somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মন্টু দ্য রোবট (গপ্প)

০২ রা আগস্ট, ২০০৭ রাত ৮:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বোতল মামা একদৃষ্টে একটা মশার দিকে তাকিয়ে আছেন। পায়েল বুঝতে পারলো না, একটা মশার মধ্যে হঠাত কী খুঁজে পেলো তার বিজ্ঞানী মামা। দেখলি! মন্টুর গায়ে মশা বসেছে! মামার কথা শুনে ফিক করে হেসে ফেলল পায়েল।

মন্টু হচ্ছে বোতল মামার সদ্য আবিষ্কার। মানুষের মতো দেখতে একটা রোবট। কিন্তু মন্টুর গায়ে মশা বসেছে, তা নিয়ে মামা এতো খুশি কেন? প্রশ্ন করার আগেই পায়েলকে উত্তরটা দিল বোতল মামা। ‌‌‌'বুঝলি না! মশাতো কেবল প্রাণীর রক্ত খায়, রোবটের গায়ে বসতে যাবে কেন?' পায়েল বলল, কিন্তু মামা, মন্টুতো দেখতে মানুষের মতোই। আরে বোকা! মশা কি আর মানুষের চেহারা দেখে গায়ে বসে! মশা বসে শরীরের ঘ্রাণ পেয়ে। মন্টুর চামড়ায় মানুষের মতো গন্ধ ছড়ানোর যন্ত্র লাগিয়ে দিয়েছি। এ জন্যই মশা বসেছে। একটু পর দেখবি মাছিও বসবে।

রোবটের গায়ে মশা-মাছি যাই বসুক তাতে পায়েলের আগ্রহ নেই। সে অপেক্ষা করছে কখন রোবটটা কথা বলবে। 'মামা সুইচটা অন করে দাও না'। মামা এখনো চকচকে চোখে মশার দিকে তাকিয়ে আছেন। পায়েলের কথা শুনতেই পাননি।

পায়েলেরও বুদ্ধি কম না। মশার উপর নিঃশব্দে একটা ফু দেয় সে। মশাটাও অমনি উড়ে গেলো। বোতল মামাও সম্বিত ফিরে পেলেন। যাক মশা তাড়িয়ে কাজের কাজ করেছে পায়েল। বোতল মামা রোবটের পিছন দিকটায় কিছুক্ষণ খুটখাট করলেন। তার একটু পরেই পায়েল শুনতে পেল মৃদু যান্ত্রিক গুঞ্জন। অনেকগুলো ছোট ছোট পাখা ঘোরানোর মতো শব্দ। তারমানে রোবটটা অন হয়েছে। 'মামা এটা কথা বলবে তো?' মামা কেবল 'হুম' শব্দ করলেন।

লম্বায় রোবটটা পায়েলের চেয়ে সামান্য খাটো। দেখতে অবিকল টোকাইদের মতো। খালি গা, পরনে নতুন লুঙ্গি। হাত, পা, মাথা সবই আছে। এতোক্ষণ মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে থাকলেও পায়েল বুঝতে পারলো এুণি রোবট তথা মন্টু চোখ মেলে তাকাবে।
শোঁ শোঁ শব্দটা থামতেই চোখ মেলে মন্টু। বোতল মামার চোখে আবিষ্কারের আনন্দ উপচে পড়ছে। পায়েলের কেমন যেন ভয় করছে। কখন কী হয়!
'আসসালামু আলাইকুম, পায়েল আফা কেমুন আছেন?'
অল্পের জন্য তড়াক করে লাফ দেয়নি পায়েল। ভীষণ চমকে গেছে। 'মামা! এ দেখি আমার নাম জানে! আবার বাংলায় কথা বলে!' বোতল মামা এবার দম নিয়ে লেকচার দেয়া শুরু করলেন। 'প্রথম প্রথম বলতে একটু সমস্যা হবে তবে এর সঙ্গে যত কথা বলবি ততো শিখবে। কথা বলা শেখানোর সময় বাসার কাজের ছেলেটা সারাণ বকবক করতো। এ জন্য শুদ্ধ ভাষা শিখতে পারেনি। আঞ্চলিক টান রয়ে গেছে।
মন্টু এখনো চোখ পিটপিট করে পায়েলকে দেখছে। পায়েলও তার দিকে তাকিয়ে আছে।
'আফা মনে হয় ডরাইছেন। ভয় নাই, আমি আফনের রুম নোংরা করুম না। স্যাররে জিগান, আমি এক্কেবারে সিধা রোবট, পড়াশোনা জানা নাই।'
পায়েল কিছুটা স্বাভাবিক হয়। রোবটটা বোতল মামাকে স্যার ডাকে! ভাবতেই আবারো ফিক করে হাসে পায়েল। সঙ্গে সঙ্গে বোতল মামা কটমট করে পায়েলের দিকে তাকায়, ফিসফিস করে বলে, 'পায়েল, খবরদার! মন্টুর সামনে হাসবি না! ও হাসি শিখতে চাইবে! পায়েল কিছুটা জোরেই বলে, 'শিখতে চাইলে শেখাবে'। বোতল মামা এবার পায়েলের কানে কানে বলে, ধুর বোকা! রোবটকে হাসি শেখানো যায় না। হাসি শিখতে গেলে সিস্টেমে জগাখিচুড়ি লেগে যাবে।'

