somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দো-পায়ারা খুব তাড়াতাড়ি মরে যায়

১৮ ই জুন, ২০০৭ রাত ১:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কীবোর্ডটা কোলের উপর নিয়ে ভাবছি, দো-পায়ারা কত তাড়াতাড়ি মরে যায়! টাকার দাপটে ওরা আস্ত দোপায়া আর থাকেনা। অন্য কিছু হয়ে যায়, দ্রুত। হ্যাঁ-মানুষ? আর আমরা না-মানুষগণ এসব দেখে মাথা নিচু করি। আসলেই আমরা অসুস্থ্য। আমাদের মানসিক চিকিৎসার প্রয়োজন। চুলগুলো বড় হয়ে গেছে- চোখ ঢেকে যাচ্ছে, কালকেই কাটতে হবে সময় করে, মাথার দুপাশ ধপধপ করছে, যন্ত্রণা, যন্ত্রণা...। এ মুহুর্তে প্রয়োজন ছিলো মায়াময় ঐ চোখের দুষ্টু ইশারা, একটু শব্দদূষণ না করে যেখানে হাজার কাব্যিক কথা জমাট বেঁধে আছে।

আর আমি তার ঐ ঘনকালো চোখে চোখ রেখে হয়তো বলতাম- look through my eyes... there are demons inside... one of many i'm trying to fight..., হাতটা ধরতে দিবি?

সারাদিন বেশ ব্যস্ত থাকলাম। দুপুরের তুমুল বৃষ্টি আমাকে রিক্সাবন্দি করে রাখতে পারলো না। বিধ্বস্ত হয়ে যখন বাড়ি ফিরলাম তখন প্রায়ই বিকেল। তারপর ফোন... আবার ভোল পাল্টানো, ছুটে চলো দো-পায়াদের জঙ্গলে। তাদের লম্ফ দেখো, দেখো নকল কান্না আর দেখো সরলতার মাঝে তাদের জটিল জটিল স্বজন ঠকানো। ইসসস দো-পায়ারা বিজয় স্মরনীর জ্যামের ঐ ছোট্ট পিচ্চি ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ফুল বিক্রির রহস্য জানেনা, জানলে কলাগাছে দড়ি দিয়ে তার নিচে দাঁড়িয়ে কান্না করতো। দো-পায়ারা যে নিজকে হত্যা করতে শেখেনি!

আমার রুমের কোথাও কোনো ঘড়ি নেই। ঘড়ির টিকটিক শব্দ আমার সহ্য হয়না, মোবাইলটা দূরে, পিসির ঘড়িটা আদিমযূগেই আমি বেঠিক করে রেখেছি, তাই বলতে পারছিনা ঠিক কয়টা বাজে এখন। আজকের বড় সমস্যা হলো, আমি ডাবলিং ঘুমোতে পারিনা। একটু আগে মিজান এসে আমার এখানে উঠেছে। বিছানায় পা উঠিয়ে বললো, বাবা-মা ঝগড়া করেছে, তাই চলে এসেছি। আমি হাঁ না কিছু বললাম না, তার বাবা মা ঝগড়া করেছে আর বাড়ি ছাড়লো সে, কারণটা জিজ্ঞেস করলাম না। জিজ্ঞেস করলেও জবাব মিলতো না, সে ইতিমধ্যে নাক ডাকতে শুরু করেছে।

... ঘুমে চোখ বন্ধ হয়ে আসছে। আমার আরো একটা বদ স্বভাব আছে, মশারী ছাড়া ঘুমাতে পারিনা, মশার একটা ভৌ শব্দ আমার ঘুম ভাঙানোর জন্য যথেষ্ঠ, মশারী টাঙ্গাবো কি করে?
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জুন, ২০০৭ রাত ১:৩৪
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছেলেবেলার অকৃত্রিম বন্ধু

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ১২ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৯

খুব ছোটবেলার এক বন্ধুর গল্প বলি আজ। শৈশবে তার সাথে আছে দুর্দান্ত সব স্মৃতি। বন্ধু খুবই ডানপিটে ধরনের ছিল। মফস্বল শহরে থাকতো। বাবার চাকুরির সুবাদে সেই শহরে ছিলাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দেশ ও জাতি সম্পর্কে আমাদের ১ জন ব্যুরোক্রেটের ধারণা!

লিখেছেন সোনাগাজী, ১২ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৭



নীচে, আমাদের দেশ ও জাতি সম্পর্কে আমাদের ১ জন ব্যুরোক্রেটের ধারণাকে ( পেশগত দক্ষতা ও আভিজ্ঞতার সারমর্ম ) আমি হুবহু তুলে দিচ্ছি। পড়ে ইহার উপর মন্তব্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ড্রেনেই পাওয়া যাচ্ছে সংসারের তাবৎ জিনিস

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫০



ঢাকার ড্রেইনে বা খালে কী পাওয়া যায়? এবার ঢাকা সিটি কর্পোরেশন (উত্তর) একটি অভুতপূর্ব প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। তাতে ঢাকাবাসীদের রুচিবোধ অথবা পরিচ্ছন্নতাবোধ বড় বিষয় ছিল না। বড় বিষয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

মোজো ইদানীং কম পাওয়া যাচ্ছে কেন?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৭


শুনলাম বাজারে নাকি বয়কটিদের প্রিয় মোজোর সাপ্লাই কমে গেছে! কিন্তু কেন? যে হারে আল্লামা পিনাকী ভাট ভাঁওতাবাজিদেরকে টাকা দিয়ে 'কোকের বিকল্প'-এর নামে 'অখাদ্য' খাওয়ানো হচ্ছিলো, আর কোককেই বয়কটের ডাক... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিউ ইয়র্কের পথে.... ১

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৮

আজ (১০ মে ২০২৪) রাত দুইটা দশ মিনিটে নিউ ইয়র্কের পথে আমাদের যাত্রা শুরু হবার কথা। এর আগেও পশ্চিমের দেশ আমেরিকা ও কানাডায় গিয়েছি, কিন্তু সে দু’বারে গিয়েছিলাম যথারীতি পশ্চিমের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×