আজকের দিন ব্যাস্ততার মধ্যে গেছে। নতুন জবে ঢুকলাম। সিটি থেকে অনেক দূর। ভাবলাম এতদূর পথে মানে প্রায় ৪৫মি. ট্রেনে যেতেহ হবে যেহেতু, সেহেতু গান শুনে শুনে যাওয়া মন্ধ হয় না।ট্রেন থেকে কাঙ্কিত লোকেশনে চলে আসলাম। সোজা গেটে ঢুকে পড়লাম। প্রথমেই বসের সাথে দেখা। চিনতে সমস্যা হয় নি যে উনিই বস্। আমাকে দেখেই নাম ধরে ডাকল। আর স্বাগতম জানাল। এবং সবার সাথে পরিচয় করে দিল। সবাই মহিলা। চারজন। তারপর একজন গাইড দিল পুরো রেস্টুরেন্ট চেনার জন্য। নীচে এবং দোতালা সব চিনে আসলাম। আর শুরু করে দিলাম। অনেক খাটুনি।চলছে তো চলেছ অবিরাম।
অনেকক্ষন পর ব্রেক কষল সবার। মানে কিছু সময়ের বিরতি। এই ফাকে কিছু নাস্তা ছেড়ে নিলাম। অবশ্য আমার কিছুই করতে হয়নি। তারাই সব মানে নিয়ে আসল আমার জন্য। তৎমুহুর্তে ওখানকার ওয়েটার ভিন দেশী লেডিস তার সাথে খোশ গ্লপ মেতে উঠলাম। দেখলাম সে আমার প্রতি বেশ মনোযোগ দিচ্ছে।আমিও হাতচাড়া করলাম না। এমনই সময় আমার ফোন বেজে উঠল। বিচ্ছেদ হয়ে গেলাম তার সাথে। তারপর পারি দিলাম নিজের গন্তব্য স্থলে। তখন সিডনী রাত ৩:১৫। এত দূরের পথ জানিনা ট্রেন পাব না বাস পাব। হাটা দিলাম ভরসা করে। স্টেশনে পৌছলাম। দেখি কিছুই নাই। নো ট্রেন নো বাস। দুই তিনটা ট্রক্সি দাড়িয়ে আছে অদূরে।ভড়া কমপক্ষে ৬০$ হবে। কি আর করার। এদিকে হার কাপুনি শীত। ভাবছিলাম রাতটা না হয় খোলা আকাশের নীচে কেটে দেই। কিন্তু বাধ সাধল শীতের। প্রচন্ত শীত। সহ্য করতে পারছিলাম না।খালি পায়াচারি করছিলাম। বাস পাব, নাকি ট্রেন পাব, নাকি শীতের প্রবাহ থেকে কোথাও আশ্রয় নিব। শেষ পর্যন্ত পেয়েও গেলাম। একটা শপ্ খোলা দেখতে পেলাম। ভিতেরে ঢুকে জেনে নিলাম টাইম সিডিউল ট্রেন ও বাসের। যাতে সামনে আসলে আবার যেন সমস্যা না পোহাতে হয়। এই ফাকে দোকানের স্যালস্ ম্যানের সাথে আড্ডা জমিয়ে দিলাম। দেখলাম দোকানের ভিতের গরম বাতাস বইছে মানে ইয়ারক্যান্ডিশনের মাধ্যমে। দোকানওয়ালারও বুঝতে দেরী হয় না। আমি আমার কিচ্ছা বল্লাম। সে শুধু হা হা বলে চল্ল মাঝে মধ্যে কিছু জিজ্ঞাসা করছে। ভারতীয় ছেলে গুজরাটের। একসময় ট্রেনে উঠে পড়লাম। এবারও আগের মতো গান শুনতে শুনতে আসলাম। অবশ্য পুরো চেহারাটা টুপি দিয়ে ডেকে রাখলাম। নিশ্ছিদ্র নিরিবিল গান শুনার জন্য। গানটাও আমার বেশ প্রিয় ছিল। ফেরদৌস উয়াহিদের গান আমি এক পাহারাদার....
একসময় বাসায় এসে পৌছলাম। এসেই হাত মুখ ধোয়ে ব্লগে লেখতে বসলাম। তখন ঘড়ির কাটা ৬:৪৫ মি.। গুড বাই সবাইকে......
আলোচিত ব্লগ
আমার মায়ের চৌহদ্দি
আমার মা ভীষণ রকমের বকবকিয়ে ছিলেন। কারণে-অকারণে অনেক কথা বলতেন। যেন মন খুলে কথা বলতে পারলেই তিনি প্রাণে বাঁচতেন। অবশ্য কথা বলার জন্য যুতসই কারণও ছিল ঢের। কে খায়নি,... ...বাকিটুকু পড়ুন
ছেলেবেলার অকৃত্রিম বন্ধু
খুব ছোটবেলার এক বন্ধুর গল্প বলি আজ। শৈশবে তার সাথে আছে দুর্দান্ত সব স্মৃতি। বন্ধু খুবই ডানপিটে ধরনের ছিল। মফস্বল শহরে থাকতো। বাবার চাকুরির সুবাদে সেই শহরে ছিলাম... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমাদের দেশ ও জাতি সম্পর্কে আমাদের ১ জন ব্যুরোক্রেটের ধারণা!
নীচে, আমাদের দেশ ও জাতি সম্পর্কে আমাদের ১ জন ব্যুরোক্রেটের ধারণাকে ( পেশগত দক্ষতা ও আভিজ্ঞতার সারমর্ম ) আমি হুবহু তুলে দিচ্ছি। পড়ে ইহার উপর মন্তব্য... ...বাকিটুকু পড়ুন
মোজো ইদানীং কম পাওয়া যাচ্ছে কেন?
শুনলাম বাজারে নাকি বয়কটিদের প্রিয় মোজোর সাপ্লাই কমে গেছে! কিন্তু কেন? যে হারে আল্লামা পিনাকী ভাট ভাঁওতাবাজিদেরকে টাকা দিয়ে 'কোকের বিকল্প'-এর নামে 'অখাদ্য' খাওয়ানো হচ্ছিলো, আর কোককেই বয়কটের ডাক... ...বাকিটুকু পড়ুন
জমিদার বাড়ি দর্শন : ০০৮ : পাকুটিয়া জমিদার বাড়ি
পাকুটিয়া জমিদার বাড়ি
বিশেষ ঘোষণা : এই পোস্টে ৪৪টি ছবি সংযুক্ত হয়েছে যার অল্প কিছু ছবি আমার বন্ধু ইশ্রাফীল তুলেছে, বাকিগুলি আমার তোলা। ৪৪টি ছবির সাইজ ছোট করে ১৮ মেগাবাইটে... ...বাকিটুকু পড়ুন