শোনা যায় যুদ্ধকালে বাংলাদেশে ক্ষতিগ্রস্থ মসজিদগুলো নির্মাণের অজুহাতে গোলাম সাড়ে ৪ কোটি রিয়াল সংগ্রহ করেছিল সৌদি আরব থেকে। ধূর্ত গোলাম সে টাকার একটা বড় অংশ খরচ করে লন্ডনের ম্যানচেস্টারে একটি বাড়ি কিনে। তার ছেলে মেহেদি হাসান এখন সে বাড়িতে থাকে।
যুদ্ধের পর বাংলাদেশ সরকার মৌলবাদ ও দালালদের প্রভাব উচ্ছেদের উদ্যোগ নেয়, গোলামের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয় তখন। ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান ও লন্ডনে বসবাসের পর সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গনতন্ত্র কায়েমের লক্ষ্যে রাজনীতি উন্মুক্ত করে দিলে এর আগে নিষিদ্ধ ইসলামিক দলগুলো মাঠে নামে। গোলামকে অস্থায়ী ভিসায় বাংলাদেশ আসার সুযোগ দেয়া হয়।
গোলাম বেআইনীভাবে বাংলাদেশে থাকা শুরু করে (তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি, সে প্রকাশ্যেই চলাফেরা শুরু করে) এবং জামাতের আনঅফিসিয়াল আমির নির্বাচিত হয়। ১৯৯৪ সালে সুপ্রীম কোর্ট তার নাগরিকত্ব বহাল করে।
২০০০ সালের শেষ দিকে গোলাম প্রত্যক্ষ রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ায়। তার জায়গা নেয় আরেক ঘৃণ্য ঘাতক মতিউর রহমান নিজামী। গোলাম ১৯৬৯ থেকে ২০০০ পর্যন্ত ৩১ বছর জামাতের আমির ছিল। কাকতালীয়ভাবে তার গুরু মৌদুদীও তাই (১৯৪১-১৯৭২)। বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে জঙ্গীবাদ ও তাদের বোমা হামলার নেপথ্য শক্তি হিসেবে জামাতকে চিহ্নিত করেছে বেশ কিছু পত্রিকা আর রাজনৈতিক দল। গ্রেপ্তার হ ওয়া এসব জঙ্গীর সবাই অতীতে নিজেদের জামাত বা এর ছাত্র সংগঠন শিবিরের কর্মী ছিল বলে স্বীকার করেছে। পত্রিকাগুলোর ভাষ্য, মুলধারার রাজনীতিকে অস্থিতিশীল করে তা থেকে ফায়দা নিতে সবসময় সক্রিয় জামাত।
ছবি সংযুক্তি : গোলামের পাকিস্তান রক্ষা তহবিলের চাদার রশিদ, যুদ্ধকালে গোলামের নানা বিবৃতি যা তার যুদ্ধপরাধের বড় প্রমাণ