somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ডিটেকটিভ গল্প: সেলিব্রিটি প্রবলেমস ২

০২ রা আগস্ট, ২০০৭ দুপুর ১:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আগের পর্বগুলো
প্রথমপর্ব

**************************************

সি.ই.ও'র রুমটা আয়তনে খুব ছোট হলেও রুমে ঢোকা মাত্রই হাসনাইনের ফার্সট ইমপ্রেশন যেটা হয় তা হলো, 'নাহ্, লোকটার রুচিবোধ আছে।' রুমের পেছনের দেয়ালটা পুরোটাই কাঁচের, ছাদ থেকে মেঝে পর্যন্ত নেমে গেছে। লম্বা একটা ব্লাইন্ড দিয়ে বাইরের জগৎ থেকে বিচ্ছিন্ন রুমটা, ব্লাইনদের দুইপাশে ঝুলতে থাকা দড়ি দিয়ে ইচ্ছেমতো ব্লাইন্ডের ফাঁকটাকে ছোটবড় করা যায় -- একেবারে সব ডিটেকটিভের পছন্দের অফিসরুম। নিজেকে জগৎ থেকে একপাশে সরিয়ে নিয়ে জগৎ দেখবে। জানালার দিকে মুখকরে দাঁড়ালে ডানপাশ আর পেছনের দেয়ালটা ভারী প্লাইউডের, দুটো দেয়ালই ধবধবে সাদা, আর বামপাশের দেয়ালটা সাধারণ কংক্রীটের। ডানপাশের দেয়াল ঘেঁষে লম্বালম্বিভাবে বসানো হয়েছে প্রায় আড়াই মিটা লম্বা একটা ডেস্ক, যেটাকে দেখতে ডেস্কের চেয়ে চওড়া টেবিল বলেই বেশী মনে হয়। ডেস্কের পাশে ছোট্ট একটা ফ্রিজ, ফ্রিজের ওপর কফিমেকার, ব্লেন্ডার, আরও কাপ পিরিচ টাইপের অনেক কিছু।

'হামিদ সাহেব তাহলে অফিসে বেশ লম্বা সময়ই কাটান' হাসনাইন ভাবতে ভাবতে রুমটাকে আবারও ঘুরেফিরে ভালমতো দেখে নেয়। দেয়ালে বেশ বড় একটা পেইন্টিং, এক মুহুর্ত দেখলে মনে হবে বিমূর্ত কিছু, ভাল করে দেখলে বোঝা যাবে একটা গাছের কান্ড আর পাতার সংযোগস্থলটুকুকে শুধু ফোকাস করে ছবি আঁকা হয়েছে, ছবির এক কোণায় একটা পাখির বাসার কিছু অংশ দেখা যাচ্ছে। ছবির নীচে আঁকিয়ের নাম লেখা 'শওকত'। হাসনাইন এক মুহূর্ত মনে করবার চেষ্টা করে 'শওকত' নামের কোন বিখ্যাত আঁকিয়ে আছেন কিনা, তারপরই বোঝে হয় এটা হামিদ সাহেবের বন্ধুগোছের কারো আঁকা, অথবা তিনি সস্তায় ছবিটি কিনেছেন যেটা বোঝায় যে, তারুণ্য সুপারহিট রেডিওস্টেশন হলেও ব্যবসাটা তত জমজমাট না অথবা হামিদ সাহেব বেশ কৃপণ গোছের লোক। এগুলো কোনটাই কোন ব্যাপার না, তবে হাসনাইন যেটা দেখে সবচেয়ে বেশী আশ্চর্য হয় তা হলো 'তারুণ্য'র সি.ই.ও'র ঘরে তারুণ্যের ছাপ নেই, গোছানো পরিপাটি সংসারী ভাব আছে।

ডানদিকের প্লাইউডের দেয়াল আর পেছনের কাঁচের দেয়ালের সোংযোগস্থলের যে কোণাটা সেখানে তিনটা ওয়ান-সীটেড সোফা আর মাঝে একটা ছোট্ট গোল কাঁচের টেবিল। টেবিলটার নিচের গোল উডেন বেইস থেকে কলসী কাঁখে এক বাঙালী নারীর মূর্তি উপরের কাঁচের চাকতিটাকে বহন করছে, এককথায় দেখতে অসাধারণ।

