somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জানার কোনো শেষ নাই, জানার চেষ্টা বৃথা তাই....: তাই আসেন ঝিমাই।

২৫ শে জুন, ২০০৭ সকাল ৯:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

স্কুল লাইফে আমাদের এক স্যার ছিলেন, নাম কাসেম স্যার। তো তিনি একটা কারণে world famous in faridpur ছিলেন, সেটা হলো তার মুগুরিয় হাতের বিশাল থাপ্পর। থাপ্পরটা যখন তিনি সনতল পৃষ্ঠাদেশের উপর স্হাপন করেন তখন শব্দের চোটে আমাদের ক্লাসের পলিস্তরা দুএকটা খুলে পড়ে। তবে ক্লাসে সে কোন দিন পড়া না পারার কারণে কাউকে কখনও মারেননি (কারণ সে ক্লাসে এসে ঘুমাতেন-পড়া দিতেনও না, পড়া নিতেনও না), শুধু শাস্তি দিতেন ক্লাসে হৈচৈ এর কারণে।

তার শাস্তির ধরণও ছিলো কুর্ণিশিয় ষ্টাইল। প্রথমে শাস্তিপ্রার্থী তার সামনে এসে দাড়াত। উনি ঘাড় ধরে সোজা ৯০ ডিগ্রী কোমড় থেকে বাকা করে ফেলতেন, তারপর পিঠের উপর হাত বুলিয়ে পিঠটাকে সমতল ভুমিতে পরিণত করতেন, দেখে মনে মালভূমি। যখনি বেচারার পিঠখানা আদর্শ মালভূমিতে পরিণত হইবে, তখনই দড়াম....।আমরা চমকে উঠতাম, কিন্তু তখনও দেখি উনি উনার মুগুরিয় হাতখানা পিঠে কিছুক্ষণ চেপে রাখতেন। উনার মতে, এতে নাকি মাইরের ফাউন্ডেশনটা একটু দৃঢ় হয়। যাই হোক শাস্তিপ্রার্থী যখন সোজা হয়ে দাড়াত তখন মনে হতো পিঠে ঈদের চাদ উঠেছে।

মূল ঘটনায় আসি, ৯ম শ্রেনীতে উঠার পর হঠাত দেখি প্রথম বিজ্ঞান ক্লাসটা তিনি নিতে আসলেন ( উনি অবশ্য সব বিষয়েই ক্লাস নিতে পারদর্শী, ট্রিক্স: আইসাই ঘুম)। তো এই প্রথম প্রথম বিজ্ঞান ক্লাসে এসেই জ্ঞান দান শুরু করলেন এবং টানা ৩০ মিনিট বিজ্ঞানের পাতিহাস মেরেই গেলেন। আমরা গুম হয়ে দেখি, এ কি তামসা।
আধাঘন্টা বক্তৃতা দেবার পর অনেকটা হাপিয়ে জিজ্ঞেস করলেন,' কারো কি কোনো প্রশ্ন আছে?'
আমাদের মধ্য থেকে হঠাত মাখন (ওর ডাক নাম পল্টু ওরফে পলাশ) উঠে দাড়িয়ে বললো,' স্যার আপনের চেন খোলা।"

______________________________

আমার এক কাজিন আছে যে ছোট কাল থেকেই ভুদাইগিরীর স্বাক্ষর রেখেই চলেছে। তার ঘটনা অনেকটা এরকম: ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে টাইনা টুইনা ওঠার পর ভাই আমার ক্লাস শেষ করে বাড়ীতে এসেই দৌড় ঝাপ শুরু করে দিলো, তাও সোজা বাড়ীর বাইরে। স্কুল থেকে এসে কোথাও বসতো না, 'দৌড়' সালাউদ্দিনের মতো দৌড় আর দৌড়। এমনকি খাওয়া দাওয়াটাও থাকতো দৌড়ের উপর।
একদিন ফুপুর সন্দেহ হলো, স্কুল থাকে আসার পরই ফুপু ওকে কানে ধরে গোসল করাতে নিয়ে গেলো। ওর তো কি কান্না! যাই হোক পুচকী ভাইটাকে বিবস্ত্র করে গোসল করাতে গিয়েই আবিস্কার করলেন পশ্চাতদেশে বেতের বাড়ির লালা চিহ্ন। তখঐ তিনি বুঝতে পারলেন বেতের বাড়ীর চোটে পশ্চাতদেশে অতিরিক্ত ব্যাথার উদ্রেক ঘটায় সাময়িক এই দৌড়। অবশ্য রেকর্ডে বলে সে কোনো দিনও কাউকে মাইর দেয় নাই তবে খাওয়াটা নাকি তার নিত্য ঘটনা।
_____________________________

মানুষ কত কিছুই না জানতে চায়। যখনই কোনো মেয়েকে জিজ্ঞেস করা হয় আপনি কিভাবে বিয়ে করতে চান, তখনই সে উততর দেয়, "আগে তাকে চিনতে চেষ্টা করবো, তাকে জানার পরেই কেবল বিয়ে, এবং তাকেও আমাকে বুজতে হবে।" ফিল্ম লাইনের নায়িকাদের জিজ্ঞেস করলে সবার সামনে মুখস্হ বলে উঠে আর বিয়ের কয়েক ঘন্টা অথবা দিন পরেই বলতে শুনি বিয়া টিকায়া রাখতেই দিন যায়। দারুণ তমসা!
এই জন্য হ্য়তো কোনো ছাগল টাইপ মনিষী বলেছেন, " নিজেরে চেন।" ছাগল ভাই মনে হয় নিজের হাতে নিজের ১০-১২টা বিবাহ ভঙ্গ করেছেন! ওস্তাদ মানুষ!
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জুন, ২০০৯ বিকাল ৩:০৩
২৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারতে পচা রুটি ভাত ও কাঠের গুঁড়ায় তৈরি হচ্ছে মসলা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৩০

আমরা প্রচুর পরিমানে ভারতীয় রান্নার মশলা কিনি এবং নিত্য রান্নায় যোগ করে খাই । কিন্তু আমাদের জানা নেই কি অখাদ্য কুখাদ্য খাচ্ছি দিন কে দিন । এর কিছু বিবরন নিচে... ...বাকিটুকু পড়ুন

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাফসান দ্য ছোট ভাই এর এক আউডি গাড়ি আপনাদের হৃদয় অশান্ত কইরা ফেলল!

লিখেছেন ব্রাত্য রাইসু, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫২

রাফসান দ্য ছোট ভাইয়ের প্রতি আপনাদের ঈর্ষার কোনো কারণ দেখি না।

আউডি গাড়ি কিনছে ইনফ্লুয়েন্সার হইয়া, তো তার বাবা ঋণখেলাপী কিনা এই লইয়া এখন আপনারা নিজেদের অক্ষমতারে জাস্টিফাই করতে নামছেন!

এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঁচতে হয় নিজের কাছে!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৮

চলুন নৈতিকতা বিষয়ক দুইটি সমস্যা তুলে ধরি। দুটিই গল্প। প্রথম গল্পটি দি প্যারবল অব দ্যা সাধু।  লিখেছেন বোয়েন ম্যাককয়। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ জার্নালের ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সংখ্যায়। গল্পটা সংক্ষেপে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা

লিখেছেন জানা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬



২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×