somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কবরস্থান

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রধান সরক, যে টি থানা শহর এর দিকে গেছে তার থেকে বামে ছোট্ট রাস্তা টিতে ঢুকে নাক বরাবর পাঁচ মিনিট হাটলে একটা বড় পুকুর। পুকুর এর দক্ষিন পাশ আর পূর্ব পাশ ঝোপ ঝাড়ে ঢাকা। কয়েক টি শতবর্ষি গাছ এ যায়গাকে কিছুটা রহস্যময় করে তুলেছে। উত্তর পাশে রাস্তার ধারে কয়েকটি বাড়ি। গ্রামের নাম খাঁ পাড়া। বাড়িগুলো পাকা গ্রিল ঘেরা, টানা বড় বারান্দা। আর তার সামনে বড় উঠান যেটা খুলি নামে পরিচিত। কয়েকটি বাড়ির একটিই উঠান। বংশ পরম্পরায় সবাই এখানে সবার আত্মীয়। সবাই খাঁ বংশের বংশধর। যাহোক আমি বংশের কথা লিখতে বসিনি। গ্রমের বাড়ি বলতে যা বুঝায় এ গ্রাম আমার সেটিই। যদিও কিছু পরিত্ত্যাক্ত ঝোপঝাড় ওয়ালা বড় একটি যায়গা, সেই যায়গায় অসঙ্খ্য আম কাঁঠাল আর সুপারি গাছ, পুকুর এ কিছু ভাগ আর প্রাচীন ধ্বংসাবশেষ এর মত মাটির ভিতর গেথে থাকা কিছু পুরোন ইটের দেয়াল ছাড়া সেখানে আমার দাদা র কোন বাড়ি নেই।
সেই যায়গার পশ্চিম পাশেই বিশাল ফসল এর ক্ষেত।
একটা পুকুর পেরিয়ে একবিঘার একটা উঁচু জমি। আগে সেখানে চাষাবাদ হলেও এখন সেটা কয়েকটি নতুন গাছে ঘেরা। আর পুকুর এর পার ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকা তিনটি বড় আম গাছ যেন বাড়ির ও দিকটা থেকে একটা দেয়াল তুলে দাঁড়ান। যায়গাটি এমনিতেই বেশ সুন্দর। একদিকে খোলা ফসল এর ক্ষেত আর এক দিকে ছায়ায় ঘেরা এ খোলা যায়গা। পাখির অভয় নীড় এ যায়গায়। জ্যৈষ্ঠ মাসে আমের সময় আমার দায়ীত্ব পরত আম পেড়ে আনার। সেখানে গিয়ে অনেক দিন একা একা নিশ্চুপ শান্ত দুপুর পার করেছি পাখিদের গান শুনে শুনে। শুধু পাখিদের গান না ভিমরুলের কামড় ও সহ্য করতে হয়েছে অনেক সময়। তার পরও অসম্ভব ভালো লআগে এ স্থান টি।

এ স্থান টি আমাদের পারিবারিক কবরস্থান এর জন্য নির্ধারিত। ২০০৭ সালের আগ পর্যন্ত সেখানে শুধু আমার বাবা র দাদির কবর ছিল। আমি তাকে দেখেছি। কিন্তু খুব মনে রাখার মত কোন স্মৃতি তাকে ঘিরে আমার নেই। তাই তেমন কিছু মনে হত না ও যায়গায় গেলে। কবরস্থান বলেও মনে হত না। আর কখন ভাবিনি আমার আপন জনেরা এক এক করে এখানে এসে এ যায়গা কে ভরিয়ে ফেলবেন। ২০০৭ ডিসেম্বর এর ২৭ তারিখ আমার দাদি মারা যান। আমি তখন উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছি। ভর্তির চেষ্টা করছি। দাদির সাথে আমার কত যে স্মৃতি তা আমি সারা জীবন লিখেও শেষ করতে পারব না। শীতের কুয়াশা ঘেরা বিকেলে দাদি কে সেই শান্ত যায়গায় রেখে আসলাম। আমার বাবা প্রায় প্রতিদিন সেখানে যেতেন। কখন দুপুরে কখন বিকেলে কখন বা রাতে গিয়ে কবর এর পাশে দাঁড়িয়ে দোয়া করতেন। দাদিকে যেদিন রেখে আসি সেদিন আমার মনে ভর করে এক অস্বাভাবিক কিছু। আমার প্রিয় এ যায়গাটি র উপর আমার বেশ অভিমান হয়। কিছুটা রাগ। আমার মনে হয় এ যায়গাটি একে একে আমার সবাই কে কেড়ে নেবে। প্রকৃতির অসীম ক্ষমতা কে চোখ রাঙ্গানোর মত সাহস আমার নেই তাই সমস্ত রাগ গিয়ে জমা হয় ঐ যায়গার উপর।