'টেবিলটা এক্সেলেন্ট, না?'
রেশমার কথায় হাসনাইনের হুঁশ হয়। তাকিয়ে দেখে রেশমা হতাশ চোখে সোফায় বসে হাসনাইনের দিকে তাকিয়ে আছে।
হাসনাইন বুঝতে পারে, প্রথমদিন বলে প্রফেশনের প্রতি তার এনথুসিয়াজম আজ অনেক বেশী, সেজন্যই বেশী সময় নিয়ে ঘরটাকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছে। পরক্ষণেই তার মনে হয় রেশমাকে অনেক্ষণ ধরে বসিয়ে রাখল নাকি!
একটু ব্যস্ত স্বরেই বলে, 'স্যরি, স্যরি! আপনাকে অনেক্ষণ বসিয়ে রাখলাম।' রেশমার হাসি দেখে একটু আস্বস্ত হয়ে আবার বলে, 'আর হ্যাঁ, টেবিলটা চমৎকার। হামিদ সাহেবের রুচির প্রশংসা করতে হয়।'
'হুম, উনার খুব সুনাম শুনেছি, দেখা হবার পরও ভাল লেগেছে। রিয়াল জেন্ট্লম্যান!'
'তাই? দেখা হলে ভাল হতো।' হাসনাইন কিছু না ভেবেই বলে।

একটু নীরবতা। হাসনাইনই নীরবতা ভাঙে,
'আচ্ছা? আপনাকে কি অনেক্ষণ ধরে বসিয়ে রেখেছি? আমি আজই প্রথম মেইন ইনভেস্টিগেটর হিসেবে এসেছি তো, হয়ত একটু বেশী খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে সব দেখছি।' হাসনাইনের মুখে অপরাধির হাসি।
রেশমাও সেই হাসির সাথে মিলিয়ে মিষ্টি হেসে বলে, 'হুমম, আপনি একটু লম্বা সময়নিয়েই সব দেখেছেন। বিশেষ করে, ফ্রিজের উপর কাপ গুনে আপনি কি রহস্যের সমাধান করবেন সেটা আমি বুঝিনি, হি হি হি।'
'হা হা হা, স্যরি, রিয়্যালি স্যরি,ম্যাডাম।'
পরিবেশ কিছুটা হাল্কা হয়।

একটা সোফা টেনে নিয়ে হাসনাইন বসতে বসতে বলে, 'শুনেছি কেউ একজন আপনাকে প্রচন্ড ডিস্টার্ব করছে। এমনকি আপনি মোবাইল সিমকার্ডও বদলেছেন উৎপাত সইতে না পেরে, রাইট?'

'হুঁ!' হঠাৎ করেই রেশমার চেহারা বদলে যায়, এক ধরনের নীল আতঙ্ক দেখতে পায় হাসনাইন। একটু আগের প্রাণবন্ত ভাবটাও যেন নেই। হাসনাইন একটু হতাশ হয়। আবার ভাবে, আমি তো এই সুন্দরীর সাথে ডেট করতে আসিনি, এসেছি তার সমস্যা শুনতে শুনতে। নিজের সমস্যাতো কেউ আর উচ্ছল ষোড়শীর হাওয়ায় চড়ে বলবেনা!
'আচ্ছা, আপনি কি শুরু থেকে ডিটেইলস বলবেন, প্লিজ?' হাসনাইন রেশমাকে একটু আস্বস্ত্ব করার চেষ্টা করে।

'তার আগে আপনি আমাকে বলুন আপনাকে শাহাদাৎ সাহেব কতটুকু ব্রিফ করেছেন, তাহলে আমি গুছিয়ে বলতে পারব। ' রেশমা বেশ সপ্রতিভভাবেই বলে।

'ওয়েল, আমি যা শুনেছি তা সংক্ষেপে বললে বলা যায়, আপনাকে মাসদুয়েক ধরে একজন চিঠি দিয়ে, ফোনে এবং আরও নানভাবে ভয় দেখিয়ে ডিস্টার্ব করছে। এমনকি মেরে ফেলার হুমকিও দিচ্ছে। কিন্তু সে যে কি চায় তা আপনাকে কখনই কোনভাবে জানায়নি। এবং আপনার কাছেও ন্যুনতম ক্লু নেই এটা কে হতে পারে।' হাসনাইন প্রতিটি বাক্য সময় নিয়ে আস্তে আস্তে বলতে বলতে রেশমার প্রতিক্রিয়া খেয়াল করে।

