somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রধানমন্ত্রীর অফিস হতে ফার্মগেইট, খামারবাড়ি,বিমানচত্বর ও আইডিবি ভবন হয়ে আবার ধানমন্ত্রীর অফিস পর্যন্ত রাস্তার যানজট নিরসন হবে যেভাবে---

৩০ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



তেজগাঁও প্রধানমন্ত্রীর ক‍ার্যালয়ের সামনে থেকে ফার্মগেইট, খামারবাড়ি ও বিজয়স্মরনী এলাকার ক্রসিংপয়েন্টগুলিতে অসহনীয় যানজট এখন নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার। এক মিনিটের পথ যেন মাঝে মাঝে একঘন্টায়ও ফুরায় না। কোন কিছুই করার নেই যেন আমাদের যোগাযোগ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়সমূহের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তাব্যক্তিদের এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ মহানগরীর তথা রাজধানীর কেন্দ্রস্থলের যানজট নিরসনের জন্য। উচ্চপদস্থ এই সকল কর্তাব্যক্তিরা নিজেরা তো কিছুই করতে পারে না, আবার কেউ ভালো পরামর্শ দিলে তাও গ্রহন করে না, পাছে নিজেদের‍ যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে এই ভয়ে। ফলে আমাদের অতি সহজে সমাধানযোগ্য সমস্যাগুলিরও আর কোন সমাধান হয় না বছরের পর বছর ধরে। ঢাকা মহানগরীর যানজট সমস্যাও এমনি একটি সহজে সমাধান যোগ্য একটি সমস্যা কিন্তু ওই সকল কর্মকর্তাদের কারনে মনে হয় এই সমস্যার কোনই সমাধান নাই। সমগ্র ঢাকা মহানগরীর যানজট সমস্যার সহজ সমাধান নিয়া দীর্ঘদিন দৌঁড়ঝাপ করে সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তাব্যক্তিদের মনগলাতে ব্যর্থ হয়ে ত্যক্ত-বিরক্ত হয়ে অবশেষে স্পট বাই স্পট যানজট কবলিত এলাকাগুলির যানজট নিরসনের কৌশলগুলি ধারাবাহিকভাবে ব্লগে লিখে সকলকে জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে আজ বিজয়স্মরনী ও ফার্মগেইট এলাকার‍ যানজট নিরসনের আমার প্রস্তাবটি তুলে ধরলাম। অত্র এলাকার যানজট নিরসনের জন্য বড় কোন অবকাঠামো, যেমন ফ্লাইওভার নির্মানের কোন প্রয়োজন নাই । শুধুমাত্র অত্র এলাকার রাস্তাগুলিকে ওয়ানওয়ে রাস্তায় রূপান্তর করেই এই এলাকার যানজট পুরাপুরি নিরসন করা সম্ভব বলে আমি অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি । আমার প্রস্তাবিত এই ওয়ানওয়ে রাস্তাটি হবে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে সোজা দক্ষিণে ফার্মগেইট পর্যন্ত, তারপর ফার্মগেইট হইতে খামারবাড়ি পর্যন্ত, তারপর খামারবাড়ি হইতে সোজা উত্তরে আইডিবি ভবন সংলগ্ন চৌরাস্তা পর্যন্ত, আবার সেই চৌরাস্তা হইতে পুরাতন বিমান বন্দরের ভিতর দিয়ে যাওয়া নুতন রাস্তাটির শেষপ্রান্ত পর্যন্ত অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে গিয়ে এই ওয়ানওয়ে রাস্তাটি শেষ হবে । বিজয়স্মরনীর বিমান চত্বর থেকে বিলুপ্ত র‌্যাংগসভবন সংলগ্ন স্বাধীনতা চত্বর পর্যন্ত রাস্তাটি হবে টু ওয়ে পদ্ধতির সংযোগ সড়ক। উপরে বর্নিত ওয়ানওয়ে রাস্তার মাঝখানের সকল ডিভাইডার ও লাইটপোষ্টগুলি অবশ্যই সম্পূর্নরূপে সরিয়ে ফেলতে হবে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী কিছু কিছু রাস্তায় আবার বিশেষ ধরনের ডিভাইডার পুন:নির্মাণ করতে হবে। এখন আসি এই ওয়ানওয়ে রাস্তাটি দিয়ে কিভাবে গাড়িগুলি চলাচল করবে সেই বর্নণায় । ওয়ানওয়ে রাস্তাটির বর্ননা‍ যেখান থেকে শুরু করেছিলাম, গাড়ির চলাচলের বর্ননাও সেইখান থেকে শুরু করলাম‍, যথা-মহাখালীর দিক থেকে আসা গাড়িগুলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে দিয়া দক্ষিণ দিকে অগ্রসর হয়ে বিলুপ্ত র‌্যাংগসভবন মোড়ে এসে তিনভাগ হয়ে প্রথমভাগ বামদিকে টার্ন নিয়ে ওভারপাস দিয়ে সোজা নাবিস্কোর দিকে চলে যাবে, দ্বিতীয়ভাগ ডানদিকে টার্ন নিয়ে বিজয়স্মরনী রাস্তার উত্তরাংশ দিয়া চীনমৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রের পূর্বদিকের