তখন নিজের মৃত্যুর ব্যাপারটা মাথায় তেমন আসত না। আসলেও সেটা অতটা গভীর ছিল না। দাদি কে রেখে আসার পর আগের মতই নানা কাজে আমাকে ওই যায়গায় যেতে হত। কিন্তু আগের মত আমি সেই যায়গায় বসে অবসর দুপুর বা ক্লান্ত বিকেল গুলো কোন ভাবনায় পার করতে পারতাম না। আর দাদি আমার মনের মাঝে এমন ভাবে রয়ে গেছেন যে আমি ঠিক বুঝাতে পারব না। আমার সব কাজে আগের মতই মনে হয় উনি আছেন। একা একা কথা বলি তার সাথে। একা থাকতে পছন্দ করতাম আমি, আর তখন ই আমার নানান ভাবনার সাথে দাদি চলে আসত। যেমন হয়ত কৈশোরের আবেগে কোন মেয়েকে দেখে তার কথা ভুলতে পারছি না। আবার তার সামনেও যেতে পারছি না। কথা ত আরো দুরের কথা। শুধু নিজে নিজে ভাবছি আর অসম্ভব এক ভালোলাগার কষ্ট অনুভব করছি। দাদি যেন তখন আমার দিকে মুখ টিপে হেসে বলছেন,
- কি রে তুই ত দেখি তোর বাপের মতই হইছিস।
আমি বুঝলাম না বাপের মত মানে? আমার বাবা কি এরকম আমার মত ফালতু কোন বিষয় নিয়ে ভাবতে পারে? আমি বলি,
- কি বলেন?
দাত ছাড়াও তার হাসি এত সুন্দর কিভাবে হয় কে জানে? হাসতে হাসতে বলেন,
- তোর, বাপ তখন তোর মত বয়সী। আমারে খুব ভয় করে। কি জন্যে যে আমারে ভয় করে আল্লাহ জানে। এক দিন দেখি কি স্কুল থেকে এসে আড়ার পাশে যে রাস্তা সেখানে দাঁড়িয়ে চোরের মত করে কার সাথে জানি কথা কইতেছে। যার সাথে কথা কইতেছে তারে আমি চিনি। সে আমারে দেখে শাড়ি আচল টেনে তাড়াতাড়ি চলে গেল। হাতে বই। আর তোর বাপ ঐ দিন ভয়ে বাড়িত আর আসে নি।
এই বলে আবার দাদি নিঃশব্দে হাসেন। আমি ত কথা শুনে পুরাই অবাক। বাবা কে জমের মত ভয় পাই। আবার বন্ধু বলতে বাবা ই। কোন মেয়েকে নিয়ে ভাবছি সেটা কি আর বাবা কে বলা যায়?
এমন করে সব ভাবনার সঙ্গী হন দাদি। এভাবে ভালই চলছিল দিন । কিন্তু আমি ঐ যায়গাটি কে যথাসম্ভব এড়িয়ে চলা শুরু করেছি। আমার শুধুই মনে হত এ যায়গা টিই সব কেড়ে নেবে। ২০১১ সালের জানুয়ারিতে আমার পা ভেঙ্গে যায়। ঢাকার যে ফ্লাটে থাকতাম সেখানে এক রকম বন্দী হয়ে পরি। হাটু পর্যন্ত প্লাস্টার নিয়ে এঘর ও ঘর ছাড়া সিড়ি বেয়ে নামার উপায় নেই। বাবা এলেন আমাকে দেখতে। ভেবেছিলাম রাগ করবে। কিন্তু একটুও রাগ করল না। বড়ং কি এক আগ্রহ নিয়ে তিনি আমার ঘর সাজাতে লেগে গেলেন। ফ্লোরে থকাতাম সবাই। তাই বাসা থেকে খাট কেনার টাকা দিলেও কিনি নি। বাবা এসে খাট কিনে দিলেন। বই পড়ার অভ্যাস ছিল আগে থেকেই। কেনা বই গুলো স্তুপ হয়ে গিয়েছিল। বাবা বাড়িথেকে কাঠ আনিয়ে এক বড় র্যাাক বানিয়ে দিলেন নিজের হাতে। সেখানে আমার বই গুলো সাজিয়ে দিলেন। আমি ভাঙ্গা পা নিয়ে বসে বসে বাবা র ছেলে মানুষী দেখছিলাম। মনে হচ্ছিল তিনি আমার সংসার সাজিয়ে দিচ্ছেন। ক দিন পর বাবা চলে গেলেন। যাওয়ার আগে কপালে চুমু দিয়ে কি এক কারনে চোখ মুছতে মুছতে চলে গেলেন। আমি ঠিক মেলাতে পারলাম না। সেদিন রাতে এক স্বপ্ন দেখলাম। অদ্ভুত এক স্বপ্ন। সে যায়গাটি তে আমি বসে আছি একা। যায়গা টি যেন হাসছে। মনে হচ্ছে সে আনন্দিত। তার সেই হাসি আমার বুকে সৃষ্টি করছে এক হাহাকার এর। ঘুম থেকে যে গে উঠে হাতের কাছে বোতল থেকে পানি ঢেলে খেলাম। কিন্তু হাসিটি যেন স্থায়ী হয়েগেছে মনের মাঝে। চোখ বন্ধ করলেই সেই হাসি। অস্বস্তি কর।
দীর্ঘ ৩৪দিন পর প্লাস্টার খূলে আমি বাড়ি গেলাম ঢাকা থেকে। সেই রাতে অদ্ভুত ভাবে স্বপ্নটি ফিরে আসল আবার। শেষ রাত থেকে ফজর এর আজান পর্যন্ত নির্ঘুম কাটিয়ে আজান এর পরই বাবা র ডাক শুনতে পেলাম। নামাজ পরে এসে একটু হাটলাম রাস্তা ধরে। অনেকদিন প্লাস্টার করা থাকায় হাটা টা যেন আমি ভুলেই গেছি। এক রকম নতুন করে আমাকে পা ফেলা শিখতে হচ্ছে। এ দিন দুপুরে ছোট চাচা থমথমে গলায় আমাকে ফোন করে বললেন একটু এ বাসায় আসত। (আমার দাদু বাড়ি যেতে বললেন) গেলাম, গিয়ে

