসালার । জাহানারা ইমাম, মারা যাবার পর তার সংগঠণটি মুখ থুবড়ে পড়েনি। আদর্শ এবং লক্ষ্য থেকে বিন্দুমাত্র বিচ্যুত হয়নি একমাত্র অসাধারণ মেধাসম্পন্ন এই যোগ্য বুদ্ধিজীবি মানুষটির নেতৃত্বের জন্যে । যে স্বপ্ন ও সংকল্প নিয়ে জাহানারা ইমাম যুদ্ধে নেমেছিলেন তার যোগ্য উত্তরসুরীর নেতৃত্বে সেই স্বপ্ন আজ আমাদের সফল পরিণতি লাভ করেছে । চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের বহুল প্রতীক্ষিত ও কাংখিত রায় প্রকাশ শুরু হয়েছে । ইপ্সিত লক্ষ্য পূরণ ও মনের কোণে জমে থাকা চল্লিশ বছরের অবিনাশী ক্রোধ ও দুঃসহ যন্ত্রনার তীব্র দহন হাল্কা হয়ে আসছে । পরাজিত অপশক্তির বিষদাঁত ভেঙ্গে দিয়ে তাদের নির্মূল করার যুদ্ধ আমাদের সফলতার দিকে । বহুমুখী প্রতিভাসম্পন্ন এই বীর তার অনন্য কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়েই আজ জাতীয় এক আইকনে পরিণত হয়েছেন । তার তুলনা তিনি নিজেই । জননী জাহানারা ইমাম এবং নির্ভীক যোদ্ধা শাহরিয়ার কবিরকে আমাদের সশ্রদ্ধ সালাম ও আজন্মের কৃতজ্ঞতা, তাদের ঐতিহাসিক দুরুহ কর্মকাণ্ডের জন্যে । সেই সাথে ধন্যবাদ, অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এবং তার সরকারকে । এর সাথে আমার আরো প্রত্যাশা, বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ বিরোধী জঞ্জাল নির্মূলের জন্যে বর্তমান সরকারের অন্তত আরো চার টার্ম ক্ষমতায় থাকা ও গোটা দেশ-জাতি শাশ্বতকাল মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জীবিত থাকার জন্যে এর পক্ষের একটি সরকারের স্থায়ীভাবে ক্ষমতায় অবস্থান করা । আমার প্রস্তাব, সার্বিক অবদান বিবেচনা করে এ বছর একুশে পদক শাহরিয়ার কবিরকে দেয়া হোক । এটা হবে জাতির জন্যে তার অসাধারণ কর্মকাণ্ডের প্রতি একটি অতি ক্ষুদ্র সম্মান ও স্বীকৃতি । এই ক্ষুদ্র প্রাপ্তি তিনি প্রশ্নাতীতভাবেই পেতে পারেন ।
৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×