somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশ কেন আলাদা-১

০৪ ঠা আগস্ট, ২০০৭ রাত ১০:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আমরা ভার্সিটিতে যে সকল বই পড়ে থাকি তা সাধারণত বাইরের দেশের লেখকদের লেখা। ফলে অনেক সময় আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে বুঝতে সমস্যা হয়ে থাকে। আমাদের এক স্যার এ জন্য আমাদের একটি উপদেশ দিয়েছেন,” কখনই বইয়ের লেখার সাথে বাংলাদেশের মিল-অমিল খুঁজতে যাবে না, কারণ বাংলাদেশ অদ্ভুত নিয়মে চলে।“ এই ধারাবাহিক লেখায় কিছু প্রেক্ষাপট তুলে ধরা হবে।

উদ্বুদ্ধকরন(motivational) তত্ত্বগুলোর অন্যতম হল মেসলোর চাহিদার ক্রমাধিকারতন্(maslow’s need hierarchy theory)ত্র। এই তত্ত্ব অনুসারে, মানুষের চাহিদা পাঁচ প্রকার। ১.শারীরবৃত্তীক চাহিদা (physcological needs)২. নিরাপত্তাজনিত চাহিদা(safety needs) , ৩.সামাজিক চাহিদা(social needs), ৪. শ্রদ্ধা সম্পর্কিত চাহিদা(esteem needs) ও ৫. আত্মোপলব্ধি সম্পর্কিত চাহিদা (self-actualization)।এখানে শারীরবৃত্তীক চাহিদা হলঃ খাবার, ঘুম, পানি ইত্যাদি। এটা হল মানুষের সবচেয়ে প্রথম চাহিদা। এই চাহিদা পূরণ না হওয়া পর্যন্ত মানুষ অন্য কোন চাহিদার কথা চিন্তা করতে পারে না। এরপরের চাহিদা হল নিরাপত্তাজনিত চাহিদা। এগুলো হলঃ বাসস্থান, চাকরী, শত্রুর আক্রমন প্রতিহত করার ব্যবস্থা, পেনশন ইত্যাদি। এই সকল চাহিদা পুরন হলেই মানুষ পরবর্তি চাহিদা যা সামাজিক চাহিদার স্তরে পৌছায়। সামাজিক চাহিদা স্তরে রয়েছে বন্ধু বান্ধব বানানোর সুযোগ, পরিবার বানানোর সুযোগ, প্রেম করার সুযোগ প্রভৃতি। এরপরের চাহিদাগুলোয় আর গেলাম না। এই তত্ত্ব অনুসারে, প্রথমে প্রথম দুটি চাহিদা পুরন হতে হবে এবং এর পরেই তৃতীয় স্তরে যাওয়া যাবে। তো স্যার আমাদেরকে জিজ্ঞেস করলেন যে, বাংলাদেশ এ কি এই ক্রমাধিকার মানা হয়ে থাকে নাকি? আমরা স্বাভাবিক ভাবেই হ্যা বললাম। কিন্তু স্যার বললেন যে মানা হয় না। কারন আমরা যদি বিকাল বেলা ঢাকা ইউনিভার্সিটি এলাকায় যাই তাহলেই তো অনেক জোড়াকে একসাথে বসে থাকতে দেখি। এদের অনেকেই বেকার। কাউকে কাউকে তো আবার দেখলে মনে হয় অনেকদিন ধরে খায় না। অর্থাৎ তারা এখন প্রথম দুটি স্তর পার করতে পারেনি। কিন্তু তারা এখন কি করছে? তাদের কাজকর্ম অবশ্যই সামাজিক চাহিদা পুরনের জন্য! কিন্তু এটা তো তৃতীয় স্তর! অর্থাৎ বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এই ক্রমাধিকারটি মানা হয় না। তাই বইয়ের সাথে বাংলাদেশ-এর মিল খুঁজা আর খড়ের গুদামে সুঁই খুঁজা একই জিনিষ।
[link|http://banglawritings.wordpress.com/2007/08/04/
৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অলীক সুখ পর্ব ৪

লিখেছেন স্প্যানকড, ২৮ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৫

ছবি নেট

শরীর থেকে হৃদয় কে বিচ্ছিন্ন করে দেখতে চেয়েছি
তুমি কোথায় বাস করো?
জানতে চেয়েছি বারবার
দেহে ,
না,
হৃদয়ে?
টের পাই
দুই জায়গাতে সমান উপস্থিতি তোমার।

তোমার শায়িত শরীরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পজ থেকে প্লে : কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

লিখেছেন বন্ধু শুভ, ২৮ শে মে, ২০২৪ রাত ১১:১৫


.
একটা বালক সর্বদা স্বপ্ন দেখতো সুন্দর একটা পৃথিবীর। একজন মানুষের জন্য একটা পৃথিবী কতটুকু? উত্তর হচ্ছে পুরো পৃথিবী; কিন্তু যতটা জুড়ে তার সরব উপস্থিতি ততটা- নির্দিষ্ট করে বললে। তো, বালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিরোনামে ভুল থাকলে মেজাজ ঠিক থাকে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৮ শে মে, ২০২৪ রাত ১১:৫৫


বেইলি রোডে এক রেস্তোরাঁয় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে একজন একটা পোস্ট দিয়েছিলেন; পোস্টের শিরোনামঃ চুরান্ত অব্যবস্থাপনার কারনে সৃষ্ট অগ্নিকান্ডকে দূর্ঘটনা বলা যায় না। ভালোভাবে দেখুন চারটা বানান ভুল। যিনি পোস্ট দিয়েছেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

চলুন দেশকে কীভাবে দিতে হয় জেনে নেই!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ২৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ৯:৫১

চলুন দেশকে কীভাবে দিতে হয় তা জেনে নেই৷ এবার আপনাদের সাথে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি ঘটনা শেয়ার করবো৷ আমি কোরিয়ান অর্থনীতি পড়েছি৷ দেশটি অর্থনৈতিক উন্নয়নে ১৯৭০ সালের পর থেকে প্রায় আকাশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৮

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ২৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪৪


আজকের গল্প হেয়ার স্টাইল ও কাগজের মোবাইল।






সেদিন সন্ধ্যার আগে বাহিরে যাব, মেয়েও বায়না ধরল সেও যাবে। তাকে বললাম চুল বেধে আসো। সে ঝটপট সুন্দর পরিপাটি করে চুল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×