মন্টু এতোক্ষণে হাঁটা শুরু করেছে। তবে খুব ধীরে ধীরে পা ফেলছে। মাঝে মাঝে উপরে তাকিয়ে কী যেন দেখছে। বোতল মামার দিকে তাকিয়ে বলল, 'স্যার এই ঘরে দেহি এয়ারকুলার নাই। আমার ইঞ্জিন গরম হইয়া গেলেতো বিফদ'।
স্যার ওরফে বোতল মামা উত্তর না দিয়ে পাশের ঘরে গটগট করে চলে গেলেন। ঘরে আপাতত পায়েলের বাবা জনাব ইফতেখার আহমেদ ছাড়া কেউ নেই। মা গেছে স্কুলে ক্লাস নিতে। বাবা এখনো মন্টুকে দেখেনি।

পায়েল মন্টুর পিছু নেয়া শুরু করেছে। বোতল মামা ড্রইং রুমে কী যেন খুটখাট করছে। মন্টু এগিয়ে যাচ্ছে সেই শব্দ শুনেই। কিন্তু ড্রইং রুমে পৌঁছানোর আগেই মন্টু পায়েলের বাবার চোখে ধরা পড়ে।
-এ্যাই! কে যায়!
-আসসালামু আলাইকুম। খালুজান আমি মন্টু। এক্স-ফোরটুজিরো সিরিজের প্রসেসরে তৈরি একখান সিধা রোবট। পড়াশোনা জানা নাই।
ইফতেখার আহমেদ পেপার ভাঁজ করে উঠে দাঁড়ানোর আগেই পায়েল ছুটে আসে। বলল, বাবা ও একটা রোবট। মানুষ না।
'রোবট মানে! আমার সঙ্গে ফাজলামো! লুঙ্গি পেয়েছে কোথায় আগে সেটা বলো!
উত্তরটা মন্টুই দেয়। 'খালুজান, লুঙ্গিখানা গুলিস্তান হইতে পঁচানব্বই টাকা দিয়া খরিদ করা হইয়াছে। স্যার অনেক জোরাজুরি করিয়া পাঁচ ট্যাকা ফিরাইয়া লইছে।' ইফতেখার আহমেদ হা করে মন্টুর দিকে তাকিয়ে আছেন। বিড়বিড় করে বললেন, 'এ অসভ্য ছেলেটা সাধু ভাষায় কথা বলছে কেন!' ততোক্ষণে বোতল মামা এসে হাজির। মামা বলল, 'দুলাভাই, ও আমার অ্যাসিসট্যান্ট রোবট মন্টু। এখনো আদব-কায়দা পুরোপুরি শেখানো হয়নি। মেমোরিতে অনেক ফাঁকা।' মন্টু বলল, 'স্যার আমি কুনো বেয়াদপি করি নাই, প্রশ্নের জওয়াব দিছি মাত্র।' এ কথা বলেই মন্টু হাঁটতে শুরু করলো। পায়েল খেয়াল করলো, মন্টু তার হাঁটার স্টাইল পাল্টে ফেলেছে। অনেকটা রোবোকপের মতো হাঁটছে। হয়তো নিজেকে রোবট প্রমাণ করতে চায়। ইফতেখার আহমেদ ভাবলেশহীনভাবে আবার পেপার পড়ায় মনযোগ দিলেন। তার শ্যালক ওরফে বোতল মামার এ ধরনের কাণ্ড মোটেও নতুন কিছু নয়।

