somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

লিগ্যাল পরকীয়া ভার্সেস ইলিগ্যাল পরকীয়া এবং ভালবাসার জয় ঘটিত ধারনার পূনরাবৃত্তি

২৯ শে জুন, ২০০৭ দুপুর ১২:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ইলিসিট প্রেম বা পরকীয়া বিষয়টাকেই উপজীব্য বলে প্রতীয়মান হচ্ছিল , কারন ঘটনার ধরাবাহিক ক্রম প্রাথমিক পর্যায়গুলোতে সে বিষয়কেই বস্তু বানিয়ে মানে বিষয় বস্তু রূপে পরিগ্রহণ করে সামনে প্রসিড করছিল।
কিন্তু যতটা পথ ঐ সিনেমার পাড়ি দিয়ে ফেললে সেই ব্যাপারটি ঘটে মানে হয় ছবিটি টানবে ( আকর্ষিত করবে ) না হলে বিকর্ষিত করবে , ততটা দেখার পর অমোঘ টান অনুভব করতেই আরও প্রিসাইজলি টের পেলাম উপজীব্য পরকীয়া হতে সংকোচিত হয়ে সেক্স বা সংগম বিষয়টিকেই যেন স্পষ্টভাবে পে টানাটানি করছে যেমন গ্যালাক্সি হতে আরও সূক্ষ্ম ভাবে সৌরজগত বা আরও সংকোচন ভাবনায় গ্রহ ।

অনেকদিন বাদে সময় কাল রাতে হয়েছিল আপন। আর তাই সদ্য কেনা ডিভিডিটা ল্যাপটপে চালান করে খুব আগ্রহ নিয়ে দেখতে বসেছিলাম সময়কে জড়িয়ে ধরে আর ঘুমকে প্রতারিত করে। ঐ যে সমান সমান। কাউকে আদর আর কেউ প্রতারিত। সমতা বুঝি তারই নাম।
ধারনা ছিল হিন্দি ছবি ‘ মেট্রো ’ একটু আর্ট ফিল্ম কায়দার হওয়ায় , ভাল লাগবেই। তাই ওটা দিয়েই শুরু হলো দৃষ্টির কষ্ট।

শুরু থেকেই পরকীয়া আর পরকীয়া এবং প্রভাব সেক্স। তারপরও বাস্তবতা দেখছিলাম স্পষ্ট , আমাদের বাংলাদেশেই তো রোজ শুনছি এর ওর মুখে এমন সবই। রিয়েলিস্টিক ঘটনা , আরও আগ্রহ উত্তপ্ত হচ্ছিল।

একটু ব্যত্তিগত দর্শন কপচিয়ে নেই- পরকীয়া ব্যাপারটি দ্বৈত সত্ত্বার প্রভাব পুষ্ট একটি আচরণ নিসন্দেহে। সেখানে দুজনই বিবাহিত নাকি কেবল একজন সেটা বলা মুখ্য ভাবছি না আপাতত, মুখ্য ভাবছি--
পরকীয়ারত ব্যক্তি( অব্যশই একজন নারী আর একজন পুরুষ. গে বা লেস দ্বারা আর যাই হোক পরকীয়া হয় না) দ্বয়ের মধ্যে ভালবাসা বা প্রেমের উপস্থিতি বিষয়টি মাথায় ঘুরছিল বারবার , মেট্রো দেখতে দেখতে। আর তাই লিগ্যাল পরকীয়া আর ইলিগ্যাল পরকীয়া, এই দ্বৈত বিভাজন না করেই পারা গেলনা অথবা বলা যেতে পারে, না শিখেই পারা গেলনা।

কনডিশন হতে পারে তিন রকম-
১। একজন প্রেম কে মনে ধারন করেই পরকীয়ারত আর অন্যজন কেবল কামনা চরিতার্থক।
২। দুইজনই কামনা চরিতার্থক, প্রেম ট্রেম , আবেগ কোন বিষয়ই না, কেবল দেহের আবেশিত শিষ্য আর তাই তার চাহিদা পূরণ আকর্ষনীয় বা পটয়সী কারও সাথে।
২। কারও দেহকামনার অবশান আর কারও কোন পার্থিব সুবিধা লাভ করন জাতীয় দৈহিক সম্পর্ক।
৩। চরম প্রেমাবেগে আপ্লুত বা আবেশিত এবং ভালবাসার উৎসরণে পরকীয়া সম্পর্কিত দুজন নারীপুরুষ।

মেট্রো ছবি দেখতে দেখতেই এই বিশ্লেষন কাজ করেছে মাথায়। আর পরিচালকের দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী মনে হয়েছে প্রথম তিনটিই ইলিগ্যাল পরকীয়া আরি শেষের টি লিগ্যাল।

কিন্তু মহাপ্রশ্ন- পরকীয়া ও মতো নিষিদ্ধ এক সম্পর্ক আবার লিগ্যাল হয় কেমনে, তাই না? আমিও জানিনা। এর উত্তর দেয়ার জন্যও এই লেখা না।
খালি একটু চোখ কান খুলে বর্তমানে আর অতীত ঝেড়ে ঝুড়ে দেখেনতো পৃথিবীতে এই সম্পর্ক কত ব্যাপক আর প্রভাবশালী সংসারে।