দেখি আমার মেজ ফুপু আচল চাপা দিয়ে কাঁদছেন। চাচা আমাকে টেনে ঘরের ভেতর ঢুকিয়ে বললেন
“ তোমার মেজ চাচী গলায় ফাস নিছে, মারা গেছে মনে হয় আর তোমার চাচা তাকে ঢাকা মেডিকেল এ নিয়ে এখন পুলিশ কে রিপোর্ট করতে যাচ্ছে”।

কথাটা শুনে আমার প্রতিক্রিয়া ঠিক কি হয়া উচিত বুঝতে পারলাম না। হঠাৎ হাসি টা যেন আবার আমা কানে বেজে উঠল। চাচী কে সেই যায়গায় কবর দিতে পারিনি। তার বাবা মা নিয়ে গেছে। চাচা জেলে । ঢাকায় আমি আমার পরিবার এর একজনই থাকি। তাই সমস্ত উকিল পুলিশ জেলখানা আদালত এসব আমাকে একা করতে হয়েছে। চাচার বিরুদ্ধে মামলা করেছিল তার স্বশুর আত্মহত্মা প্ররোচনা মামলা। আগে মামলা টামলা এসব বুঝতাম না। কিন্তু প্রকৃতির কোন এক ইচ্ছায় আমাকে সবি শিখতে হল। দেখতে হল দেশের কিছু কাল দিক । সেসব এ লেখায় লিখতে চাই না। চাচা র মামলা নিয়ে যখন দৌড়াদৌড়ি চলছে আমার এর মাঝেই বাবা অসুস্থ পরলেন। ঢাকায় এলেন। থাকলেন তার সাজিয়ে দেয়া ছেলের সংসারে এক রাত। পরদিন চলেগেলেন পৃথিবী ছেড়ে। সেদিনের সে রাতের কথা আমি লিখতে চাই না। আমাকে হাঁসপাতাল থেকে লিখিত দিতে হয়েছিল “ আমি আমার বাবা র লাশ বুঝিয়ে পাইলাম এই মর্মে” সে লেখাটি যে কত শক্ত একটা লেখা তা যারা লেখেনি তারা বুঝবে না। বাবা মারা গেলেন যে দিন তখন আমার ছোট বোনটি এস।এস।সি পরীক্ষা দিচ্ছিল। বাবা কে কখন মাটি দেয়া হবে কি করতে হবে সব কিছু ব্যাপারে সবাই আমাকে জিজ্ঞেস করছিল। সবাই বলছিল আমার বোনের পরীক্ষা দেয়ার দরকার নাই। অনেক শুভানুধ্যায়ী আছে তারা বাবা কে দেখার জন্য আসবে তাই সকালে মাটি দিতে বলছিল অনেকেই। মাইক্রো বাসে বাবা র লাশের দিকে তাকিয়ে ছিলাম আমি নিস্পলক ভাবে। ছোট চাচা বসেছিলেন তার পাশে , তিনি বাবা র খুব আদরের ছিলেন। তিনি এমন হাউমাউ করে কাদছিলেন। আমি মা র দিকে চাচা র দিকে তাকিয়ে বললাম