রাস্তা হয়ে আগারগাও ও মিরপুর-১০ এর দিকে চলে যাবে এবং তৃতীয়ভাগ বিজয়স্মরনী রাস্তার দক্ষিণাংশ দিয়ে মনিপুরীপাড়ার দিক থেকে আসা ও নাবিস্কোর দিক থেকে ওভারপাসের ওপর দিয়ে আসা গাড়িগুলির সাথে মিশে সোজা ফার্মগেইটের দিকে চলে‍ যাবে। ফার্মগেইটের কাছে এসে পাটগবেষনা কেন্দ্রের সামনে গাড়িগুলি আবার তিনভাগে বিভক্তহয়ে প্রথমভাগ বামদিকের রাস্তা দিয়া হলিক্রস কলেজের দিকে যাবে, দ্বিতীয়ভাগ পুলিশবক্সের সামনে দিয়া ডানদিকে টার্ন নিয়ে কাওরানবাজার-গ্রীনরোডের দিক থেকে আসা মিরপুরগামী গাড়িগুলির সাথে মিশে পার্কের উত্তরাংশের রাস্তাদিয়া খামারবাড়ির দিকে চলে যাবে। তৃতীয়ভাগ হলিক্রস কলেজের দিক থেকে আসা গাড়ির সাথে মিশে সোজা কাওরানবাজারের দিকে চলে যাবে এবং এদের মধ্য থেকে আবার কিছু গাড়ি ফার্মগেইট পানিরপাম্পের দক্ষিণপাশ দিয়া ইউ টার্ন করে ফার্মগেইট ফুটওভারব্রীজের দিকে আসবে । তারপর ফুটওভার ব্রীজের নীচ থেকে গাড়িগুলি দুইভাগ হয়ে প্রথমভাগ পার্কের দক্ষিনদিকের রাস্তা দিয়া মানিকমিয়া এভিনিউ হইয়া সোজা আড়ং এর দিকে চলে যাবে, দ্বিতীয়ভাগ বিলুপ্ত র‌্যাংগসভবন মোড়ের দিক থেকে আসা গাড়ির সাথে মিশে পার্কের উত্তরদিকের রাস্তা দিয়া খামারবাড়ির পশ্চিমপ্রান্তে গিয়ে আবার দুইভাগ হয়ে প্রথমভাগ সোজা মানিকমিয়া এভিনিউ হয়ে আড়ং এর দিকে চলে যাবে, দ্বিতীয়ভাগ আড়ং এর দিক থেকে মানিকমিয়া এভিনিউ হয়ে আসা গাড়ির সাথে মিশে ডানদিকে টার্ন নিয়ে সংসদভবন ও মনিপুরীপাড়ার মাঝখানের রাস্তাদিয়া সোজা উত্তরদিকে ক্রিসেন্টরোড-বিমানচত্বর মোড়ের দিকে চলে যাবে । মনীপুরীপাড়ার উত্তর প্রান্তের বিমানচত্বর ক্রসিং এ এসে গাড়িগুলি আবার তিনভাগে বিভক্ত হয়ে প্রথমভাগ বামদিকে টার্ন নিয়ে ক্রিসেন্ট রোডে ঢুকে সোজা পশ্চিমদিকে জিয়ার মাজারের দিকে চলে যাবে, দ্বিতীয়ভাগ ডানদিকে টার্ন নিয়ে বিজয়স্মরনী রাস্তার দক্ষিনাংশ দিয়া বিলুপ্ত র‌্যাংগসভবন মোড়ে এসে আবার ডানদিকে টার্ন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কা‍র্যালয়ের দিক ও নাবিস্কোর দিক থেকে ওভারপাসের উপর দিয়ে আসা গাড়িগুলির সাথে মিশে সোজা ফার্মগেইটের দিকে চলে‍ যাবে এবং তৃতীয়ভাগ ক্রিসেন্ট রোড হইতে আসা ও র‌্যাংগসভবন মোড় থেকে বিজয়স্মরনী রাস্তার উত্তরাংশ দিয়ে আসা গাড়িগুলির সাথে মিশে সোজা আগারগাঁ এর দিকে অগ্রসর হবে । আগারগাঁর দিকে অগ্রসরমান গাড়িগুলি থেকে মহাখালীগামী গাড়িগুলি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে এসে ইউ টার্ন করে মিরপুর-শ্যামলীর দিক থেকে আসা গাড়িগুলির সাথে মিশে পুরাতন বিমানবন্দরের ভিতরের রাস্তা দিয়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে এসে আবার দুইভাগ হয়ে‍ যাবে । প্রথমভাগ বামদিকে টার্ন নিয়ে জাহাংগীর গেইট হয়ে মহাখালীর দিকে চলে‍ যাবে, আর দ্বিতীয়ভাগ ডানদিকে টার্ন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দক্ষিণ প্রান্তে মহাখালীর দিক থেকে আসা গাড়িগুলির সাথে মিশে র‌্যাংগসভবন মোড়ের দিকে অগ্রসর হয়ে পূর্বের বর্ননা অন‍ুযায়ী তিনভাগে বিভক্ত হয়ে তিনদিকে চলে যাবে । আমার বর্ননা অন‍ুযায়ী‍ যদি রাস্তাটিকে ওয়ানওয়ে রাস্তায় রুপান্তর করা হয়, তবে এই এলাকার রাস্তার কোন ক্রসিংপয়েন্টেই আর ট্রাফিক সিগন্যালের মাধ্যমে গাড়ি নিয়ন্ত্রনের প্রয়োজন হবে না এবং গাড়িগুলি চলবে বাধাহীনভাবে, যেমনটা চলে ফ্লাইওভারের উপর দিয়ে । ফলে এই এলাকার রাস্তাগুলি দিয়ে সম্পূর্ন যানজটমুক্তভাবে গাড়িগুলি চলাচল করতে সক্ষম হবে । অত্যন্ত অল্প সময়ে ও স্বল্প ব্যয়ে এই ওয়ানওয়ে রাস্তাটি বাস্তবায়ন করে অত্র এলাকার যানজট দূর করা সম্ভব বিধায় মাননীয় যোগাযোগ মন্ত্রী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করছি ।
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পাইলট ফিস না কী পয়জনাস শ্রিম্প?

