somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমি, তন্বী ও একটি বিকেল - ২য় পর্ব

১৪ ই জুন, ২০০৭ বিকাল ৩:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমি, তন্বী ও একটি বিকেল - ২য় পর্ব
(পূর্বে প্রকাশিত)

খামার বাড়ী আসার পর কর্তব্যরত সার্জেন্ট বাস থামিয়ে দিল। বাস আর সামনের দিকে যাবে না। বিজয় স্মরনী হয়ে যাবার রাস্তা বন্ধ। বাসের ড্রাইভারের তখন বেগতিক অবস্থা। যাত্রীদের উত্তেজিত ভাব বুঝতে পেরে ড্রাইভার খানিকক্ষণ চেষ্টা করলো কিভাবে যাওয়া যায়। অবশেষে খামার বাড়ীর মোড়ে এসে এলোপাতারী দুই এক চক্কর লাগিয়ে সংসদ ভবনের প্রবেশ মুখে একপাশে বাসটা দাঁড় করিয়ে রেখে দিল। ড্রাইভার ঘোষনা দিল বাস আর যাবে না। সব রাস্তা বন্ধ। অগত্যা যাত্রীরা সবাই বাস থেকে নেমে গেল। আমিও নামলাম। খামার বাড়ীর উল্টো দিকে ফুটপাত ধরে হাঁটতে লাগলাম। কোথায় যাব ঠিক করতে পারছিলাম না। সিদ্ধান্ত নিলাম বনানী যেতে না পারলে মোহাম্মদপুর থেকে যাব। শালীর বাসায়। এরই মধ্যে একটা খালি কালো ক্যাব পেয়ে গেলাম। হাত দেখিয়ে চট জলদি উঠে বললাম, মোহাম্মদপুর কিংবা বনানী যেদিক খুশী চলেন। আমার যাওয়া দরকার, ব্যস্।

ট্যাক্সি ক্যাব একটু সামনে এগুতেই দেখি আমার সামনের সিটে বসা লাল সালোয়ার-কামিজ পরা সেই মেয়েটা। গরমের মধ্যে কোনো রিক্সা, সিএনজি কিছু না পেয়ে কান্ত পায়ে একা হেঁটে যাচ্ছে। আমি ড্রাইভারকে একটু থামতে বললাম। জানালা দিয়ে মুখ বের করে মেয়েটাকে বললাম- এই যে শুনছেন, কোথায় যাবেন আপনি? মেয়েটা আমার প্রশ্ন শুনে একটু অবাক! ইতস্তত মুখে আস্তে করে বললো, জ্বী আমি উত্তরা যাব। আমি বললাম, আপত্তি না থাকলে গাড়ীতে উঠে পড়–ন। আমি বনানী যাব। আপনাকে বনানী পর্যন্ত পৌঁছে দিতে পারি। এই অবস্থায় এখন কিছুই পাবেন না। কেউ যেতে চাইবে না। মেয়েটা আমাকে একটু পর্যবেক্ষণ করলো। কিছু না বলে সামনের সিটে বসে পড়লো। সৌজন্যের খাতিরে বললো, খামাখা আপনাকে কষ্ট দিচ্ছি। আমি উত্তরে বললাম, আপনিতো আমার ঘাড়ে বসে যাচ্ছেন না। তাই কোন কষ্ট হবে না। গাড়ীতে যথেষ্ট জায়গা আছে, আর আমি বনানী যাচ্ছি। গাড়ী ওদিক দিয়েই যাবে। আপনাকে সফর সঙ্গী হিসেবে পেলাম এটাই আমার লাভ।

গাড়ী বিজয় স্মরনী দিয়ে যেতে পারলো না। সার্জেন্টকে জিজ্ঞেস করায় জানালো ক্যান্টনমেন্ট হয়ে বনানী যেতে পারবেন। অগত্যা রোকেয়া স্মরনী ধরে ট্যাক্সি যেতে লাগলো। রাস্তায় যেতে টুকটাক কথা হলো মেয়েটার সাথে। নিজের পরিচয় দিলাম। ওর নামটাও জেনে নিলাম। মাঝে একটু বিরতি, ট্যাক্সিতে গ্যাস নিতে হলো। তন্বী নিজে থেকেই পেছনের সিটে এসে বসলো। নানা বিষয়ে কথা হলো ওর সাথে। সংখ্যাতত্ত¡ ও রাশিফল নিয়ে অনেক কথা জিজ্ঞেস করলো। এভাবেই চলার পথের বিরক্তি আর অসহ্য গরম কোথায় যেন হারিয়ে গেল।

চলবে-
৭টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আজ মনটা কেমন যেন অনেক কিছু চিন্তা করছে।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ৩০ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



সকালের মৃদু আলোয় মোড়ানো একটি মনোরম দৃশ্য ধরা পড়েছে এই ছবিতে। এটি একটি খোলা জায়গা, যেখানে সবুজের সমারোহ এবং প্রকৃতির ছোঁয়া স্পষ্ট। ছবির বাম দিকে গাছের সারি এবং ডান... ...বাকিটুকু পড়ুন

সামুর জন্য ট্রেনিং সেন্টার খুলতে আগ্রহী আপনারা?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ৩০ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩০





সামুতে ব্লগিং করতে হলে কীভাবে করতে হবে,হিটপোস্ট,কমেন্ট বাড়বে সেইজন্য ট্রেনিং সেন্টার চালু করা প্রয়োজন মনে হচ্ছে; নাহয় সচলায়তনের মত গায়েব হয়ে যাবে;পরে দেখা যাবে সামুর মৃত্যুর খবরও অন্য কোনো ব্লগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

তোমার ভাঁজ খোলো আনন্দ দেখাও :: দু শ'রও বেশি পুরোনো ব্লগারের প্রোফাইল পিকচার নিয়ে একটি মিউজিক ভিডিও

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ৩০ শে মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৭

১৫ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে সামহোয়্যারইন ব্লগের দু শ'রও বেশি ব্লগারের প্রোফাইল পিকচার নিয়ে বানানো একটা মিউজিক ভিডিও শেয়ার করেছিলাম। যে-সব ব্লগার ঐ সময়ে অ্যাক্টিভ ছিলেন, প্রোফাইল পিকচারগুলো তাদের ছিল।



কয়েকদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রহস্যময় কলা

লিখেছেন বিষাদ সময়, ৩০ শে মে, ২০২৪ রাত ১১:৩১




এই কলা শব্দটা আমার কাছে পুরাই বিভ্রান্তিকর। নারীদের কলা বলতে যে ছলাকলা সেটা ভালই বুঝি। সেই ছলাকলা দেখে গলা বাড়ালেই যে ষোলকলা পূর্ণ হয় সেটাও জানা। কিন্তু এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

গল্পঃ দরজা

লিখেছেন মোঃ আরিফুজ্জামান আরিফ, ৩১ শে মে, ২০২৪ রাত ১:১৬


বাইরে ঝুম বৃষ্টি। বাইরে ঘোর অন্ধকার, বিদ্যুৎ নেই। মা চুলায় খিচুড়ি দিয়েছে। ঘ্রাণে চারপাশ ছেয়ে আছে। সাথে বেগুন ভাজা, ইলিশের দো পিয়াজি, দই-কাতলা, রুই মাছের মাথা দিয়ে মুড়ি ঘন্ট,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×