তারপর অনেকদিন গেল, বাস্তবতার কারনেই আমাদের গানের দল বসে না বহুদিন। যদিও কখনো কাকতালীয়ভাবে দলটা একসাথে হয়ে যেত, অদ্ভুদ আনন্দ নিয়ে ভেসে যেতাম গানে। তারপর আরও অনেক অনেকদিন। ততদিনে পদ্ম খুঁজে নিয়েছে নতুন ঠিকানা, রিপনও খানিকটা প্রফেশনালদের দলে। সুশান্ত হয়েছে আরও ব্যস্ত তার কাজে, মিথুন অতুনুকে নিয়ে নতুন আশায় বুক বেঁধেছিলো নতুন দলের। কেন যেন তাও হলো না।
গত সন্ধ্যায় নতুন গানগুলো আবার ঝংকার তুলেছিলো রক্তে। একেকটা লাইন শোনার পর আরেকটা লাইন শোনার জন্য অপেক্ষা। কেমন যেন আমাদেরই কথাগুলো বলে যাচ্ছিলো ছেলেটা, অতনুর ছাত্র। আমি আবার আশা নিয়ে ওর গান শুনি। আমার হ্য়তবা তৈরী হতে পারে আমাদের গানের দল, গানের দল।
মাঠের মধ্যে গান হচ্ছিলো, গোল হয়ে বসে। আমাদের আশপাশে বসে ছিলো অনেকে, কিছু বন্ধুদের আড্ডা। কিছু জুটি। আস্তে আস্তে যখন খালি হচ্ছে মাঠ, হঠাৎ খেয়াল করলাম একটি জুটি এগিয়ে আসছে আমাদের দিকে। খানিকটা দূরত্ব নিয়েই থামলো তারা। তারপর শুনতে লাগলো আমাদের গান। আস্তে আস্তে গাঢ় হলো তারা। ছেলেটা খানিকটা আড়াল করে ঠোঁট দুবালো বোধহয় ঠোঁটে। গান চলছে তখনও, মাথার উপর চাঁদ। আমি ভাবলাম, ওদের আড়াল করবার কোন দরকার ছিলো না। এই সুরের জোয়ারে কোন কিছুই আর অশ্লীল না। ঐ চুম্বনেই তৈরী নতুন স্বপ্ন।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে আগস্ট, ২০০৭ দুপুর ১২:২৬