প্রতিদিনকার জীবনে ফ্যাকড়া লাগার খুব সাধারণ একটা উদাহরণ হলো টেলিফোন। যেমন ধরুন, কোন প্রয়োজনে বা এমনি গ্যাঁজানোর জন্য কাউকে ফোন করলেন। ৬/৭/৮...১০বার রিং হলো কিন্তু ওপাশে কেউ ফোন ধরেনা! সেক্ষেত্রে আপনি কি করেন? লাইন কেটে দ্যান, তাইতো?
এখন আবার ভাবুন, উল্টোটাও তো ঘটে। প্রায়ই কি এমন হয়না যে টেলিফোন বাজল আর আপনার মনে হলো 'এই অসময়ে কে ফোন করল!'? তারপর যাবতীয় আলস্যকে ঠেলে যখন ফোনটা ধরা হলো ঠিক সেই মুহূর্তেই দেখা গেল যে লাইনটা কেটে গেল!!
একটু ভাবলেই বুঝবেন, যিনি ফোন করেছিলেন তিনি কিন্তু এক্ষেত্রে লাইন কেটে দিলেন।
কেন এমন হয়? সেখানেই আমার থিওরী
***********************************************
মানুষের অপেক্ষা করার সর্বোচ্চ সময়, আর অপেক্ষা করানোর সর্বনিন্ম সময় প্রায় কাছাকাছি; এবং এই সময়টা সব মানুষের ক্ষেত্রেই খুব কাছাকাছি।
***********************************************
(টেলিফোনের ক্ষেত্রে আমার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা বলে এই সময়টা হলো সাত/আটবার রিং করার সমান। তবে ব্যাপারটা সম্ভবতঃ আরো অনেকেই টের পেয়েছেন, কারণ মোবাইল ফোনকোম্পানীগুলো 'কল ফেইলড' মেসেজ দেয়ার জন্য ডিফল্ট হিসেবে ৭ বার রিং হওয়াকে সেট করে রাখে।)
আজই পরীক্ষা করে দেখুন আপনার ক্ষেত্রে এই সংখ্যাটা কত?
সময়ের হিসেবে বলি, যেমন ধরুন ডেট করতে গ্যাছেন। প্রেমিকার/প্রেমিকের আসার নাম নেই। মোবাইলে ফোন করে দেখেন মোবাইলও বন্ধ। কতক্ষণ অপেক্ষা করবেন?
সাধারণ মানুষ ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে, আর দেরী করার ক্ষেত্রেও মানউষ সাধারণত ভাবে যাকে অপেক্ষা করাব সে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করলে নিশ্চয়ই খুব বিরক্ত হবেনা
ডেটিংয়ের সময় যেটা সেট করবেন, প্রেমিক/প্রেমিকাকে তারচেয়ে ১৫ মিনিট আগের সময়টাকে 'মিটিং টাইম' হিসেবে বলুন।
রাস্তায় কাঁচুমাচু চেহারা নিয়ে দাঁড়িয়ে ঘামতে হবেনা