somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কি আছে যৌবনে! টর্চলাইট মারো সর্ব ক্ষেত্রে!

২৫ শে জুলাই, ২০০৭ বিকাল ৫:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিবাহ করিবনা: কুটিকালের এই সিদ্ধান্তে এখনও অবিচলভাবে দন্ডায়মান আছি, তবে জানি না কতদিন থাকিতে পারিবো? কেননা অনেকেই জিজ্ঞেস করে, "এত বুইড়া হইয়া বিয়া করবি সন্তান ইন্টার পাশ করতে করতে মরার টাইম আইসা যাইবো!" তখন আমি আবার প্রতি উত্তর দেই, "সন্তান পয়দা করতে বিবাহের প্রয়োজনটা কি?" অবশ্য আমি আবার মুরব্বি দেইখা উত্তর দেই। মাগার আমার এক পরিচিত ছিলেন: যিনি বেফাস কমিটির একলা চেয়ারম্যান।
মুক্তিযুদ্ধ করে ৭২'এর জানুয়ারীতে ফিরেছিলেন ঐ ভদ্রলোক। মা দরজা খুইলা ছানি পড়া চোখে জিজ্ঞেস করে,"কারে চান?" যখন উনি "মা" বইলা জোরে এমন চিতকার দিলো বাসার সবাই লাঠি নিয়া বাইর হইলো; ভবলো ডাকাত পড়ছে। পরে চুল দাড়ির আড়ালে দেখে তার ছেলের ভূত থুক্কু তার ছেলেই।সবাই তো আত্নহারা, ডিসিশন নিলো পাশের বাড়ীর কলমীর সাথে ওর বিবাহ দিবে। যাই হোক দিন ক্ষণ দেখে তাকে বোঝানো হল। এখানে একটা কথা বলে রাখি দিন ক্ষণ দেইখা তার মাথাটা খারাপ হয়, আর পাশের বাড়ীর ডাব গুলা চুরি হয়। সেজন্য সবাই অনেক চিন্তা কইরা তাকে বিবাহের জন্য রাজী করানো হইলো, গেলো কলমীরে দেখতে। দেখতে গিয়া তার হইলো সমস্যা মানে কন্যা কেন জানি উনার পছন্দ হয় নাই, অবশ্য ঘোমটা খান এত বড় ছিলো যে মাথাটা কোন জায়গায় আর ঘাড় টা কোন জায়গায় আর কি শাড়ীর নিচে কোন জায়গায় বুঝতে অসুবিধা হইলো।
যাই হোক আম্মাজান খোচায়, চাচারা খোচায়; "পছন্দ হইছে কিনা সিগন্যাল দে!" এমন সময় উনি খাড়ায়া কইলো,"আম্মাজান আমি আবার যুদ্ধে যামু আমারে রাইফেলটা দাও!" সবাই শুইন্যা হা! কয় কি?
কন্যা তো ঐ খানেই ফিট!
সবাই ধরাধরি কইরা কন্যার মাথায় পানি আগে না দিয়া হবুবরের (?) মাথায় পানি দিলো। মায় জিজ্ঞেস করে, "যুদ্ধের ময়দানে কি রাইখা আইছস, উত্তর দে?"
এদিকে কন্যার মাথায় পানি দেওয়া শুরু করলো আর কেমনে জানি কলমীর চান সুরত দেইখা উনার পছন্দ হইয়া গেলো। ব্যাস আর যায় কই, জায়গায় কবুল পাঠ!
তারা সুখে শন্তিতে বসবাস করতে লাগলো। এই গল্প অলওয়েজ হিট ছিলো।

আসলেও বয়স কেমনে বাড়তাছে, টাইম মেশিন আবিস্কার করা ফরজ হইয়া গেছে!
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ১০:০০
১৯টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অতিরিক্ত বা অতি কম দুটোই সন্দেহের কারণ

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ৩১ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৩০

অনেক দিন গল্প করা হয়না। চলুন আজকে হালকা মেজাজের গল্প করি। সিরিয়াসলি নেয়ার কিছু নেই৷ জোসেফ স্টালিনের গল্প দিয়ে শুরু করা যাক। তিনি দীর্ঘ ২৯ বছর সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রধান নেতা ছিলেন। বলা... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সীমানা পিলার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ৩১ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৮



বৃটিশ কর্তৃক এদেশে ম্যাগনেটিক পিলার স্থাপনের রহস্য।
ম্যাগনেটিক পিলার নিয়ে অনেক গুজব ও জনশ্রুতি আছে, এই প্রাচীন ‘ম্যাগনেটিক পিলার' স্থাপন নিয়ে। কেউ কেউ এটিকে প্রাচীন মূল্যবান ‘ম্যাগনেটিক’ পিলার... ...বাকিটুকু পড়ুন

মাথায় চাপা ভূত ভূত ভূতং এর দিনগুলি

লিখেছেন শায়মা, ৩১ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৫


এই যে চারিদিকে এত শত কাজ কর্ম, ঝামেলা ঝক্কি, ক্লান্তি শ্রান্তি সব টপকে আমার মাথায় আজও চাপে নানান রকম ভূত। এক ভূত না নামতেই আরেক ভূত। ভূতেদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আত্মস্মৃতি: কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায় (দ্বিতীয় অংশ)

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ৩১ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:০৫


আত্মস্মৃতি: কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায় (প্রথমাংশ)
আমাদের সদ্য খনন করা পুকুরটা বৃষ্টির পানিতে ভেসে গেল। যা মাছ সেখানে ছিল, আটকানোর সুযোগ রইল না। আমি আর দুইবোন শিউলি ও হ্যাপি জালি... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিজের পাসওয়ার্ড অন্যকে দিবেন না ;)

লিখেছেন অপু তানভীর, ৩১ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:৫৭



কথায় আছে যে পাসওয়ার্ড এবং জাঙ্গিয়া অন্যকে দিতে নেই । মানুষ হিসাবে, বন্ধু হিসাবে প্রেমিক/প্রেমিকা হিসাবে অথবা আজ্ঞাবহ হওয়ার সুবাদে আমরা অন্যকে ব্যবহার করতে দিই বা দিতে বাধ্য হই।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×