'ইয়ে, একটা ব্যাপার। "কোন ক্লু নেই" ব্যাপারটা আসলে আমার পরিচিতদের মধ্যে কেউ করে থাকলে সেব্যাপারে ক্লু নেই সেটা ঠিক, তবে যাকেই আমি সমস্যাটার কথা বলেছি সেই বলেছে এরকম ঝামেলা হয়ত ভক্তদের কেউ করে থাকতে পারে।' রেশমা একটানে বলে যেতে থাকে, 'আপনি জানেন হয়ত, ম্যারিকাতে এখন 'স্টকার' প্রবলেমটা খুব প্রকট। অকারণেই একটা মেয়ের পিছে একটা ছেলে লেগে তার জীবনটাকে দূর্বিষহ করে ফেলে।'

'হুমম, আমি এরকম কয়েকটা কেস স্টাডি পড়েছি।' হাসনাইন বাধ্য ছাত্রের মতো মাথা ঝাঁকাতে থাকে, 'আর শাহাদাত সাহেবও আপনার এই সন্দেহটার কথা আমাকে বলেছেন। ইন ফ্যাক্ট, আমাদেরও মনে হচ্ছে এটা কোন ক্রেজী ভক্তের কাজই হবে। তাই আমরা ভাবছি, আগামী কয়েক সপ্তা আপনার সাথে সবসময় পুলিশ প্রটেকশন দেয়া হবে, হয়ত সেটা দেখে ভক্তের ঝামেলা করার উৎসাহ নষ্ট হয়ে যাবে। সো লেটস যাস্ট কীপ এ্যান আই অন ইট ফর এনাদার ফিউ উইকস।'

'আমার কোন সমস্যা নেই, সেটা আমি শাহাদাত সাহেবকে জানিয়ে দিয়েছি' রেশমা বোঝানোর চেষ;টা করে যে সে নিজেও সবকিছুর সাথে আপডেট, 'আচ্ছা, আপনার যে ঈগলস আই দুজন উনারা কি করবেন? আই মীন উনারা কি নিচে ফোর্সের ইউনিফর্মে থেকে বোঝানোর চেষ্টা করবেন যে আমার জন্য ফোর্স প্রোটেকশন আছে, নাকি উনারাও সিভিল ড্রেসে?'

'ওহহো' হাসনাইন হাসতে হাসতে বলে, 'আজ কিন্তু আমরা ঠিক ফো্রস প্রোটেকশনের পরিকল্পনা নিয়ে আসিনি। আজ এসেছি আপনার সাথে সামনাসামনি কথা বলে, পুরো ব্যাপারটা বুঝে নিতে। আর আপনার জন্য সুখবর হলো, মূল কেইসটা কিন্তু শাহাদাত স্যারই দেখাশোনা করবেন।'

'ওহ! গ্রেইট!!' রেশমা প্রায় চিৎকার করে উঠে, ' দ্যাট'ল বি আ রিয়াল থিং!!'

হাসনাইন সরু চোখে রেশমার দিকে তাকিয়ে দুষ্টু হাসি হেসে বলে, 'কেন? আমাকে দেখে কি ভরসা হয়না?'

'না না, তা না! তবে আপনি কাপ গুনতে গুনতে অপরাধী পালিয়ে যেতে পারে, হি হি হি।' রেশমাকে আবারও বেশ উচ্ছল দেখায়।

'হা হা হা', হাসনাইন বুঝতে পারে মেয়েটার সঙ্গ সে ভীষনভাবে পছন্দ করা শুরু করছে।

কিছুক্ষণের নীরবতার পর হাসনাইন বলে উঠল, 'সর্বনাশ! যেজন্য আসলাম, সেই ডিটেইলসইতো শোনা হলোনা!'

'ইউ রূকী!!' বলে রেশমা হাসনাইনের দিকে অদ্ভুত এক সেক্সি লুক দেয়, চমৎকার আকর্ষণীয় এক হাসি ঠোঁটের কোণে ঝুলিয়ে বলে, 'ওকে লেটস স্টার্ট। আমি পুরোটা বলব, আপনি কোন প্রশ্ন থাকলে মাঝপথে করতে পারেন।'