রাত ১০টা। মা-বাবা ঘুমালেও পায়েলের চোখে ঘুম নেই। বোতল মামার অভ্যেস হলো কাজ করতে করতে সোফায় ঘুমিয়ে পড়া। আজও সোফায় ঘুমুচ্ছে। তার ঠিক মাথার কাছেই কাকতাড়ূয়ার মতো দাঁড়িয়ে আছে মন্টু। তার চোখ বন্ধ। সন্ধার দিকে পায়েলের মা মন্টুর কথায় বিরক্ত হয়ে রোবটের গালে একটা চড় দিয়েছিলেন। কিন্তু মন্টুর ধাতব শরীরে আঘাত করায় উল্টো নিজেই হাতে ব্যথা পেয়েছেন। তখন থেকেই মন্টুর সুইচ অফ করে দেয়া হয়েছে।

পায়েলের ভীষণ ইচ্ছে হচ্ছে উঠে গিয়ে মন্টুর সুইচটা অন করে দেয়। কিন্তু সাহসে কুলিয়ে উঠলো না।

রাত ১২টা। খুট করে শব্দ হতেই পায়েলের চোখ খুলে যায়। মন্টু আবার জেগে উঠেনিতো! নাহ্ দ্বিতীয়বার খুট শব্দটা হতেই পায়েল বুঝে ফেলে শব্দটা আসছে দরজা থেকে। চোরটোর নয়তো! পায়েল শিউরে উঠে। একটু পরেই, দড়াম! দড়াম! লাফিয়ে উঠে পায়েল। শব্দ শুনে সবাই জেগে উঠেছে। লাইট জ্বালানোর আগেই পায়েলদের মূল দরজাটা ঠাশ্ করে খুলে যায়। তারপর ধুপধাপ শব্দ। পায়েলের মেরুদণ্ড বেয়ে শীতল স্রোত নেমে যায়। ঘরে ডাকাত পড়েছে!

ডাকাত মোট চার জন। ৩ জনের হাতে ইয়া বড় রাম দা। আরেকজনের হাতের বেঢপ সাইজের একটা পিস্তল। সেই পিস্তলের নল তাক করা আছে পায়েলের বাবা জনাব ইফতেখার আহমেদের নাক বরাবর। তিনি ভাবলেশহীন দৃষ্টিতে সোফায় বসে আছেন। তার পাশেই পায়েলের মা বসে ফোঁপাচ্ছেন আর চোখ মুছছেন। বোতল মামা লম্বা একটা হাই তুলল। তার হাত বাঁধায় ব্যস্ত এক ডাকাত। বাকি দুজন গেছে গয়নাগাটি আর জিনিসপত্র গোছাতে। পায়েলের দিকে কেউ ফিরেও তাকাচ্ছে না। পায়েল ধীরে ধীরে এগিয়ে আসলো। পিস্তল ধরা ডাকাত তার দিকে তাকিয়ে হাসিমুখে বলল, যাও খুকী, ঘুমাতে যাও। এই সব বড়দের কাম। তোমারে যেন এইখানে না দেখি।

পায়েল আড়চোখে দেখলো ঘরের এককোনে চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে মন্টু। তার চোখ এখনো বন্ধ। কোনো এক ফাঁকে মামা মন্টুকে সেখানে লুকিয়ে রেখেছে। কিন্তু সুইচ অন করেনি। হয়তো ইচ্ছে করেই।

মন্টুর পায়ের নিচেই পায়েলের একটা ড্রইং খাতা পড়ে আছে। বুদ্ধিটা এলো সেই ড্রইং খাতা দেখেই। অবশ পায়েল যা ভাবছে তাতে বিপদও আছে অনেক। যাই হোক যা ঠিক করেছে তা মনে হচ্ছে করেই ছাড়বে। পিস্তল ধরা ডাকাতটার দিকে তাকিয়ে হাত উঁচু করলো পায়েল। ড্রইং খাতা দেখালো ডাকাতটাকে। অর্থাত খাতাটা নিয়েই সে তার রুমে চলে যাবে। ডাকাতও হাসিমুখে বলল, 'যাও খুকী, খাতা লইয়া যাও, ছবি আঁকো, গাছ-গাছালি আর পীর ছবি আঁকো। ভুলেও আমাগো ছবি আঁকবা না। তাইলে কিন্তু...' বলেই ডাকাত পিস্তল উঁচু করে গুলি করার মতো ভঙ্গি করলো।

