বিএনপির মধ্যে ‘চক্রান্তকারী’ রয়েছে- কথাটি আবার বলেছেন দলটির শীর্ষ নেতাদের অন্যতম মির্জা আব্বাস।
Published : 12 Sep 2013, 04:40 PM
এই ‘চক্রান্তকারীরা’ দেশের পাশাপাশি বিদেশেও তৎপর বলে দাবি করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।
গত সপ্তাহে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে মির্জা আব্বাস বলেন, বিএনপির মধ্যে ‘চক্রান্তকারী’ রয়েছে। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আরেক সভায়ও একই দাবি করেন তিনি।
“জাতীয়তাবাদী শক্তির প্রতীক জিয়াউর রহমান পরিবার ও তার দলকে ধ্বংস করার জন্য ওয়ান-ইলেভেন সৃষ্টি করা হয়েছিল। সেই চক্রান্তকারীরা এখনো সক্রিয়। তারা আমার দলের ভেতরে-বাইরে এবং দেশে ও বিদেশে আছে।”
‘চক্রান্ত’ প্রতিরোধে কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান জরুরি অবস্থার সময় কারাবন্দি এই বিএনপি নেতা।
পরপর দুটি অনুষ্ঠানে দলের মধ্যে চক্রান্তের কথা বললেও তারা কারা, সে বিষয়ে কিছু বলেননি বিএনপির নীতি-নির্ধারণী ফোরামের এই সদস্য।
২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা জারির পর মির্জা আব্বাসসহ অনেক নেতা বন্দি থাকা অবস্থায় বিএনপিতে সংস্কারের দাবি তোলেন শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন নেতা।
এক পর্যায়ে দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গ্রেপ্তার হওয়ার সময় তিনি তৎকালীন মহাসচিবসহ কয়েকজন নেতাকে বহিষ্কার করেন।
ওই বহিষ্কারাদেশের পর দলের একটি অংশ বিএনপির নামেই কার্যক্রম চালাতে থাকে, যাকে দল ভাঙার ষড়যন্ত্র বলে আসছেন খালেদা জিয়া। পরে নির্বাচনের আগে অবশ্য ওই বিভেদের বাহ্যিক অবসান ঘটে।
তিনি বলেন, “শুনেছি, বিরোধী দলের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকার নতুন আইন প্রণয়ন করতে যাচ্ছে। এতে কোনো লাভ হবে না। পাখির খাঁচায় বন্দি করার সরকারের চক্রান্ত প্রতিহত করা হবে।”
আলোচনা সভায় বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজী, এ্যাবের সদস্য সচিব প্রকৌশলী হারুন অর রশীদ, অধ্যাপক এ বি ভুঁইয়া, অধ্যাপক মিজানুর রহমান, অধ্যাপক আবদুল মান্নান মিয়া, অধ্যাপক সিরাজউদ্দিন আহমেদ, অধ্যপক এস এম রায়হান, অধ্যাপক আতিকুর রহমান, ডা. আবদুল কুদ্দুস, আবদুস সালাম, এস এম রফিকুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।
ড্যাব সভাপতি অধ্যাপক এ কে এম আজিজুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সংগঠনের মহাসচিব এ জেড এম জাহিদ হোসেন।