“মা, বাবা কিছু বলে গেছে কবর এর ব্যাপারে”?
মা বললেন, “ বলে গেছেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যেন মাটি দেয়া হয়”।

আমি দৃড় কন্ঠে বললাম মা বাবা কে আজ রাতেই মাটি দেব, এ ব্যাপারে আপনার কিছু বলার আছে”?

মা শুধু বললেন,

“ তুমি যেটা ভালবোঝ সেটা তোমার চাচা র সাথে বুঝে সিদ্ধান্ত নাও আমি কিছু বলতে পারব না”।
চাচা বললেন “ঠিক আছে”।
বাবা কে নিয়ে যখন সবার মাঝে আসলাম হঠাৎ করেই যেন আমি খুব বড় হয়ে গেলাম। বোনটি আমার কাঁদছে আমার কাছে এসে। কি বলব আমি ওকে? শুধু কাছে টেনে নিয়ে বললাম

“আমি আছি বাবা র দোয়া আছে কাদছিস কেন”?
কেন কাঁদছে তাত আমি জানি। বাবা মারা গেলে সন্তান কেন কাঁদে তা সন্তানই শুধু জানে। বাবা কে রেখে আসলাম সেই যায়গায়। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বাবা দের মাঝে সে ছিল একজন। তাকে রেখে আসার সময় শেষ বার যখন আমি কবরের পাশে দাড়াই তখন বাবা যেন আমাকে বললেন,
“ বাপজান, এ শক্ত মাটির মত তোমাকে শক্ত হতে হবে”।
আমি শুধু চোখের পানি ফেললাম। ফিরে এসে আমার বোন কে নিয়ে বসলাম। বললাম কাল তোর রসায়ন পরীক্ষা। তোকে পরীক্ষা দিতে হবে। ও আমার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকল কিছুক্ষন। অন্যরা আমাকে দেখতে লাগল অদ্ভুত দৃষ্টিতে। যে মেয়ে এখনই বাবা কে দাফন করে আসল সে কাল পরীক্ষা দেবে কি? তাও আবার এস এস সি পরীক্ষা? কিন্তু আমি দৃড়, পরীক্ষা ওকে দিতেই হবে। ও আমার কথা শুনে এশার নামাজ পরে বই নিয়ে বসল। আমি বই সামনে থেকে তুলে নিয়ে বললাম তুই ঘুমুতে যা পড়তে হবে না। ও আমার কথা শুনে ঘুমুতে গেলে। সকালে ফজর এর নামাজ পরে বললাম

“এখন পড় একটু। কোন তারাহুড়া নেই। মনে রাখিস পরীক্ষা কোন ব্যাপার না। সাহস টাই বড়”।