ইফতেখার আহমেদ চোখ কুঁচকে তার মেয়ের দিকে তাকিয়ে আছেন। পায়েলের এতো সাহস এলো কোত্থেকে বুঝতে পারছেন না। পায়েল ততোক্ষণে খাতা নিতে হাঁটা শুরু করেছে। দশ সেকেন্ডের মধ্যেই পৌঁছে গেলো খাতা তথা মন্টুর কাছে। শোকেসের জন্য এখন পায়েল ও মন্টু ডাকাতদের আড়ালে। দেরি না করে মন্টুর পেছনে হাত বুলোতে লাগলো পায়েল। সুইচটা পেতে মোটেও দেরি হয়নি তার। এক হাতে খাতা নিয়ে সুইচে চাপ দিয়েই হাঁটা দিল পায়েল। মৃদু যান্ত্রিক গুঞ্জন তার কানে ঠিকই এসেছে। তবে ডাকাতরা এখনো টের পায়নি। পায়েল তার রুমে ফিরে আসে। তার কেন যেন ভয় লাগছে না। বোতল মামা আছে বলেই হয়তো। মন্টুকে নিয়ে মামা একটা না একটা বুদ্ধি বের করবে ঠিকই।

পায়েল ভাবনা ঝেড়ে পর্দার আড়াল থেকে উঁকি মেরে দেখার চেষ্টা করছে। গয়নার ঝনঝন শুনতেই পায়েলের মায়ের ফোঁপানোর শব্দ খানিকটা বেড়ে যায়। ভালোই হয়েছে, পায়েল ভাবে, মন্টুর গুঞ্জন টের পাবে না ডাকাতরা।
হাত বাঁধার পরও ডাকাতটা বোতল মামার শার্টের কলার চেপে ধরে আছে। কিন্তু বোতল মামার তা নিয়ে কোনো চিন্তা নেই। তিনি বিড়বিড় করে কী যেন বলছেন। পায়েল অবাক হয়ে বোতল মামার দিকে তাকালো। তার বিজ্ঞানী মামা ভয় পেয়ে মন্ত্রটন্ত্র পড়া শুরু করলো নাকি! কিন্তু না! বোতল মামা ইংরেজিতে কি কি সব বলছে। মন্ত্র না! পায়েল কানটাকে আরেকটু খাড়া করে শোনার চেষ্টা করে। মামা বলছেন, 'স্টার্ট ফাইটিং প্রোগ্রাম। ফোর ম্যান। স্টার্ট ফাইটিং প্রোগ্রাম। জাম্প জাম্প জাম্প, হিট অন দ্য হেড, হিট দ্য লেগ'। পায়েল মনে মনে অনুবাদও করেছে। মামা কাছে আঘাত করতে বলছে? কেন বলছে এসব? ইফতেখার আহমেদ বিরক্ত চোখে তার শ্যালকের দিকে তাকিয়ে আছেন। ভাবছেন, ডাকাত আর পিস্তল দেখে ছেলেটা পাগল হয়ে গেছে হয়তো। কিন্তু আসল ব্যাপারটা পায়েল একটু পরই বুঝতে পারলো।