রাহুল একটি ফার্মে কল সেন্টারে চাকুরী করে। ভাগ্যক্রমে তার একটি সুন্দর টিপটপ ফাটের কেয়ারটেকার হবার বা দখলদারিত্ব পাবার সৌভাগ্য হয়। ঐ ফাটটি ও বিশাল গুরুত্ব । ভাড়া দেয় রাহুল । অফিসের বিভিন্ন বসদের কাছে। সে এক মহা লঙ্কাকান্ড। দেখে মনে হবে চাকুরীর বাইরে লোকগুলোর কাজ কেবল গোপন সেক্স ( অবাস্তব বলাও ঠিক হবে না বর্তমান প্রোপটে) , রাহুল তরতর করে এগোয়, গোপন সুবিধা দিয়ে সবার কাছ থেকে সে খুব সহজেই সিমট্যাথি বআর সুবিধা আদায় করে। প্রমোশনের জন্য বসেরা মহাবসকে মহাসুপারিশও করে। পরকীয়া ( ২য় আর ৩য় কনডিশন টাইপই বেশীর ভাগ েেত্র ) আর সেক্স দিয়েই এভাবে মেট্রো র কাহিনী বুনট হতে থাকে।
এর মাঝে বেশ মজা পেলাম, রাহুলের এক বস যখন ওর্ডার দিলেন , শুক্রবার এর পরিবর্তে বুধবার তার ফাটের চাবি লাগবেই তখনকার ঘটনাগুলোতে। রাহুল তাকে মানা করতে পারলনা , ফলে বুধবার যার সিডিউল তাকে বলল শুক্রবারে। সেই ব্যত্তি একটু ওয়েট করে তার পরকীয়া পার্টনারকে সুধাল শুক্রবারে পারবে কিনা, সেই মেয়ে আবার একটু ওয়েট করে তার আর এক পরকীয়া পুরষ সঙ্গীকে সুধাল বুধবারে ডেট পরিবর্তন করতে , এভাবে প্রায় অনেক গুলো মানুষ টাইম চ্যান্জ করতে লাগল , তারপর শেষে দেখো গেলো দুই মেয়ে পাশাপাশি কলিগ, আকেই ব্যক্তির সাথে ডেট অদল বদল করছে অজান্তে , ফোন ওয়েটিং করে , আবার একজন আরেকজনকে বলছে উক্ত দিনে একটু কাজ সামাল দিতে। হায়রে পরকীয়া যর্যরিত আধুনিক সমাজ। হায়রে! বেশ বেশ!

সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা ঠিক জমল না। দেখলে অবশ্যই মজা লাগবে।

এর মধ্যে আবার রাহুলের মহা বস একদিন ফ্লাটের চাবি চেয়ে বসল। সেও জানে। রাহুল বাধ্য হলো দিতে। বিনিময়ে প্রমোশন। মহাবস অফিসেরই আরেক সুন্দরী স্টাফ নিহা(কঙ্গনা রানাওয়াত) কে নিয়ে গেল ঐ বাসায়। যাকে আবার রাহুল মনে মনে ভালবাসে। প্যাচ বাড়ছে।
মহাবস( কে কে মেনন) আর তার বউ( শিল্পা শেঠী) এর সম্পর্ক ভাল না। সেক্স বর্জণ পূর্বক ঝগড়্টাই যেন তাদের জীবনের একত্রিত সময়গুলোর মুখ্য বিষয়।
মহা বসের সম্পর্কটা শেষ পর্যন্ত দেখা যায় আমার বর্ণিত ১নং কনডিশনের মতো। একপেশে। আত্মহত্যার চেষ্টাও করে মেয়েটা। ওদিকে রাহুল জেনে ফেলে এক সময়। কিন্তু সে যে কেবলই সুবিধা বোঝে। মহা প্যাচ।
শিল্পা আবার প্রেমে পড়ে আহুজার। সেও বিবাহিত। ব্রোকেন সম্পর্ক যদিও। আহুযা সেক্সএর জন্য পাগল হয়। যদিও এই সম্পর্কটি কে সেক্স এর থেকে ভালবাসায় আবিষ্ট দেখানো হয়েছে। তাই এটাকে যেন মনে হয়েছে লিগ্যাল পরকীয়া। যদিও সেক্স আর হতে হতে হয়ে ওঠেনা।
ওদিকে ৪০ বছর পরে এক বুড়িরকাছে তার প্রেমিক(ধর্মেন্দ্র) ফিরে আসে শেষ বয়সে( মৃত্য সন্নিকটে) । সেই বুড়ি ওল্ডহোম থেকে পালায় বুড়ো প্রেমিকের সাথে ছেলের অশোধন আচরণ এ। অবশ্য ছেলে এই মেলামেশা ও জন্যে অশোধন কথা ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে বলতেই তো পারে। কিন্তু না , এটাও যেন লিগ্যাল পরকীয়া । ভালবাসা এখানে মুখ্য। সেক্সও চলে ঐ বুড়ো বয়সে দুজনের। সেরমই যেনো বুঝানো হলো।
ওদিকে কঙ্কনা সেন শর্মা অবিবাহিত, বড় বোন শিল্পা কে জিজ্ঞাস করে , বিবাহের পূর্বে ভারজিনিটি নষ্ট করা ঠিক কিনা?
নষ্ট করতে যায়, কিন্তু গিয়ে দেখে ওকি! তার বয়ফ্রেন্ড আর অফিসের বস মিলে গে কর্ম সাধনা করছে। আর নষ্ট হওয়া হলোনা। কিন্তু প্রেমে ঠিকই পড়ে গেল ৩৮ বছরের এক যুবকের ।

