somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জ্বর

২৪ শে জুন, ২০০৭ দুপুর ১২:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কালকে রাতে একটা জার্মান মুভি দেখলাম, নাম হচ্ছে 'কেবাব কানেকশন' - টার্কিশ ছেলে আর ওর জার্মান মেয়েবন্ধুকে নিয়ে রোমান্টিক কমেডি। কম্বল জড়িয়ে রাত সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত টেলিভিশনের সামনে বসে ছিলাম। শেষ হওয়ার সাথে সাথেই বিছানায় দৌড়! কালপুরুষ পড়া ধরেছি কয়েকদিন আগে, কালকে রাতে সেটাও পড়িনি এক পাতাও। এত শীতের মধ্যে জেগে থাকতে পারছিলাম না।

রাত্রে অদ্ভুত কিছু নিয়ে স্বপ্ন দেখেছি। এখন মনে পড়ছে না, তবে স্বপ্নের মধ্যে প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছিলো। সকালে বাবার ডাক শুনে উঠেছি ঠিকই, কিন্তু ঘুমের ঘোর কাটেনি। আয়নার সামনে কিছুক্ষন দাড়িয়ে ছিলাম, কিন্তু দাত না মেজেই আবার ঘুম! মুজা, সোয়েটার পরেই শুয়েছিলাম, তারপরও শীতে কাঁপছিলাম। ভালো ভাবে উঠেছি নয়টার পরে। উঠেই আমার মাথায় হাত। দশটার সময় মেহমান আসার কথা বাসায়, আর পুরো বাসা উল্টানো। চোখেও ঠিক মত দেখতে পারছিলাম না, ঘোলাটে লাগছিলো সবকিছু। প্রতিটা হাড় ভেঙে যাবার উপক্রম। গলা ব্যাথায় মারা যাচ্ছিলাম। তাও তড়িঘড়ি করে গোছাতে লেগে পড়লাম।
সবাই যেতে যেতে বারোটা বেজে গেছে। স্বভাব অনুযায়ী মার কাছে গিয়ে জ্বর-জ্বর লাগার কথা বললাম। একটু খারাপ লাগলেই ওটা বলি, যদিও গত চার বছরে একবারও জ্বর হয় নি। ক্লাস সিক্সে চিকেন পক্সের সময় হয়েছিলো, ওটাই শেষ বার। কিন্তু আজকে থার্মোমিটারে দেখা গেলো আসলেই জ্বর হয়েছে - একশ দুই। কোঁকাতে কোঁকাতে সোজা বিছানায়!

কালকে আবার আইসস্কেটিং আছে। খুব করতে ইচ্ছে করছে, কিন্তু স্কুলেই যেতে পারবো কিনা সন্দেহ। আমার অসুখ এতো অসময়ে হয় কেন? স্কুলের শেষ সপ্তাহে সবচেয়ে মজা হয়, আর এই সপ্তাহেই আমি কাত! (খাইয়ালামু)
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুন, ২০০৭ দুপুর ১২:৩৪
২৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মাটির কাছে যেতেই..

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৩ শে মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

মাটির কাছে
যেতেই..


ছবি কৃতজ্ঞতাঃ https://pixabay.com/

ঠিক যেন
খা খা রোদ্দুর চারদিকে
চৈত্রের দাবদাহ দাবানলে
জ্বলে জ্বলে অঙ্গার ছাই ভস্ম
গোটা প্রান্তর
বন্ধ স্তব্ধ
পাখিদের আনাগোনাও

স্বপ্নবোনা মন আজ
উদাস মরুভূমি
মরা নদীর মত
স্রোতহীন নিস্তেজ-
আজ আর স্বপ্ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বেলা ব‌য়ে যায়

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৩ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩০


সূর্যটা বল‌ছে সকাল
অথছ আমার সন্ধ্যা
টের পেলামনা ক‌বে কখন
ফু‌টে‌ছে রজনীগন্ধ্যা।

বাতা‌সে ক‌বে মি‌লি‌য়ে গে‌ছে
গোলাপ গোলাপ গন্ধ
ছু‌টে‌ছি কেবল ছু‌টে‌ছি কোথায়?
পথ হা‌রি‌য়ে অন্ধ।

সূর্যটা কাল উঠ‌বে আবার
আবা‌রো হ‌বে সকাল
পাকা চু‌ল ধবল সকলি
দেখ‌ছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

পর্ণআসক্ত সেকুলার ঢাবি অধ্যাপকের কি আর হিজাব পছন্দ হবে!

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৩ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:২৭



ইন্দোনেশিয়ায় জাকার্তায় অনুষ্ঠিত একটা প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক জিতেছে বাংলাদেশি নারীদের একটা রোবোটিক্স টিম। এই খবর শেয়ার করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপিকা। সেখানে কমেন্ট করে বসেছেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আত্মস্মৃতি: কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায়

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ২৩ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:১৪


কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায়
আমার বাবা-কাকারা সর্বমোট সাত ভাই, আর ফুফু দুইজন। সবমিলিয়ে নয়জন। একজন নাকি জন্মের পর মারা গিয়েছেন। এ কথা বলাই বাহুল্য যে, আমার পিতামহ কামেল লোক ছিলেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙালী মেয়েরা বোরখা পড়ছে আল্লাহর ভয়ে নাকি পুরুষের এটেনশান পেতে?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৩ শে মে, ২০২৪ রাত ১১:২০


সকলে লক্ষ্য করেছেন যে,বেশ কিছু বছর যাবৎ বাঙালী মেয়েরা বোরখা হিজাব ইত্যাদি বেশি পড়ছে। কেউ জোর করে চাপিয়ে না দিলে অর্থাৎ মেয়েরা যদি নিজ নিজ ইচ্ছায় বোরখা পড়ে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×