somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ফ্যামিলি ডে ২০১৩ :#> B:-/

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমাদের দেশের রাজধানি "ঢাকা"। এখানে আজকাল সবাই যান্রিক জীবন যাপন করে। কারো কাছে নিজের জন্য বিন্দু মাএ সময় নেই। সবাই মনে হয় টাকার পিছনে ঘুরে। আমি নিজেও এদের মত এক জন হয়ে গিয়েছি। বাচ্চাদের বিনোদনের জায়গা নাই বললেই চলে। বাচ্চারা স্কুল থেকে বাসা আবার সকাল হলেই স্কুল, এটাই তাদের জীবন। এই সব কিছু র ফলে, বাচ্চারা সামাজিক মেলা মেশা ভুলে গেছে। খেলা ধুলা কাকে বলে, এটাই তারা জানে না! তাদের কাছে খেলা মানে সব ধরনের ইন-ডোর গেমস (In-door games)। তাদের কাছে কম্পিউটার, মোবাইল আর পি.এস.পি. (Play Station Portable) আছে সবার উপরে।চোখে চশমা লাগা সব বাচ্চাদের ফাশ্যন। তারা তাদের ক্ষতি নিজ হাতে করছে। তাদের ও বা দোষ কি বলেল, ঢাকায় তো চারিপাশে খালি বিল্ডিং আর বিল্ডিং, আর রাস্তায় শুধু গাড়ি আর গাড়ি। খেলার মাঠ কোথায়? এরি মাঝে হঠাৎ যদি কোনো মনোরন্জনের সুযোগ আসে, তাহোলে কেও সেটা হাত ছাড়া করতে চায় না।

এই রোবোটিক শহরে আমরা যেখানে থাকি সেইটা একটি হাউজিং সোসাইটি (Housing Society)। অনেক হাউজিং এর মত এখানে ও ৪টি বিল্ডিং রয়েছে। প্রতেকটি বিল্ডিং এ ৪০টি করে ফ্ল্যাট। টোটাল ১৬০টি ফ্ল্যাট। ঢাকায় যেকানে মানুষ আধা ইঞ্চি জায়গা কেও ছাড়ে না সেখানে আমাদের এই হাউজিং এ আছে একটি নামাজ ঘর, বিশাল পার্কিং প্ল্যস, কমিউনিটি সেনটার আর একটি বাচ্চাদের শিশু পার্ক। প্রতিদিন এই পার্কে বাচ্চারা তাদের সময় খুব মজা করেই কাটায়। শীতকালে বড়োদের কেউ ব্যাডমিন্টন খেলতে দেখা যায়। প্রতি বছর এখানে নানান রকমের বিনোদন অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। মিনা বাজার, খেলার প্রতিযোগিতা এবং ফ্যামিলি ডে এদের নিয়মিত আয়োজন।

সব বছরের মত এই বার ফ্যামিলি ডে উদযাপন হলো ১৮ই জানুয়ারি' ২০১৩। এই দিন আসা মানেই বাচ্চাদের খুশির কোন ঠিকানাই থাকে না। মনে হয় সব বাবুরা খোলা আকাশ পেয়ে গেলো। বাবা মা কারো দরকার বোধ করে না। তারা নিজেরাই একাই একশো। বড়, ছোটো সবাই নানা ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দান করে। গান, নাচ, নাটক,আবৃতি, রা্ফেল ড্র, আর ও বিভিন্ন ধরনের আয়োজন থাকে। এইবারের হাইলাইটস ছিলো যাদু। আমাদের হাউসিইং এর মালিকরা হারুন সাহ যাদুকর কে বিনোদন এর জন্য আমন্ত্রন করেছিল। এই বছর আমার দু ছেলে নাইল আর নাহিয়ান দু জনেই বিকেল থেকে সেখানে। তাদের বাসার কথা আর মনে পড়ছে না। যাদু আসলে বাচ্চাদের অনেক প্রিয় থাকে।

