ইস্পাতের মত কঠিন সে মেয়েটি
কারো কথায় বা ঢঙ্গে টলে না
অনেকেই এসে বাজী ধরে না পেরে
তওবা কেটে অন্য রাস্তায় চলে গিয়েছে
কে যায় কে কি ভাবে ডেম কেয়ার
বাবার রাজেশ্বরী শুধু তার নিজের কাজেই মগ্ন
কত ঝড় গেল ঝাপটা গেল কিন্তু
রাজেশ্বরী শুধু তার রাজ্যেই ধ্যানে মগ্ন
কিন্তু একদিন এক রাজপুত্র এল
তার দ্বারগোরায় তাকে পটানোর জন্য।
হেথায় হোথায় উকি মেরে বারে বারে
তার বুকে বিশেষ জায়গাটি করে নিল
রাজেশ্বরী সব বুঝেও না বুঝার ভান
করে কাটিয়ে দিল দুটি বছর
তারপরে রাজকন্যার সন্ধানে রাজপুত্রের
জীবনে কত যে কিছু বয়ে গেল
অবস্থা যখন বেশ বিব্রত কি মনে
করে চুপি চুপি রাজেশ্বরী তার দিকে
একটু একটু করে এগুতে থাকল
কোন একদিন সে ধরা পড়ল প্রেমের কবিতাতে
কোন একদিন বুঝি ওরা ধরা পড়ল
সারা দুনিয়ার মানুষের সামনে
তারপর কি ঝামেলা বেধে রাজপুত্র
রাগ করে ফেলে রেখে চলে গেল রাজেশ্বরীকে
চোঝের জল ফেলতে ফেলতে রাজেশরী
কি যে হয়ে গেল উদ্ভট সব ভালবাসা অনুভব
করে চুপি চুপি আকাশের ঠিকানায় রাজপুত্রকে
পাঠাতে লাগল পত্রের পর পত্র যার আর উত্তর এল না
রাজকন্যা বুঝি আর কিছু বাকী রইল না
তার অহমিকা তার ব্যক্তিত্ব সব ভেঙ্গেচুড়ে
খান খান হল রাজপুত্রের কাছে, সেই থেকে
রাজেশ্বরীর সবকিছুতেই মনে কাজে চিন্তায় সেই রাজপুত্র
এখন এই মেয়েটি যেন জিম্মি রাজপুত্রের কাছে
তার মাঝে হারিয়ে নিজেকেই আর খুজে পাচ্ছে না
রাজেশ্বরী, তার সবচেয়ে বড় দূর্বলতা আর কেউ নয়
সেই রাজপুত্র যে তার হৃদয় হরন করে চলে গিয়েছে ।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২৩