ধুলি-ধূসর এই পৃথিবীতে আমি এক প্রাচীন পথিক।
তখনো আসেনি কোন বার্তাবাহক সবুজ উপত্যকায়,
যীশু- সেও ছিলো সহস্র বছর কোন অজানা কুমারীর
জঠরে সুপ্ত (না তার নাম মেরি ছিলো না)
প্রকৃতির ক্রীড়ানক হওয়ার প্রতীক্ষায়। তখনো-
কোন বনিক হৃদয় পাল তোলেনি ভূ-মধ্যসাগরের বুকে।
শুধু আমিই ছিলাম আর আমার যাযাবর ভালোবাসা ছিলো-
তাই অতীত স্মৃতিচিহ্নগুলোর সাক্ষী এই আমি ভালোবেসেছি
এই পথ-ঘাট-নদী-জল-নক্ষত্র-আর সবুজ মানুষগুলোকে।
দেখেছি- শকুন্তলার বিরহী কান্না, দেখেছি বেহুলার ভাসান,
তক্ষকের ফণায় চড়ে পার হয়ে গেছি কৃষ্ণ সাগর।
প্রাগৈতিহাসিক চরিত্রের আচ্ছাদনে গিয়েছিলাম অমরাবতীতেও,
হাওয়ায় উড়েছিলো সেদিন পুষ্পক রথ।
দেখেছিলাম অপ্সরী মেনেকার উদ্দাম নৃত্য,
হ্যাঁ সবাই বলে- সে নেচেছিলো।
কিন্তু আমি জানি- সে কেদেঁছিলো,
আর কেদেঁছিলো তার খোপার সফেদ ফুল- দোলনচাপা নাম।
এও জানি- সেই ফুলের ঘ্রাণেই ভেঙ্গেছিলো বিশ্বামিত্রের ধ্যান।
** লেখাটা সচলায়তনে প্রকাশিত। এখানে দেয়ার ইচ্ছে ছিলো না। এই অব্স্থার অবসান হওয়া উচিত। ভুল সংশোধনের জন্য ক্ষমা চাইলে কি আত্মসম্মানে বেশি লাগে?