কোনো কারনে যাদুকরের আসতে একটু দেরি হয়েছে। সবাই খুব উত্তেজনায় ভুগছে। এর মাঝে সবাই তাদের কুপন দেখিয়ে রাতের খাবার শেষ করলো। রাফেল ড্র এর জন্য সবার হাতের কুপন জমা দেয়ার কথা বলা হল। সবাই কুপন ফেলছে আর ভাবছে, "আমি যদি এবার প্রাই্জ টা পাই!" অবশেষে যাদুকর তার যাদুর বাক্স নিয়ে আসলো। সেই কি আনন্দ সবার মাঝে। চিল্লা চিল্লি আর গান বাজনা তে ভরে গেলো। হারুন সাহেব এক এক করে কয়েকটা যাদু দেখালেন। এর মাঝে কিছু কমোন যাদু ও ছিল। কিন্তু যাদু তো যাদুই! রাত বাজে ১২টা, আর তো সময় দেয়া যায় না। সবাই কে তো বুঝতে হবে এখানে অনেক ধরনের মানুষ বসোবাস করেন। বৃদ্ধ, অসুস্থ, ছোটো বাচ্চা সবাই এখন ঘুমে কাতোর। যাই বলেন না কানো ঘুম কিন্তু সবার প্রিয়। তাই সবাই অনুষ্ঠান শেষ করার অনুরোধ জানালেন। এখন রাফেল ড্র হবে। সবাই তার নিজ নিজ হাতে কুপন গুলো দেখছে। এনাওন্সমেন্ট শুরু হলো। ১২ তম হয়েছে কুপোন নং ৮৭। সবাই তালি দিলো। ১১ তম হয়েছে কুপোন নং ৩৩। ফ্লাট ১/২০৩ প্রাইজ নিতে এগিয়ে গেলেন। দু ভাই এক জন আরেক জনের মুখ চাওয়া চাওয়ি করছে। এই বুঝি তাদের নাম্বার টা বলবে। কিন্তু শেষ মেষ প্রথম প্রাইজ টা পেলো কুপন নং ২৯১। ওদের আসা ভেঙ্গে গেলো। তাদের ১৮৭ আর ১৯৩ তাহলে কি আন লাকি ছিল। সব কিছুর পরেও তারা যে মজা টা করেছে আধুনিক গানে নাচে, সেটা কি আর ভোলা যায়।আমার দুই ছেলে দেখি বড় হয়েই গালো।

ফ্যামিলি মানে পরিবার, আর ডে মানে দিন, কিন্তু আমরা এখানে একটি গেটটুগেদার করেছি। আমাদের ফ্যামিলি ডে হলো এটাই। আপনাদের কাছে কি?

আমাদের গ্যঙনাম ষ্টাইল...................


সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৫২
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্যারিস্টার সুমন দায়মুক্ত , চু্ন্নু সাহেব কি করবনে ?

লিখেছেন শাহাবুিদ্দন শুভ, ০৮ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৭


দেশে প্রথম কোন সংসদ সদস্য তার বরাদ্ধের ব্যাপারে Facebook এ পোষ্ট দিয়ে জানিয়ে থাকেন তিনি কি পেলেন এবং কোথায় সে টাকা খরচ করা হবে বা হচ্ছে মানুষ এসব বিষয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়ের নতুন বাড়ি

লিখেছেন সাদা মনের মানুষ, ০৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২২

নতুন বাড়িতে উঠেছি অল্প ক'দিন হলো। কিছু ইন্টরিয়রের কাজ করায় বাড়ির কাজ আর শেষই হচ্ছিল না। টাকার ঘাটতি থাকলে যা হয় আরকি। বউয়ের পিড়াপিড়িতে কিছু কাজ অসমাপ্ত থাকার পরও পুরান... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। শিল্পী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৮










চিত্রকলার কোন প্রথাগত শিক্ষা ছিলনা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের। ছোট বেলায় যেটুকু শিখেছিলেন গৃ্হশিক্ষকের কাছে আর পাঁচজন শিশু যেমন শেখে। সে ভাবে আঁকতেও চাননি কোন দিন। চাননি নিজে আর্টিস্ট... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাহান্নামের শাস্তির তীব্রতা বনাম ইসলামের বিবিধ ক্ষেত্রে অমুসলিম উপস্থাপিত বিবিধ দোষ

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৪



জাহান্নামের শাস্তির তীব্রতার বিবেচনায় মুমিন ইসলামের বিবিধ ক্ষেত্রে অমুসলিম উপস্থাপিত দোষারোপ আমলে নেয় না। আমার ইসলাম সংক্রান্ত পোষ্ট সমূহে অমুসলিমগণ ইসলামের বিবিধ ক্ষেত্রে বিবিধ দোষের কথা উপস্থাপন করে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শ্রান্ত নিথর দেহে প্রশান্তির আখ্যান..... (উৎসর্গঃ বয়োজ্যেষ্ঠ ব্লগারদের)

লিখেছেন স্বপ্নবাজ সৌরভ, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ১:৪২



কদিন আমিও হাঁপাতে হাঁপাতে
কুকুরের মত জিহবা বের করে বসবো
শুকনো পুকুর ধারের পাতাঝরা জামগাছের নিচে
সুশীতলতা আর পানির আশায়।

একদিন অদ্ভুত নিয়মের ফাঁদে নেতিয়ে পড়বে
আমার শ্রান্ত শরীর , ধীরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×