somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার রোজনামচা:১৫/০৮।২০০৭! পরীবাগের মেয়েরা, মাথা ঠিক থাকে না!

১৭ ই আগস্ট, ২০০৭ সকাল ১১:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

(+18)


কি আনন্দ ঘরে ঘরে!


মনে বড় উতফুল্লতা লইয়া ঘম থিকা উঠি বেশ ভোরেই উঠিলাম। বেলা মোটে ১১:১৫। আহ কোনো অফিস নাই, টেনশন নাই, আড্ডা নাই: আয় আইজকা। মনে উচাটোনিয়ান ভাব নিয়া মনে করার চেস্টা করলাম রাইতে কি স্বপ্ন দেখিলাম, মাগার মনে করবার পারলাম না।
বিছানা থিকা উঠিবা মাত্র মনে হইলো আইজ দুপুরে কুমিল্লা যামু, বন্ধুর বিয়া! পেটে কিছু চালান দিলাম বোসকা পাট্টি গুছাইলাম, মাগার যখনই পকেটে হাত দিলাম, দেখি টাকা নাই। কি করা, গোসল খান ফরজ কইরা জিন্স-টিশার্ট ঝুলাইয়া দিলাম রওনা মিরপুর ১১ নং এর উদ্দেশ্য টার্গেট এসসিবির এটিএম বুথ।
মিরপুর ১ এ যাইয়াই রিক্সা দিলো ঘটনা ঘটাইয়া। ঘটনা খান হইলো রিক্সা ১ নংএর মোড়ে সাইড করতে লইয়া দিলো একটা সুন্দর মাইয়ার পিছনে লাগাইয়া। পজিশন এরম: আমি তাকাইয়া রইছিলাম ঐ মাইয়ার পিছন দিকে আর রিক্সা ওয়ালা তাকাইয়া রইছিলো পাশে দিয়া হাইটা যাওয়া মাইয়াটার দিকে।
আমি তো জিহবায় একটা কামড়: কি করি! এদিকে মাইয়াটা তো কাউ কাউ, মাগার আসল খবর জানেনা: মাইয়াটার সালোয়ারের পিছনে চাক্কার দাগ অলরেডী লাইগা রইছে। আমি কোন মতে কাউ কাউয়ের মধ্যে ভাড়া কোনোমতে রিক্সাওয়ালার পকেটে ঢুকাইয়া দে দৌড় ১১ নম্বরের উদ্দেশ্যে। বুথে নাইমাই দেখি দারোয়ানের স্যালুট, মনে হইলো আমি বোধ হয় আর্মির কেউকেটা হইয়া গেছি। আমি ভাবের উপর দেড়মন মুড লাগাইয়া কইলাম," বুথ ঠিক আছে?"
-না স্যর, আউট অব অর্ডার।
মেজাজ চইড়া আম গাছের মগডালে ঠেকলো। একটা খেকারী দিয়া কইলাম," কেন? কি হইছে?"
-টাকা আটকাইয়া যাইতাছে!
যাইহোক, গজরাইতে গজরাইতে সায়েন্স ল্যাবের বিকল্প তো উঠলাম। উইঠাই আমার দিলখোশ, আমি যেই সীটে বসলাম আমার পাশে একটা ফাটাফাটি মাইয়া। কি কমু! আমার মাথাটা কি পাংখা!। অবশ্য মাইয়া টা জানলার পাশে আগেই বইসা রইছিলো, আল্লাপাক মনে লয় পাশের সীট খান আমার লিগাই খালি রাখছিলো। যাই হোক একটু আকটু ইটিস পিটিস, আমার বয়াক গ্রাউন্ড শুইনা, উই ইম্প্রেসড! ঐ মাইয়া পড়ে ইডেনে অনার্স ফাস্ট ইয়ারে, বাসা পল্লবীতে, বাপে রিটায়ার্ড সচিব। তা জিগাইলাম,"কই যান?"
-কলেজে।
-কি পরীক্ষা?
-না, একজনের জন্মদিন, তাকে উইস করবো।
-বান্ধবী?
-না বয় ফ্রেন্ড, মানে জাস্ট ফ্রেন্ড!

শুইনা মমতাজের হিট গান বুকের ভিতর দড়াম দড়াম বাজে, ফাইট্যা যায়, বুকটা ফাইট্যা যায়!

সায়েন্স ল্যাবে নাইমা রিক্সা নিয়া পরীবাগে গেলাম, কারন ঐখানে ওয়েট করতাছে আমার আরেক ফ্রেন্ড পাকনা সালেক। শেলটেকের একটা সাইট, উই সাইট ইন্জিনীয়ার। ওয়েট করলাম ৪টা পর্যন্ত। এদিকে কুলোভ ওরেফে দুর্লভ একটা বিরল অফিসিয়াল মিটিঙে আইটকা গেছে। ওর আটকানি দেইখা দিলাম কল দেয়া শুরু। পরে ও মোবাইল কলই ধরে না। তারপর শুরু করলাম ভালগার এস এম এস, ঠেকলো ওর জ্ঞাতী গুষ্ঠি উদ্ধার পর্যন্ত। এদিকে পাকনা সালেক ওর সাইটটা ঘুরায় ঘারায় দেখাইলো। ওখানে আরেকজনের সাথে পৈচয় হইলো বুয়েটের ০০ ব্যাচ। অল্পক্ষনেই আড্ডা চরমে। রাস্তায় দাড়ায়া দাড়ায়া টুপড়িতে চা খাইতে শুরু করলাম আর দেখা শুরু করলাম কোন রিক্সায় কে যায়। একটারে দেখলাম হালকা নীল বেশ স্বচ্ছ, ভিতরের অন্তরবাস উড়নার নীচে, খুবই ফরসা, পেটের নাভীটা পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে। পাকনা সালেক তো হা, আর আমি আমার ঘাড় রিক্সার সাথে যাওয়া শুরু করলো, বুয়েটি ছিলো আমার সামনে। আমাদের অবস্হা দেইখা কইলো কি হইছে, কইতে কইতে ঘাড় ঘুড়াইলো, ততক্ষনে রিক্সা আউট অফ রেন্জ। আমি তো অলরেডী বইলাই ফেলাইলাম," ফোন নম্বর কতো?" সালেক ক্য়"হায় হায় কি দেখলাম?" বুয়েটি কয়," কি দেখলেন, কি দেখলেন?" আহ ওর তড়পানি দেইখা আমার খুব দয়া হইলো।
আহ যদি আমাগো এলাকা হইতো, রাখ কোনহানকার যমুনার মা, টার্গেট থাকতো এইরকম!

যাই হোক যাত্রা শুরু করলাম বিকাল ৫:০০টায়।

হাত ব্যাথা হইয়া গেল, বাকি কিস্তি পরে একসময়!
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ১০:১৫
১৭টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কাঁচা আম পাড়ার অভিযান

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২



গাজীপুর জেলার জয়দেবপুরের বাড়ীয়া ইউনিয়নের দেউলিয়া গ্রামে আমার প্রায় ৫২ শতাংশ জমি কেনা আছে। সেখানে ছোট একটি ডোবা পুকুর, অল্প কিছু ধানের জমি আর বাকিটা উঁচু ভিটা জমি। বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×