বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই যে ধরণের দূর্ণীতি বিরোধী চলে এসছিল, তাতে স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছিল বিগত রাজনৈতিক দলগুলির ভিতর একধরণের সংষ্কার আনাই এই সরকারের ইচ্ছার প্রধান বহি:প্রকাশ। সেরকমটাই মিডিয়ার সামনে উপস্থাপন করেছিলেন উপদেষ্টাবৃন্দ।
সময়ের গন্ডি পেরিয়েই বলি আর অনুকূল, প্রতিকূলতাই বলি সময়ের প্রয়োজনীয় দাবী হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক দলগুলির সংষ্কার। রাজনৈতিক দলগুলিও সংষ্কারের ব্যপারে আগ্রহ প্রকাশ করে তাদের ভিন্ন ভিন্ন মত তুলে ধরছেন। কাউকে বাদ দিয়ে নয়তবা ক্ষমতা খর্ব করে সংষ্কার প্রস্তাব সরকারের সামনে তুলে ধরাই তাদের মূল লক্ষ্য।
এই সাথে তাদের আরেক একটি দাবীও ছিল “ঘরোয়া রাজণীতি” চালু করা প্রসঙ্গে। নির্বাচন কমিশন দলগুলোর সাথে আলাচনায় বসতে চাইলেও দলগুলি “ঘরোয়া রাজণীতি” চালু না থাকার অযুহাতে বিষয়টিকে ঝুলিয়ে রেখে সরকারকে কি অন্য কোন ইঙ্গিত দিচ্ছেন কিনা তা তারাই ভাল বলতে পারবে। এই প্রসঙ্গে সরকারও তেমন কোন উচ্চবাচ্য করছেনা। চালু হবে কিনা কিংবা বন্ধ থাকবে কিনা কোন বিষয়ে সুষ্পষ্ট তথ্য পাওয়া না গেলেও সীমারেখা নির্ধারনের ব্যপারে হয়তবা কিছু বলতে চাইছেন।
“ঘরোয়া রাজণীতি” চালুর ব্যপারে বর্তমান সরকারের নিশ্চুপ থাকাতেই আশ্চর্য হতে হয় ! যারা দূর্ণীতিবাজ তারা তো সাজ ঘরেই রয়েছেন কিংবা দলগুলোও সংষ্কার আনতে চাইছেন যার যার দলে তাহলে “ঘরোয়া রাজণীতি” বন্ধ কেন?
বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকার কি অন্য কোন ভয়ে ভীত ?