'ও.কে', হাসনাইন তার কাগজকলম নিয়ে গোলটেবিলটাকে টেনে নিয়ে রেডি হয়।

বেলের শরবতে চুমুক দিতে দিতে রেশমা বলতে থাকে, 'আমি আপনার সুবিধার জন্য আমার ডায়েরী ঘেঁটে মোটামুটি দিনতারিখের ক্রনোলজী ঠিক রেখে সব ঘটনা সাজিয়েছি। প্রথম ঝামেলাটা হয়, আমার ধারনা, ঠিক যেদিন আমরা সুইস থেকে ফিরলাম সেদিন সন্ধ্যায়। আমরা বিকেলের নাস্তা করেছিলাম সেসময়। ইনফ্যাক্ট আমি এর আগেও মোবাইলে অনেক স্প্যামকল বা মিসকল পেতাম, কিন্তু আমার ধারনা সেদিন বিকেলের সেই কলটা এই লোকটার থেকে। এটা যাস্ট আমার একটা ইন্সটিংক্ট'

'একটা প্রশ্ন' হাসনাইন স্কুলছাত্রদের মতো ডানহাত উপরে তুলে বলে, 'আমরা মানে আপনারা কে কে? আর আপনি কি নিশ্চিত যে ক্রিমিনাল একজন লোক? মেয়েও তো হতে পারে।'

'ওওহ। আমরা মানে আমি, পিয়া আর মডেল তানিম। ওহ, তানিম আমার খুব ভাল ফ্রেন্ড, আর পিয়ার সাথে তানিমের কাইন্ডা ... ইউ নো ...' বলে রেশমা মুচকি হাসে, আবার বলতে থাকে, 'আর ক্রিমিনাল আমার সাথে ফোনে কথা বলেছে।' রেশমা এবার একটু শ্রাগ করে বলল, 'আচ্ছা? আপনি কি এত ফ্রিকুয়েন্টলি কোয়েশ্চেন করবেন? দেন আই থিংক আই মে লূজ কনসেন্ট্রেশান!'

রেশমা ভয়েস চড়তে দেখে হাসনাইন কিছুটা নার্ভাস হয়ে যায়। কিছুটা সমঝোতার স্বরেই বলে, 'ওয়েল দেন। আমি শর্টহ্যান্ড জানি, সো বেটার হয়, যদি আপনি একটানে সব বলেন, তারপর আমি শর্টহ্যান্ডে লেখা প্রশ্নগুলো আপনাকে পরে করব।'

'সেটাই ভাল হবে', মাথা নড করতে করতে রেশমা আবার শুরু করে বলা।

রেশমা প্রায় বিশ মিনিট ধরে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে যা বলে তার সারমর্ম অনেকটা এরকম যে কেউ একজন তার উপর খুব ক্লোজ নজর রাখছে। গত দুমাসে তাকে মোট ৩৮ টি চিঠি, প্রতিদিন কমপক্ষে ৫ বার ফোন (কলার আই.ডি শো করেনা কখনই) করে. কখনও খুব ভালভাবে কথা বলে, সুন্দর করে চিঠি লিখে, কখনও খুবই রূঢ় ভাষায় লেখে। এমনকি কয়েকটি চিঠিতে রেশমাকে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়, আবার একটি চিঠিতে রেশমাকে বলে তাকে বিয়ে না করলে সে রেশমার গলায় এসিড ঢেলে দেবে, রেশমা আর গাইতে পারবেনা। আবার কয়েকটি চিঠি আর ফোনের কথায় বোঝা যায় অপরাধী রেশমার প্রতিদিনের জীবনযাপনকে খুব ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করে, যেমন রেশমাকে এপর্যন্ত আটবার সে জিজ্ঞেস করে 'আজ অমুক রেস্টুরেন্টে কি খেলে?' এমনকি একদিন রাতে বাসায় খাওয়াদাওয়ার পর বারান্দায় এসে যখন দাঁড়ায় রেশমা, হঠাৎ লোকটা ফোন করে বলে, 'আজকের চিকেনটা পুরো খেতে পারনি কেন?' রেশমা সাথে সাথে দৌড়ে যায় ডায়নিং রুমে গিয়ে দেখে ডাইনিংয়ের জানালা খোলা, পর্দা সরানো। রেশমার চীৎকার শুনে পিয়া আর রেশমার মা ছুটে আসেন। পরে তিনজন মিলে তিনটি জানালা দিয়ে দেখে দেখে অনেক চেষ্টা করে খুঁজে বের করতে যদি আশপাশে কোথাও বাইনোকুলার টাইপের কিছু হাতে নেয়া কোন ছেলেকে দেখা যায়! কিন্তু কাউকেই পাওয়া যায়নি। রেশমা কবে কোন ড্রেস পরেছে সেটাও লোকটা জানে, যেমন যেদিন সে হাল্কা গোলাপী ফিনফিনে শাড়ীটা পরে তানিমের বার্থডেতে গিয়েছিল পিয়ার সাথে তার দুদিন পর আসা চিঠিতে লোকটা লেখে যে রেশমা যাতে সবসময় এই ফ্যাশনটা ধরে রাখে কারণ লোকটার সাথে বিয়ের পর রেশমাকে সে শুধু এই বেশেই দেখতে চায়!

