শাফিক আফতাব------------
ভোরের পুকুর খলত খলত করে, কে ছুপ ছুপ স্নান সারে ?
রাতের আবেশমাখা উচ্ছিষ্ট পুলকদের ধুয়ে মিশে দেয় পুকুরের জলে,
হংসের মতোন মিলোনোত্তর ডুবে ডুবে চুলে ঝাঁট মাওে ;
স্তনের স্পর্শ লেগে পুকুরের জল আহা আপনাই বয় ছলোছল ছলে।
আবছা আঁধারে ভেজা কাপড়ে পত পত শব্দে লজ্জাতুরা বধু,
গন্তর্পণে ঘরে ঢোকে পড়ে, পাছে কেউ দেখে ফেলে, টের পায় রাতের কাহিনী !
ভোরের আলো ফোটার আগেই তার কপালে আবার সিঁধু ;
কে বলিবে আজ রাতে তেপান্তরের মাঠ চষে গেছে তাদের নিশিরজনী।
সকালের সাদা রোদে আনন্দ আর পুলক লাগা দেহে ভাত রাঁধে সে,
উন্মূন মনে পুরিপুষ্ট বুকে বধুর আহা বেঁচে থাকার কী যে আনন্দ তার ,
পেটের সন্তান জন্মিবে আগামী শীতের শেষে পৌষ মাসে,
আনন্দে বিহবল সে, উল্লাসে আত্মা হারা, দেহ মনে আনন্দ অপার।
পুকুর, গাভি, বৃক্ষ আর মাঠে ছড়া ছড়া ধান আর ঘরে শানিত ফলার কৃষক
সব মিলে আবহমান বাংলার রূপ, সুখে নেড়ে ওঠে বধুর নাকের নোলক।
নিসর্গ : ঢাকা
৩০.০৫.২০১৩