বোন টি আমার পরীক্ষা দিল। রেজাল্ট এর দিন আমি দুড়ু দুড়ু বুক নিয়ে রেজাল্ট খুজলাম। রেজাল্ট দেখে আমার চোখে পানি এসে গেল। মনে হল হাউনাউ করে কাঁদি। এ যেন এক রাজ্য জয় থেকেও অনেক বড় আনন্দ। ও শুধু পাশ করেনি গোল্ডেন A+ পেয়েছে। বাবা হীন এ আনন্দের দিন টা কিভাবে কেটেছে তা একটু কল্পনা করলেই বুঝতে পারবেন সবাই।
এর পর এর দিন গুলো কি ভাবে যেন কেটে যেতে লাগল। চাচা বেড়িয়ে আসল জেল থেকে। আমি চলে আসলাম এ সাগরে। এত কিছুর মাঝে এক রাতে আবার সেই হাসির শব্দ শুনতে পেলাম। আবার বুক ধুক করে উঠল। মনে হল আবার কি কেউ? না। এ আমি মানি না। কিন্তু আমার কথার সব কিছু মিথ্যে করে পর দিন খবর পেলাম আমার বড় চাচা মারা গেছেন। যায়গাটি ভরে উঠছে। তার ১৯ দিনের মাথায় দাদু চলে গেলেন। এ দু জন কে আমি দেখতে পারলাম না।
এক সময় এর ফাকা যায়গা টি আজ অনেক গুলো মানুষ কে বুকে নিয়ে আছে। কিছুদিন আগে যেমন যায়গা টিকে এড়িয়ে চলতাম। ওর দিকে তাকিয়ে কেমন যেন ভয় ভয় লাগত হঠাৎ করেই আবিষ্কার করলাম তা আর লাগছে না। মনে হচ্ছে এ যায়গা টিই ত আমার আসল যায়গা। এখানেই ত আমার সব আপন জন। যে মৃত্য কে এক সময় ভয় পেতাম। সেটিকে যেন বুঝতে পারছি। আর বুঝতে পারছি আমাদের সেই হাসি খুশির বাড়িটি খালি হবে আর আমরা সবাই একত্র হব সেই কবরস্থানে।
১১টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্যারিস্টার সুমন দায়মুক্ত , চু্ন্নু সাহেব কি করবনে ?

লিখেছেন শাহাবুিদ্দন শুভ, ০৮ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৭


দেশে প্রথম কোন সংসদ সদস্য তার বরাদ্ধের ব্যাপারে Facebook এ পোষ্ট দিয়ে জানিয়ে থাকেন তিনি কি পেলেন এবং কোথায় সে টাকা খরচ করা হবে বা হচ্ছে মানুষ এসব বিষয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়ের নতুন বাড়ি

লিখেছেন সাদা মনের মানুষ, ০৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২২

নতুন বাড়িতে উঠেছি অল্প ক'দিন হলো। কিছু ইন্টরিয়রের কাজ করায় বাড়ির কাজ আর শেষই হচ্ছিল না। টাকার ঘাটতি থাকলে যা হয় আরকি। বউয়ের পিড়াপিড়িতে কিছু কাজ অসমাপ্ত থাকার পরও পুরান... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। শিল্পী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৮










চিত্রকলার কোন প্রথাগত শিক্ষা ছিলনা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের। ছোট বেলায় যেটুকু শিখেছিলেন গৃ্হশিক্ষকের কাছে আর পাঁচজন শিশু যেমন শেখে। সে ভাবে আঁকতেও চাননি কোন দিন। চাননি নিজে আর্টিস্ট... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাহান্নামের শাস্তির তীব্রতা বনাম ইসলামের বিবিধ ক্ষেত্রে অমুসলিম উপস্থাপিত বিবিধ দোষ

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৪



জাহান্নামের শাস্তির তীব্রতার বিবেচনায় মুমিন ইসলামের বিবিধ ক্ষেত্রে অমুসলিম উপস্থাপিত দোষারোপ আমলে নেয় না। আমার ইসলাম সংক্রান্ত পোষ্ট সমূহে অমুসলিমগণ ইসলামের বিবিধ ক্ষেত্রে বিবিধ দোষের কথা উপস্থাপন করে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শ্রান্ত নিথর দেহে প্রশান্তির আখ্যান..... (উৎসর্গঃ বয়োজ্যেষ্ঠ ব্লগারদের)

লিখেছেন স্বপ্নবাজ সৌরভ, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ১:৪২



কদিন আমিও হাঁপাতে হাঁপাতে
কুকুরের মত জিহবা বের করে বসবো
শুকনো পুকুর ধারের পাতাঝরা জামগাছের নিচে
সুশীতলতা আর পানির আশায়।

একদিন অদ্ভুত নিয়মের ফাঁদে নেতিয়ে পড়বে
আমার শ্রান্ত শরীর , ধীরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×