রেশমার চোখমুখ দেখে হাসনাইন বুঝতে পারে পুরো ব্যাপারটা মনে করতে গিয়ে সে ভয়ে বারবার হিম হয়ে যাচ্ছিল। হাসনাইনের মনে হচ্ছিল, সেলিব্রিটিরা শুধু মজায় লাইফ কাটায় তা কখনই বলা যায়না। তবে তার চেয়েও সে যেটাতে বেশী আশ্চর্য হলো সেটা হচ্ছে, রেশমার বুদ্ধি দেখে। মেয়েটা যেভাবে সবঘটনা গুছিয়ে বলেছে, দিনতারিখ ঠিক রেখে তার কাছে ব্রিফ করেছে তাতে এটা নিশ্চিত পুলিশ ডিপার্টমেন্টে বা ল্যইয়ার হিসেবে এই মেয়ে টপে চলে যেত। হাসনাইনের মনে হলো, সেলিব্রিটি হিসেবেও এই মেয়ে টপে গেছে শুধু গ্ল্যামারের জন্য না, তার পেছনে এই ব্রিলিয়ান্সও কাজ করেছে।

(চলবে)
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা আগস্ট, ২০০৭ দুপুর ১:২৮
১৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মাটির কাছে যেতেই..

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৩ শে মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

মাটির কাছে
যেতেই..


ছবি কৃতজ্ঞতাঃ https://pixabay.com/

ঠিক যেন
খা খা রোদ্দুর চারদিকে
চৈত্রের দাবদাহ দাবানলে
জ্বলে জ্বলে অঙ্গার ছাই ভস্ম
গোটা প্রান্তর
বন্ধ স্তব্ধ
পাখিদের আনাগোনাও

স্বপ্নবোনা মন আজ
উদাস মরুভূমি
মরা নদীর মত
স্রোতহীন নিস্তেজ-
আজ আর স্বপ্ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাকা ভাংতি করার মেশিন দরকার

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ২৩ শে মে, ২০২৪ সকাল ৯:১০

চলুন আজকে একটা সমস্যার কথা বলি৷ একটা সময় মানুষের মধ্যে আন্তরিকতা ছিল৷ চাইলেই টাকা ভাংতি পাওয়া যেতো৷ এখন কেউ টাকা ভাংতি দিতে চায়না৷ কারো হাতে অনেক খুচরা টাকা দেখছেন৷ তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

বেলা ব‌য়ে যায়

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৩ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩০


সূর্যটা বল‌ছে সকাল
অথছ আমার সন্ধ্যা
টের পেলামনা ক‌বে কখন
ফু‌টে‌ছে রজনীগন্ধ্যা।

বাতা‌সে ক‌বে মি‌লি‌য়ে গে‌ছে
গোলাপ গোলাপ গন্ধ
ছু‌টে‌ছি কেবল ছু‌টে‌ছি কোথায়?
পথ হা‌রি‌য়ে অন্ধ।

সূর্যটা কাল উঠ‌বে আবার
আবা‌রো হ‌বে সকাল
পাকা চু‌ল ধবল সকলি
দেখ‌ছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

পর্ণআসক্ত সেকুলার ঢাবি অধ্যাপকের কি আর হিজাব পছন্দ হবে!

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৩ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:২৭



ইন্দোনেশিয়ায় জাকার্তায় অনুষ্ঠিত একটা প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক জিতেছে বাংলাদেশি নারীদের একটা রোবোটিক্স টিম। এই খবর শেয়ার করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপিকা। সেখানে কমেন্ট করে বসেছেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আত্মস্মৃতি: কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায়

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ২৩ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:১৪


কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায়
আমার বাবা-কাকারা সর্বমোট সাত ভাই, আর ফুফু দুইজন। সবমিলিয়ে নয়জন। একজন নাকি জন্মের পর মারা গিয়েছেন। এ কথা বলাই বাহুল্য যে, আমার পিতামহ কামেল লোক ছিলেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×