somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ক্যাশ কাউন্টারে এমন সুন্দরী মেয়ে বসে থাকলে কি আর টাকা গোণা যায় না মাথা ঠিক থাকে?

০৯ ই আগস্ট, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সেদিন অফিসের বেশ কিছু টাকা জমা দিতে হবে,তাও আবার ক্যাশে। এমনিতেই প্রতিবার আমার এক জুনিয়র দিয়ে আসত। এবার টাকার অংকটা বেশী থাকায় বস আমাকেই তার সাথে যেতে বললেন। ৭৫হাজার টাকা, ৫০০টাকা নোট করে ১৫০ টা নোট। একটি বান্ডলে ১০০টা আরেকটিতে ৫০টি আছে।

আগেই বলে নিই আমি আবার টাকা গোণায় এমন পারদর্শী যে, টাকা গুনতে গুনতে টাকার কাগজ পাতলা হয়ে ছিড়েও যেতে পারে। সোজা কথা কোন সময় একবার এই টাকা গুণে শেষ করতে পারবনা। কয়েকবার গুণতে হবে।

যাই হোক ব্যাংকে আমি ও আমার বস গেলাম। ব্যাংকে ক্যাশ রিসিভে যে বসে ছিলেন তাকে দেখেই তো অর্ধেক কাবার। মেয়ে দেখেছি বহু কিন্তু এমন মেযে কোথাও দেখিনি, আসলে কিছু কিছু সৃষ্টি আছে যারা অন্য যেকোন সৃষ্টি থেকে সবকিছু ছাপিয়ে যায়, এরকমই কিছু ভাবতে ভাবতে ক্যাশ কাউন্টারে গিয়ে বিল ও টাকাগুলো বের করলাম। যদিও গুণে এনেছি তারপরেও আর একবার গুণে দেখা দরকার তাই মোটা বান্ডলটা বসকে দিয়ে ছোট বান্ডলটা আমি নিলাম। একবার, দুবার এভাবে চারবার ফেল মারলাম, বসের অলরেডী একবারই শেষ। বস বোধহয় আমাকে খেয়াল করছিলেন ...

: কি এই কয়টা টাকা গুণতে এতবার গোণা লাগে?
- কি করব বস, বারবার ভূল হচ্ছে যে
: ভূলটা হয় কেন? মন কোথায থাকে
- বস, প্লিজ এখানে সবার সামনে ঝাড়ি দিয়েন না, অফিসে গিয়ে দিয়েন

জোড়ে ঝাড়া দিয়ে হাত থেকে টাকাগুলো নিয়ে তিনি গুণে পরিশোধ করে দিলেন
ব্যংক থেকে ফেরার পথে,
: সত্যি করে বলত, ওই সময় তোমার কি হয়েছিল, মিথ্যে বলবেনা আমি তোমাকে কিন্তু ওই সময ফলো করছিলাম
- বস, আপনিই বলেন ক্যাশ কাউন্টারে এমন সুন্দরী মেয়ে বসে থাকলে কি আর টাকা গোণা যায় না মাথা ঠিক থাকে?

অফিসে এসে সবাইকে সাথে সাথে কাহিনীটি ফ্লাশ করে দিলেন, ওমনি শুরু হল আমাকে নিয়ে ক্ষাপানো। মুরুব্বী একজন তো বলেই বসল আমি বললে প্রস্তাব নিয়ে যাবে, আমি যতই বোঝানোর চেষ্টা করছি ততই আমাকে ক্ষেপাচ্ছে। মহা বিপদে আছিরে ভাই, এরকম যেন কারো কপালে না হয়।
১৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কাঁচা আম পাড়ার অভিযান

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২



গাজীপুর জেলার জয়দেবপুরের বাড়ীয়া ইউনিয়নের দেউলিয়া গ্রামে আমার প্রায় ৫২ শতাংশ জমি কেনা আছে। সেখানে ছোট একটি ডোবা পুকুর, অল্প কিছু ধানের জমি আর বাকিটা উঁচু ভিটা জমি। বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×