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১২ ই মে, ২০২৪ সকাল ৭:৪০

ছবি সূত্র: গুগল

বড় এবং শক্তিশালী প্রতিবেশী রাষ্ট্রের পাশে ছোট ও দূর্বল প্রতিবেশী রাষ্ট্র কী আচরণ করবে ? এ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক অধিক্ষেত্রে দুইটা তত্ত্ব আছে৷৷ ছোট প্রতিবেশি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার মায়ের চৌহদ্দি

লিখেছেন শাওন আহমাদ, ১২ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩৫



আমার মা ভীষণ রকমের বকবকিয়ে ছিলেন। কারণে-অকারণে অনেক কথা বলতেন। যেন মন খুলে কথা বলতে পারলেই তিনি প্রাণে বাঁচতেন। অবশ্য কথা বলার জন্য যুতসই কারণও ছিল ঢের। কে খায়নি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছেলেবেলার অকৃত্রিম বন্ধু

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ১২ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৯

খুব ছোটবেলার এক বন্ধুর গল্প বলি আজ। শৈশবে তার সাথে আছে দুর্দান্ত সব স্মৃতি। বন্ধু খুবই ডানপিটে ধরনের ছিল। মফস্বল শহরে থাকতো। বাবার চাকুরির সুবাদে সেই শহরে ছিলাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দেশ ও জাতি সম্পর্কে আমাদের ১ জন ব্যুরোক্রেটের ধারণা!

লিখেছেন সোনাগাজী, ১২ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৭



নীচে, আমাদের দেশ ও জাতি সম্পর্কে আমাদের ১ জন ব্যুরোক্রেটের ধারণাকে ( পেশগত দক্ষতা ও আভিজ্ঞতার সারমর্ম ) আমি হুবহু তুলে দিচ্ছি। পড়ে ইহার উপর মন্তব্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

জমিদার বাড়ি দর্শন : ০০৮ : পাকুটিয়া জমিদার বাড়ি

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:২৪


পাকুটিয়া জমিদার বাড়ি

বিশেষ ঘোষণা : এই পোস্টে ৪৪টি ছবি সংযুক্ত হয়েছে যার অল্প কিছু ছবি আমার বন্ধু ইশ্রাফীল তুলেছে, বাকিগুলি আমার তোলা। ৪৪টি ছবির সাইজ ছোট করে ১৮ মেগাবাইটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×