somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দিল্লির মেয়েদের মতো আমাদের মেয়েদেরও ঘুরে দাড়ানো প্রয়োজন

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

চলন্ত বাসে মেডিকেলের ছাত্রীকে গণধর্ষণের পর ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির নারীদের জীবনযাত্রায় অনেক পরিবর্তন এসেছে। নিজেদের রক্ষায় নানা কৌশল নিতে শুরু করেছেন তাঁরা।
অনেক নারী মরিচের গুঁড়া সঙ্গে নিয়ে রাস্তায় বেরোচ্ছেন। কেউবা আগেভাগে কর্মস্থল ত্যাগ করছেন। ট্যাক্সিক্যাবে ওঠার ক্ষেত্রে মানছেন সর্বোচ্চ সতর্কতা। নারী চালক দেখে ক্যাবে উঠছেন।
দিল্লিতে গত ১৬ ডিসেম্বর রাতে চলন্ত বাসে মেডিকেলের ছাত্রীর গণধর্ষণের পর ভারতজুড়ে ব্যাপক জনরোষের সৃষ্টি হয়। নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি ওঠে সমাজের প্রতিটি স্তরে। দক্ষিণ দিল্লির ছাত্রী সুনন্দ জালোত (১৮) বলেন, ‘দিল্লি নারীদের জন্য নিরাপদ নয়—আমারা দীর্ঘদিন ধরে এটা জানি। কিন্তু ১৬ ডিসেম্বরের ঘটনা সবাইকে সজাগ করেছে। আমরা যখন-তখন যেখানে ইচ্ছে, সেখানে যেতে চাই। নিজেদের নিরাপদ ভাবতে চাই। তাই নিজেদের রক্ষার কৌশল জানতে হবে।’
ভারতের অন্য যেকোনো শহরের চেয়ে নয়াদিল্লিতে বেশি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ২০১২ সালে ৭০৬টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, যা আগের বছরের চেয়ে প্রায় ২৩ শতাংশ বেশি। আর যৌন নিপীড়ন ১১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৭২৭।
নারীদের আত্মরক্ষার কৌশল প্রশিক্ষণ দেয়—দিল্লিতে এমন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোয় নিবন্ধন বেড়ে গেছে। ইনভিকটাস নামক এমন একটি প্রতিষ্ঠানের জ্যেষ্ঠ প্রশিক্ষক অঙ্কুর শর্মা জানান, ১৬ ডিসেম্বরের ঘটনার পর তাঁদের প্রতিষ্ঠানে নিবন্ধন প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়ে গেছে। তাঁদের বেশির ভাগই নারী শিক্ষার্থী বা চাকরিজীবী, যাঁদের বয়স ১৮ থেকে ৩৫ বছর।
চলতি মাসের গোড়ার দিকে একটি জরিপে দেখা গেছে, দিল্লির বিপিও বা আইটি খাতে কর্মরত ৮০ শতাংশ নারী আগেভাগে কর্মস্থল ত্যাগ করছেন। জরিপে অংশ নেওয়া নারীরা জানান, তাঁরা বাস, অটোরিকশা ও পাতালরেলের মতো গণপরিবহন ব্যবহারে ভয় পাচ্ছেন। নারী চালকদের ট্যাক্সিক্যাব ব্যবহারের চেষ্টা করছেন তাঁরা।
জরিপে বলা হয়, নারী চালকদের ট্যাক্সিক্যাব ব্যবহার ৩৫ শতাংশ বেড়েছে। আর যাঁদের ট্যাক্সিক্যাবে চলার কিংবা আত্মরক্ষার কৌশল শেখার মতো সামর্থ্য নেই, তাঁরা মরিচের গুঁড়া নিয়ে রাস্তায় চলাফেরা শুরু করছেন।
দিল্লির মেয়েদের মতো আমাদের মেয়েদেরও ঘুরে দাড়ানো প্রয়োজন
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারতে পচা রুটি ভাত ও কাঠের গুঁড়ায় তৈরি হচ্ছে মসলা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৩০

আমরা প্রচুর পরিমানে ভারতীয় রান্নার মশলা কিনি এবং নিত্য রান্নায় যোগ করে খাই । কিন্তু আমাদের জানা নেই কি অখাদ্য কুখাদ্য খাচ্ছি দিন কে দিন । এর কিছু বিবরন নিচে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মন যদি চায়, তবে হাতটি ধরো

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৩

মন যদি চায়, তবে হাতটি ধরো
অজানার পথে আজ হারিয়ে যাব
কতদিন চলে গেছে তুমি আসো নি
হয়ত-বা ভুলে ছিলে, ভালোবাসো নি
কীভাবে এমন করে থাকতে পারো
বলো আমাকে
আমাকে বলো

চলো আজ ফিরে যাই কিশোর বেলায়
আড়িয়াল... ...বাকিটুকু পড়ুন

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাকরি বয়সসীমা ৩৫ বৃদ্ধি কেনো নয়?

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪২



চাকরির বয়সসীমা বৃদ্ধি এটা ছাত্র ছাত্রীদের/ চাকরি প্রার্থীদের অধিকার তবুও দেওয়া হচ্ছে না। সরকার ভোটের সময় ঠিকই এই ছাত্র ছাত্রীদের থেকে ভোটের অধিকার নিয়ে সরকার গঠন করে। ছাত্র ছাত্রীদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঁচতে হয় নিজের কাছে!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৮

চলুন নৈতিকতা বিষয়ক দুইটি সমস্যা তুলে ধরি। দুটিই গল্প। প্রথম গল্পটি দি প্যারবল অব দ্যা সাধু।  লিখেছেন বোয়েন ম্যাককয়। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ জার্নালের ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সংখ্যায়। গল্পটা সংক্ষেপে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×