somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি - কুরআনের হাফিয হতে চায় হিন্দু মেয়ে হেমলতা

১০ ই আগস্ট, ২০০৭ সকাল ৯:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

===============
রিপোর্টটি গতকাল হাতে পেয়েছিলাম। যদি আগে কেউ পোস্ট দিয়ে থাকেন তাহলে দ্বীতিয়বার পোস্ট করার জন্য দুঃখিত।
===============
৯ বছরের হিন্দু মেয়ে হেমলতা হতে চায় কুরআনের হাফিয। হেমলতার বাবা দিলীপ কুমার চৌধুরী এবং মা উর্মিলা দেবীর আকাঙ্ক্ষা তাদের মেয়ে মুসলমানদের ধর্মগ্রন্থটি মুখস্ত করবে।

বিহারের পাটনার অধিবাসী হেমলতার বাবা-মা তাকে পাটনার বড় খগৌল জামে মসজিদের অন্তর্ভুক্ত মাদ্রাসা মদিনাতুল উলূমে পাঠাচ্ছেন যাতে করে সে কুরআনের হাফিয হতে পারে। হেমলতার সাথে তার ৭ বছর বয়স্ক ছোট ভাই আশিষ বিদ্যার্থীও ঐ মাদ্রাসার উর্দু এবং আরবী ভাষার ছাত্র।

গত ১৬ জুন ২০০৭ মাদ্রাসার এক অনুষ্ঠানে হেমলতা স্টেজে সূরা ফাতিহা তিলাওয়াত করতে উঠলে উপস্থিত লোকজন খুবই আশ্চর্যান্বিত হন। তারা মন্তব্য করেন ব্যাপারটা অদ্ভূত ও অনন্য। হেমলতার বাবা মিঃ চৌধুরী বলেন, “আমি সবসময় আকাঙ্ক্ষা করেছি আমার ছেলেমেয়েরা উর্দু এবং আরবী শিখবে। আর সে (হেমলতা) যখন উর্দু পড়তে শুরু করল তখন আমি ভাবলাম যে তার কুরআনও পড়া উচিত।”

খাগৌলের প্রগ্রেসিভ পাবলিক হাইস্কুলের ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রী হেমলতা বলেছে, “আমি কুরআন পড়তে ভালবাসি এবং তা মুখস্ত করতে চাই।” তার ভাই আশিষ উক্ত স্কুলের ২য় শ্রেণীর ছাত্র।

এর আগে আর কোন অমুসলিম কুরআন মুখস্ত করেছে বলে জানা নেই কারো। মাদ্রাসার শিক্ষক হাফিয মুহাম্মদ আলম কাসেমীর মতে “কুরআন পড়তে কারো জন্য কোন বাধা নেই; তবে এর আগে আর কোন অমুসলিম কুরআন মুখস্ত করতে চেয়েছেন কিনা তা আমাদের জানা নেই।” তিনি কুরআনের সূরা আল-কামারের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, “নিশ্চয়ই আমরা এ কুরআনকে বুঝা এবং স্মরণ রাখার জন্য সহজ করে দিয়েছি।”

এটা নিঃসন্দেহে একটি আলোড়ন সৃষ্টিকারী ঘটনা। মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা আবু বাশার বলেন, “হেমলতার বাবা-মা যখন তাদের মেয়েকে কুরআন শিখানোর জন্য এখানে ভর্তি করাতে চাইলেন তখন আমি বেশ আশ্চর্য হয়েছিলাম। কিন্তু যেহেতু এটা একটা সুস্পষ্ট কিতাব এবং আল্লাহ্‌র চিরস্থায়ী মুজিযা, তাই উলামারা মনে করছেন এই কিতাব পড়তে ও মুখস্ত করার জন্য অমুসলমানদের আগ্রহ সে মুজিযারই প্রকাশ।”

[টাইমস অফ ইন্ডিয়া অবলম্বনে]
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই আগস্ট, ২০০৭ রাত ৩:৫৭
৪০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামের বিধান হতে হলে কোন কথা হাদিসে থাকতেই হবে এটা জরুরী না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৫



সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত, রক্ত, শূকরমাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু, আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত... ...বাকিটুকু পড়ুন

লবণ্যময়ী হাসি দিয়ে ভাইরাল হওয়া পিয়া জান্নাতুল কে নিয়ে কিছু কথা

লিখেছেন সম্রাট সাদ্দাম, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১:৫৪

ব্যারিস্টার সুমনের পেছনে দাঁড়িয়ে কয়েকদিন আগে মুচকি হাসি দিয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিল শোবিজ অঙ্গনে আলোচিত মুখ পিয়া জান্নাতুল। যিনি একাধারে একজন আইনজীবি, অভিনেত্রী, মডেল ও একজন মা।



মুচকি হাসি ভাইরাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশ এগিয়ে যাচ্ছে; ভাবতে ভালই লাগে

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৩


বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল নেতিবাচক। একই বছরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ১ শতাংশ। ১৯৭৩ সালে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭... ...বাকিটুকু পড়ুন

×