বিবাহ করিবনা: কুটিকালের এই সিদ্ধান্তে এখনও অবিচলভাবে দন্ডায়মান আছি, তবে জানি না কতদিন থাকিতে পারিবো? কেননা অনেকেই জিজ্ঞেস করে, "এত বুইড়া হইয়া বিয়া করবি সন্তান ইন্টার পাশ করতে করতে মরার টাইম আইসা যাইবো!" তখন আমি আবার প্রতি উত্তর দেই, "সন্তান পয়দা করতে বিবাহের প্রয়োজনটা কি?" অবশ্য আমি আবার মুরব্বি দেইখা উত্তর দেই। মাগার আমার এক পরিচিত ছিলেন: যিনি বেফাস কমিটির একলা চেয়ারম্যান।
মুক্তিযুদ্ধ করে ৭২'এর জানুয়ারীতে ফিরেছিলেন ঐ ভদ্রলোক। মা দরজা খুইলা ছানি পড়া চোখে জিজ্ঞেস করে,"কারে চান?" যখন উনি "মা" বইলা জোরে এমন চিতকার দিলো বাসার সবাই লাঠি নিয়া বাইর হইলো; ভবলো ডাকাত পড়ছে। পরে চুল দাড়ির আড়ালে দেখে তার ছেলের ভূত থুক্কু তার ছেলেই।সবাই তো আত্নহারা, ডিসিশন নিলো পাশের বাড়ীর কলমীর সাথে ওর বিবাহ দিবে। যাই হোক দিন ক্ষণ দেখে তাকে বোঝানো হল। এখানে একটা কথা বলে রাখি দিন ক্ষণ দেইখা তার মাথাটা খারাপ হয়, আর পাশের বাড়ীর ডাব গুলা চুরি হয়। সেজন্য সবাই অনেক চিন্তা কইরা তাকে বিবাহের জন্য রাজী করানো হইলো, গেলো কলমীরে দেখতে। দেখতে গিয়া তার হইলো সমস্যা মানে কন্যা কেন জানি উনার পছন্দ হয় নাই, অবশ্য ঘোমটা খান এত বড় ছিলো যে মাথাটা কোন জায়গায় আর ঘাড় টা কোন জায়গায় আর কি শাড়ীর নিচে কোন জায়গায় বুঝতে অসুবিধা হইলো।
যাই হোক আম্মাজান খোচায়, চাচারা খোচায়; "পছন্দ হইছে কিনা সিগন্যাল দে!" এমন সময় উনি খাড়ায়া কইলো,"আম্মাজান আমি আবার যুদ্ধে যামু আমারে রাইফেলটা দাও!" সবাই শুইন্যা হা! কয় কি?
কন্যা তো ঐ খানেই ফিট!
সবাই ধরাধরি কইরা কন্যার মাথায় পানি আগে না দিয়া হবুবরের (?) মাথায় পানি দিলো। মায় জিজ্ঞেস করে, "যুদ্ধের ময়দানে কি রাইখা আইছস, উত্তর দে?"
এদিকে কন্যার মাথায় পানি দেওয়া শুরু করলো আর কেমনে জানি কলমীর চান সুরত দেইখা উনার পছন্দ হইয়া গেলো। ব্যাস আর যায় কই, জায়গায় কবুল পাঠ!
তারা সুখে শন্তিতে বসবাস করতে লাগলো। এই গল্প অলওয়েজ হিট ছিলো।
আসলেও বয়স কেমনে বাড়তাছে, টাইম মেশিন আবিস্কার করা ফরজ হইয়া গেছে!
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ১০:০০