শ্রীমঙ্গলে চা-বোর্ডের প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিট সূত্রে জানা গেছে, দেশের ১৬২টি চা বাগানের মধ্যে ১১৫টি রয়েছে মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলায়। দেশে মোট উৎপাদনের ৮৭ শতাংশ চা উৎপাদন হয় এই দুই জেলায়। সূত্রমতে, এই দুই জেলায় ব্রিটিশ চা কোম্পানি ডানকান ব্রাদার্সের ১৪টি কারখানা এবং জেমস ফিনলের দুইট কারখানা বাদে অবশিষ্ট সব কারখানাতেই বিদ্যুতের প্রয়োজন।
একাধিক চা বাগানের মালিক ও বিভিন্ন টি কোম্পানির সিনিয়র টি প্লান্টার্সের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগে লোডশেডিংয়ের জন্য এলাকাভিত্তিক সময় নির্ধারণ করে চা বাগান কর্তৃপকে জানানো হত। এছাড়া বিকেল ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত পিকআওয়ারে কারখানা বন্ধ রাখতে বলা হত। কিন্তু এখন লোডশেডিং সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট পল্লী বিদ্যুত সমিতি থেকে আগাম কিছুই জানানো হয় না। বরং পিক, অফপিক আওয়ার যেকোন সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।
জেমস ফিনলে ও প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির কয়েকজন কারখানা ব্যবস্থাপক বলেন, মার্চ থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত এই ছয়মাস চা উৎপাদনের ভরা মৌসুম। গাছ থেকে পাতা সংগ্রহের পর একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে চা তৈরি করতে হয়।
ঘড়ি ধরে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ছয়টি প্রক্রিয়া ( উইদারিং, কাটিং, ফরমেটিং, ডায়িং, সর্টিং ও প্যাকিং) সম্পন্ন করতে না পারলে একদিকে কিছু পাতা নষ্ট হয়ে যায়। অন্যদিকে তৈরি চায়ের চায়ের গুণগতমান ঠিক থাকে না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুত সমিতির প্রকৌশল বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘দুই জেলায় (মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ) বিদ্যুতের চাহিদা পিকআওয়ারে ২৭-২৮ মেগাওয়াট। পিডিবি থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে ১০-১৩ মেগাওয়াট। ফলে লোডশেডিং করা ছাড়া কোন উপায় নাই। এছাড়া গত মে মাস থেকে লোড ব্যবস্থাপনার মতা স্থানীয়ভাবে নেই। টেলিমিটারিংয়ের মাধ্যমে ঢাকা থেকে বিদ্যুত বন্ধ করে দেওয়া হয়।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুলাই, ২০০৭ সকাল ১১:৪৪