এভাবেই আরও বেশ কিছুঘটনার সমন্বয়ে ছবিটা পূর্ণতা পেল। কিন্তু সেক্স আর পরকীয়া সিনেমাটির থেকে কখনই সামন্যতম বিচ্যুত হলোনা।

লিগ্যাল পরকীয়ার মাঝে যে আবেগের উৎসরণ আর চোখের পানি ঝরতে দেখলাম তাতে লিগ্যাল পরকীয়া ভার্সেস ইলিগ্যাল পরকীয়া খুব ভাবাচ্ছিল।
ও বলা হলোনা তো শেষতক অবশ্য সব সুন্দর ভাবে মিটিমাট হয়। রাহুল নিহার সাথে মিলে যায়, হয় সংসার। মহাবস , শিল্পার কাছে ফিরে আসে, অন্যান্য সম্পর্কগুলোও মিলে মিশে যায়। বুড়ি মারা যায় বুড়োর আগেই। বুড়ো প্রেমে উদাস হয়ে পড়ে। ৪০ বছর আগের ভুল নিয়ে ভাবতে থাকে। আহুযা আর শিল্পার প্রেম যেন অমর হয় চোখের জলে আর হাতের পরশে। লিগ্যাল পরকীয়া ভার্সেস ইলিগ্যাল পরকীয়া ভাবায় আর দেখি ঠিকই পূনরাবৃত্তি দেখায় পরিচালক ভালবাসা নামক অস্পষ্ট ধারনার জয় টাকে।


২৯/০৬/০৭




সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জুন, ২০০৭ দুপুর ১:০১
১২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্যাড গাই গুড গাই

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:০৩

নেগোশিয়েশনে একটা কৌশল আছে৷ ব্যাড গাই, গুড গাই৷ বিষয়টা কী বিস্তারিত বুঝিয়ে বলছি৷ ধরুন, কোন একজন আসামীকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে৷ পারিপার্শ্বিক অবস্থায় বুঝা যায় তার কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

টান

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:২২


কোথাও স্ব‌স্তি নেই আর
বিচ্যুতি ঠেকা‌তে ছু‌টির পাহাড়
দিগন্ত অদূর, ছ‌বি আঁকা মেঘ
হঠাৎ মৃদু হাওয়া বা‌ড়ে গ‌তি‌বেগ
ভাবনা‌দের ঘুরপাক শূণ্যতা তোমার..
কোথাও স্ব‌স্তি নেই আর।
:(
হাঁটুজ‌লে ঢেউ এ‌সে ভাসাইল বুক
সদ্যযাত্রা দম্প‌তি... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বল্প আয়ের লক্ষ্যে যে স্কিলগুলো জরুরী

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ১১ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:১৯

স্বল্প আয়ের লক্ষ্যে যে স্কিলগুলো জরুরীঃ


১। নিজের সিভি নিজে লেখা শিখবেন। প্রয়োজন অনুযায়ী কাস্টোমাইজ করার অভ্যাস থাকতে হবে। কম্পিউটারের দোকান থেকে সিভি বানাবেন না। তবে চাইলে, প্রফেশনাল সিভি মেকারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহনা বলেছিল, তুমি হারাবে না

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ১১ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৫

অহনা বলেছিল, তুমি হারাবে না
অহনা বলেছিল, আমি জানি আমি তোমাকে পেয়েছি সবখানি
আমি তাই নিশ্চিন্তে হারিয়ে যাই যখন যেখানে খুশি

অহনা বলেছিল, যতটা উদাসীন আমাকে দেখো, তার চেয়ে
বহুগুণ উদাসীন আমি
তোমাকে পাওয়ার জন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিয়াল ফিলিস্তিনীরা লেজ গুটিয়ে রাফা থেকে পালাচ্ছে কেন?

লিখেছেন সোনাগাজী, ১১ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১০



যখন সারা বিশ্বের মানুষ ফিলিস্তিনীদের পক্ষে ফেটে পড়েছে, যখন জাতিসংঘ ফিলিস্তিনকে সাধারণ সদস্য করার জন্য ভোট নিয়েছে, যখন আমেরিকা বলছে যে, ইসরায়েল সাধারণ ফিলিস্তিনীদের হত্যা করার জন্য আমেরিকান-যুদ্ধাস্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

×