স্মার্টফোনের নিরাপত্তা বাড়াতে টেক জায়ান্ট অ্যাপল আইফোনের সর্বশেষ ভার্সনে এনেছে ‘টাচআইডি’ সেন্সরযুক্ত বায়োমেট্রিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট শনাক্তকারী প্রযুক্তি। প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট ম্যাশএবল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে আইফোনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত করা হয়েছে।
Published : 12 Sep 2013, 04:41 PM
নতুন আইফোন ৫এস-এর হোম বাটনে বিল্টইন রয়েছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সিকিউরিটি। এতে হোম বাটনে আঙুল রাখলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্মার্টফোনটি আনলক হবে। এতে বাড়তি কিছু সুবিধাও পাবেন ব্যবহারকারী। অ্যাপলের আইটিউনস থেকে কোনোকিছু ডাউনলোড করতে আলাদা পাসওয়ার্ড দিতে হবে না বলেও জানিয়েছে অ্যাপল।
বিশ্লেষকরা অনুমান করছেন, অ্যাপলের ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার প্রযুক্তি দ্রুত অন্যান্য প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠানেও ছড়িয়ে পড়বে।
তবে এ প্রযুক্তি নকল করা অন্যান্য প্রতিযোগীর জন্য কঠিন হবে। যেমন অ্যাপলের প্রতিদ্ব›দ্বী স্যামসাংয়ের স্মার্টফোনে ফিজিক্যাল বাটন ভিন্ন আকৃতির এবং ব্ল্যাকবেরির স্মার্টফোনে হোম বাটনই নেই। প্রযুক্তিবিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, সঙ্গত কারণেই অ্যাপলের এ প্রযুক্তির অনুরূপ প্রযুক্তি তৈরি করা অন্যান্য স্মার্টফোন নির্মাতাদের জন্য কঠিনই হবে।
অ্যাপলের আইফোন৫এস-এ একাধিক আঙুলের ছাপও সংরক্ষণ করে রাখা যাবে। এ প্রিন্টগুলো আইফোন এ৭ চিপের মধ্যে সংরক্ষণ করা হবে। প্রতিবার সেন্সরটি আঙুলের ছাপ নেওয়ার পর সংরক্ষিত ছবির সঙ্গে মিলিয়ে দেখবে।
প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, প্রত্যেককে আলাদাভাবে শনাক্ত করতে যে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, তাতে নিখুঁতভাবে ব্যবহারকারীকে চেনা যাবে। আঙুলের ছাপ নেওয়ার পর খালি চোখেও যেসব পার্থক্য লক্ষ করা যায় না, তাও স্ক্যানারের মাধ্যমে বোঝা যাবে।
ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার প্রচলিত পাসওয়ার্ড নিরাপত্তা ব্যবস্থার মতো হলেও এতে কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে। যেমন ব্যবহারকারী চাইলে বারবার পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করতে পারবে। কিন্তু নিজের আঙুলের ছাপ পরিবর্তন করা অসম্ভব।
ফিঙ্গারপ্রিন্টের নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে ক্লাউডে ফিঙ্গারপ্রিন্ট না রাখার কথাও জানিয়েছে অ্যাপল।