মন্টু একদৃষ্টে বোতল মামার দিকে তাকিয়ে আছে। আশ্চর্যের বিষয় হলো, মন্টুর চোখের রং বদলাচ্ছে দ্রুত। নীল থেকে গাঢ় লাল। লাল থেকে বেগুণী। বোতল মামা এবার চিত্কার করে বললেন 'অ্যাকশন!'।
পায়েলের মনে হলো সে কুংফু কারাতের সিনেমা দেখছে। লুঙ্গিটা বিশেষভাবে গুটিয়ে টাইট করে নিল মন্টু। তারপর এক লাফে পিস্তল ধরা লোকটার ঘাড়ে চেপে বসলো। ঠং, ও মাগো! মন্টু তার ধাতব মাথাটা সজোরে ঠুকে দিল পিস্তলধারী ডাকাতের মাথায়। মন্টুর চোখ ঠিকরে যেন বিদ্যুত বেরুচ্ছে! রামদাধারী একজন ছুটে এসে মন্টুর ঘাড়ে কোপ বসানোর চেষ্টা করলো। কিন্তু মন্টুর কিছুই হলো না। ঠং করে শব্দ করে রামদা ছিটকে পড়লো দশ হাত দুরে। মন্টুর গা থেকেও যেন বিদ্যুত বেরোচ্ছে। পিস্তলধারীর ঘাড় থেকে নেমেই বাকি দুই ডাকাতের মুখোমুখি দাঁড়ালো মন্টু। বোতল মামা চিত্কার করেই যাচ্ছে, হিট হিট হিট। মন্টু তার দুই হাত বেঁকাতেরা করে এক ডাকাতের চোখ বরাবর নিয়ে যায়। ডাকাত দুজন পেয়েছে বেজায় ভয়। রামদা তোলার আগেই মন্টু তাদের একজনের পেটে সজোরে গুঁতো দেয়। অঁক, মাগো, গেলাম রে! আর দুটো বাকি। আর দুটো! এবার চিত্কার করে পায়েল, হিট মন্টু হিট। ডাকাত দুজন মুখ চাওয়াচাওয়ি করলো। তারা কিছু বুঝে ওঠার আগেই মন্টু 'ইয়ালি' টাইপের একটা চিতকার ছুড়ে ছুটে গিয়ে দুহাতে দুজনের পেটের চামড়া চেপে ধরে। নড়াচড়ার সাধ্যি নেই। ভয়ংকর ইলেকট্রিক শক খেয়েছে দুই ডাকাত। বাকি দুজন চোখ উল্টে পড়ে আছে। মাঝে মাঝে গোঙ্গাচ্ছে। পায়েল একছুটে এগিয়ে এসে বোতল মামার হাতের বাঁধন খুলে দেয়। ইফতেখার আহমেদের বিস্ময় তখনো কাটেনি। তিনি ও পায়েলের মা হা করে মন্টুর কাণ্ড দেখছেন। মন্টু ততোক্ষণে চোখের রং স্বাভাবিক করে ফেলেছে। লুঙ্গি ঠিক করতে ব্যস্ত সে। আবার আগের মতো বোকাসোকা চেহারা বানিয়ে হেসে বলল, স্যার পুলিশরে খবর দেন। যা করার হেরাই করবো। আমি আর মারতে পারুম না। চার্জ ফুরাই গেছে। চার্জ দেওন লাগবো। মন্টুর কথায় পায়েল ফিক করে হেসে ফেলে। বোতল মামা কটমট দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল, খবরদার মন্টুর সামনে হাসবি না! হাসি শিখতে চাইবে!
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মৃত্যু ডেকে নিয়ে যায়; অদৃষ্টের ইশারায়

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৩৯

১৯৩৩ সালে প্রখ্যাত সাহিত্যিক উইলিয়াম সমারসেট মম বাগদাদের একটা গল্প লিখেছিলেন৷ গল্পের নাম দ্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইন সামারা বা সামারায় সাক্ষাৎ৷

চলুন গল্পটা শুনে আসি৷

বাগদাদে এক ব্যবসায়ী ছিলেন৷ তিনি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিরে এসো রাফসান দি ছোট ভাই

লিখেছেন আবদুর রব শরীফ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৮

রাফসানের বাবার ঋণ খেলাপির পোস্ট আমিও শেয়ার করেছি । কথা হলো এমন শত ঋণ খেলাপির কথা আমরা জানি না । ভাইরাল হয় না । হয়েছে মূলতো রাফসানের কারণে । কারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুমীরের কাছে শিয়ালের আলু ও ধান চাষের গল্প।

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৪০



ইহা নিউইয়র্কের ১জন মোটামুটি বড় বাংগালী ব্যবসায়ীর নিজমুখে বলা কাহিনী। আমি উনাকে ঘনিষ্টভাবে জানতাম; উনি ইমোশানেল হয়ে মাঝেমাঝে নিজকে নিয়ে ও নিজের পরিবারকে নিয়ে রূপকথা বলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×