somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আজরাইলী প্রতারণা

২৯ শে জুন, ২০০৭ রাত ৩:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

...ঘটনাটি আমার মিসরীয় সহকর্মী বাহা আল-লাইসীর কাছে শোনা।

...........
কায়রোর রাস্তায় এক ট্যাক্সি চালক যাত্রী খুঁজছিলেন। এক জায়গায় এক অপেক্ষমান যাত্রী দেখে তুলে নিলেন। একটু সামনে এগিয়ে দেখতে পেলেন ধবধবে সাদা আলখেল্লা পরিহিত এক সৌম্যদর্শন ভদ্রলোক ক্যাবের অপেক্ষায় হাত উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছেন। তিনি কিছুটা আবেগাপ্লুত মনে ঐ ভদ্রলোকের পাশে গিয়ে গাড়ী থামালেন। ভাবলেন একজন ভালো মানুষের উপকার করবেন তাঁকে গন্তব্যে পৌঁছে দিয়ে।

এদিকে হঠাত্ গাড়ী থামানোতে ভেতরের যাত্রীর রাগ হলো এবং তিনি গাড়ী থামানোর কারন জানতে চাইলেন। অবশ্য ইতোমধ্যে সাদা-পোষাকধারী সামনে চালকের পাশের আসনে উঠে বসেছেন। চালক বললেন আমি এই যে এ ভাইটিকেও নামিয়ে দায়ে আসি।

যাত্রী তার সময় নষ্ট হওয়ায় এমনিতেই রেগে আছে। তার উপর চালকের কাছ থেকে নতূন যাত্রী নেয়ার কথা শুনে আরো রেগে গেলেন। মনে হলোনা যে তিনি নতূন কোন যাত্রী গাড়ীতে উঠতে দেখেছেন। তবে কিছু না বলে চুপ থাকলেন।

সামনের যাত্রী চালককে বললো, "আমি আজরাইল - মউতের ফিরিশতা। তুমি ছাড়া ঐলোক আমাকে দেখতে পাচ্ছেনা। সুতরাং তার কথা গায়ে না মেখে চলতে থাকো।"

চালক পেছনের যাত্রীর দিকে তাকিয়ে দেখলেন এবং তাঁর মনে হলো সত্যিই ঐলোক তার পাশে বসা আজরাইলকে দেখতে পাচ্ছেনা। কারন সে তাদের দুজনের আজরাইলী কথার মাঝেও নির্বিকার বসে আছে; মনে হয় কোন কথা-ই শোনেনি। এতে করে চালকের মাঝে প্রত্যয় জন্মাল যে ইনি নিশ্চয়ই আজরাইল।

এদিকে আজরাইল তাঁকে বললেন যে আজই তাঁর মউত। একটু পরেই তাঁর জান কবচ করা হবে। পথে একটু পর তাদের সামনে পড়লো এক মসজিদ। আজরাইল তখন বলল, "দেখ, একটু পরেই তোমার মউত হবে, তাই তার আগেই আসরের নামাজটা পড়ে নাও।" উল্লেখ্য যে তখন আসরের সময় হয়ে গিয়েছিল।

বেচারা ক্যাবী নিশ্চিত মউতের আগে খোদার বন্দেগীর এ সুযোগ হাত ছাড়া করতে চাইলেননা। তিনি গাড়ী পার্ক করে মসজিদে গেলেন পেছনের যাত্রীকে কোনমতে রাজী করিয়ে।

১০ মিনিট পর চালক ফিরে এসে দেখেন আজরাইল তাঁর জান নিয়ে নয় বরং অন্য যাত্রীসহ তাঁর গাড়ীটি নিয়ে কেটে পড়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জুন, ২০০৭ রাত ৩:৪৬
৯টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কাঁচা আম পাড়ার অভিযান

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২



গাজীপুর জেলার জয়দেবপুরের বাড়ীয়া ইউনিয়নের দেউলিয়া গ্রামে আমার প্রায় ৫২ শতাংশ জমি কেনা আছে। সেখানে ছোট একটি ডোবা পুকুর, অল্প কিছু ধানের জমি আর বাকিটা উঁচু ভিটা জমি। বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×