somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সর্দারজী ২১

২১ শে জুলাই, ২০০৭ সকাল ৮:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কমুনিস্ট জামানা । আমাগো সর্দারজী কল্কি সিং, দেশে কল্কি না পায়া সাম্যবাদের মন্ত্রে ব্রেইন ওয়াশ হওনের জন্য সোভিয়েত মুল্লুকের কারখানায় কাম নিসে ।

কিন্তু কারখানার খাটাস ফোরম্যান, (মানে সর্দারজী!) ট্রেড ইউনিয়ন নেতা পয়মাল বল্টুয়েভ একটা জাত খচ্চর । হালার পুত কোনো কাম করে না । অফিসে বইসা ভোদকা খায়, তাস খেলে, গান গায় আর লোকের উপর হুকুম জারি করে । মাস শেষে সে বেতনও পায় অন্যের চেয়ে বেশি ।

একদিন কল্কি সিং এর চ্যাত উইঠা গেল । ধুমধাম পা ফেইলা সে ঢুকল পয়মাল বল্টুয়েভের অফিসে । কইলো 'কমরেড বল্টু, এইটা কেমন কথা, যে তুমি সারাদিন এই গর্তে বইসা ইয়া ফালাইবা আর আমরা খাইটা মরুম তারপরেও তুমি বেশী বেতন নিবা? মার্কসবাদ-লেনিনবাদের আদর্শ কী বলে?'

'মার্কসবাদের ইয়া তে আমি ইয়া করি । শোনো তোমরা কেন গতর খাইটা কাম করো জানো? কারন তোমরা সব বুকাচুদা!'

'আমরা বুকাচুদা? বেশী তেল হইছে না ইয়া তে? প্রমান দাও!'

বল্টু সর্দার উইঠা দেয়ালের কাছে গিয়া হাত পাইতা দিল । 'আমার হাতটা দেখছ?'

'হ!'

'একটা ঘুষি মারো তো এই হাতে! জুরে মারবা!'

তো কল্কি সিং ধাঁই কইরা মারছে ঘুষি (দেশে সে ইন্টার-পলিটেকনিক বকসিং রানার্স আপ আছিল) যেইনা মারছে পয়মাল হাতটা নিছে সরায়া! আর ঘুষিটা পড়ছে দেয়ালের উপর । এক খাবলা প্লাস্টার দেয়াল থিকা খইসা গেছে সাথে সাথে ।

'এইবার বুঝলা যে তুমি আসলেই একটা বুকাচুদা? তুমি যদি আমি হইতাম তাইলে ঘুষিটা আমি মারতাম না । পরের মাসের বেতন থিকা প্লাস্টারের খরচটা কাটা হবে । এখন যাও কামে মন দাও । নিকালো হিঁয়াসে!'

তো কল্কি সিং বাইরায় দেখে তার কিছূ মজদুর দোস্ত দাড়ায়া আছে বল্টুর লগে কল্কির আলোচনার অগ্রগতি হোননের লাইগা ।

'পয়মাল কইছে আমাদের বেশি কাম করতে হয় কারন আমরা বুকাচুদা!'

'কইলে হইলো? আমরা তো চালাকচুদাও হইতে পারি! প্রমান দাও!'

'আমার এই হাতটা দেখছ?' বইলা হাতটা নিজের নাকের সামনে রাখে কল্কি সিং । 'একটা ঘুষি মারো তো এই হাতে! জুরসে মারবা!!!'

সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৪:০৯
৭টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কাঁচা আম পাড়ার অভিযান

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২



গাজীপুর জেলার জয়দেবপুরের বাড়ীয়া ইউনিয়নের দেউলিয়া গ্রামে আমার প্রায় ৫২ শতাংশ জমি কেনা আছে। সেখানে ছোট একটি ডোবা পুকুর, অল্প কিছু ধানের জমি আর বাকিটা উঁচু ভিটা জমি। বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×