[পছন্দের একটা ব্লগে টপিকটা পড়ে লিখতে ইচ্ছে হলো]
=============================
'এইহেইজি' জাপানের খুবই বিখ্যাত এক টেম্পলের নাম।
ফুকুই প্রিফেকচারের এই টেম্পলটিতে গিয়েছিলাম সেই ১৯৯৬ তে, যেবছর এদেশে এলাম। গিয়ে তো আমি রীতিমতো মুগ্ধ!!
বিশাল এলাকা জুড়ে উঁচু উঁচু গাছে ঘেরা বাগান, বাগানে আমাদের গ্রামের সেই আপন আপন সোঁদা গন্ধ, একটু পর পর ছোট ছোট পুকুর, পুকুরগুলোর উপর প্রাচীন জাপানীজ স্টাইলের আর্ক-টাইপের ছোট ছোট কালভার্ট, পুকুরের স্বচ্ছপানি ভেদ করে অনেক নিচ পর্যন্ত পুকুরভরা নানান রঙের মাছগুলোকে দেখা যায়।
তবে সবচেয়ে মুগ্ধ হলাম যখন মূল মন্দিরে আসলাম, বিশাল উঁচু আধো আধো অন্ধকারে মোড়া মন্দিরটিকে মনে হচ্ছিল অশরীরি এক অস্তিত্ব। ভেতরে তাকিয়ে দেখি বিরাটাকায় বৌদ্ধমূর্তি , সৌম্যময় শান্তচোখে কি যেন বলছেন গৌতমবুদ্ধ (ওশাকা-সামা)।
মনের অজান্তেই হাত চলে গেল ব্যাগের ভেতর, বের হয়ে এল ক্যাননের ক্যামেরাটি। তখন ক্যামেরাটি কিনেছি সবে দুমাস, যা দেখি তাই বাক্সটিতে বন্দী করে ফেলার ব্যাপারে আমার তখন তুমুল উৎসাহ। 'এইহেইজি'র এরকম রহস্যময় পরিবেশ দেখে তো তখন মন উতলা, যতপারি ছবি তুলব!
তো ক্যামেরা বের করে যেই চোখের সামনে ধরলাম, অমনি এক জাপানিজ (মন্দিরেরই কর্মচারী) তেড়ে এল, আমার সামনে এসে দুই বাহুকে ক্রসআকৃতি করে দেখিয়ে বলল, 'নো ফটো, প্রিজ'(জাপানীরা সাধারণত 'ল'কে 'র' উচ্চারণ করে)।
তখন ভেবেছিলাম, আমাদের ইসলামের মতো বৌদ্ধধর্মেও মনে হয় ছবি তোলা নিষেধ, অথবা এটলিস্ট বুদ্ধের ছবি তোলা নিষেধ। পরে দেখি, ওমা! শুধু বৌদ্ধমূর্তি না, পুরো কম্পাউন্ডেই ছবি তোলা নিষেধ!
আমি পুরা হতাশ!!
আসলেই ভীষন হতাশ!!!
আমার এইহেইজি দর্শনের মজা যেন বারো আনাই নষ্ট হয়ে গেল!!!!
পরে দেখলাম এখানে অনেক দর্শনের জায়গাতেই ছবি তোলা হারাম। অনেক মিউজিয়াম, প্রদর্শনী, আর্টগ্যালারীতেই যেই ছবি তুলতে গিয়েছি অমনি কোন এক ডসেন্ট হারামী এসে বাগড়া দিয়েছে, 'নো ফটো, প্রিজ!'
পরে শুনি অন্যান্য দেশেও এই একই ঝামেলা করে, ছবি তুলতে দেয়না!
**************************************
আজকের গেসবল,
কেন এই ছবি তুলতে বাঁধা দেয় বলে আপনি মনে করেন?
আলোচিত ব্লগ
কথাটা খুব দরকারী
কথাটা খুব দরকারী
কিনতে গিয়ে তরকারি
লোকটা ছিল সরকারি
বলল থাক দর ভারী।
টাকায় কিনে ডলার
ধরলে চেপে কলার
থাকে কিছু বলার?
স্বর থাকেনা গলার।
ধলা কালা দু'ভাই
ছিল তারা দুবাই
বলল চল ঘানা যাই
চাইলে মন, মানা নাই।
যে কথাটা... ...বাকিটুকু পড়ুন
অতিরিক্ত বা অতি কম দুটোই সন্দেহের কারণ
অনেক দিন গল্প করা হয়না। চলুন আজকে হালকা মেজাজের গল্প করি। সিরিয়াসলি নেয়ার কিছু নেই৷ জোসেফ স্টালিনের গল্প দিয়ে শুরু করা যাক। তিনি দীর্ঘ ২৯ বছর সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রধান নেতা ছিলেন। বলা... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সীমানা পিলার
বৃটিশ কর্তৃক এদেশে ম্যাগনেটিক পিলার স্থাপনের রহস্য।
ম্যাগনেটিক পিলার নিয়ে অনেক গুজব ও জনশ্রুতি আছে, এই প্রাচীন ‘ম্যাগনেটিক পিলার' স্থাপন নিয়ে। কেউ কেউ এটিকে প্রাচীন মূল্যবান ‘ম্যাগনেটিক’ পিলার... ...বাকিটুকু পড়ুন
মাথায় চাপা ভূত ভূত ভূতং এর দিনগুলি
এই যে চারিদিকে এত শত কাজ কর্ম, ঝামেলা ঝক্কি, ক্লান্তি শ্রান্তি সব টপকে আমার মাথায় আজও চাপে নানান রকম ভূত। এক ভূত না নামতেই আরেক ভূত। ভূতেদের... ...বাকিটুকু পড়ুন
নিজের পাসওয়ার্ড অন্যকে দিবেন না ;)
কথায় আছে যে পাসওয়ার্ড এবং জাঙ্গিয়া অন্যকে দিতে নেই । মানুষ হিসাবে, বন্ধু হিসাবে প্রেমিক/প্রেমিকা হিসাবে অথবা আজ্ঞাবহ হওয়ার সুবাদে আমরা অন্যকে ব্যবহার করতে দিই বা দিতে বাধ্য হই।... ...বাকিটুকু পড়ুন