রাতের বেলা অফিসে কাজ করা লাগে। কখনও রাত দেড়টা, কখনও বা দুইটা। আবার রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার অভিযান শুরু হলে কথা নেই। কখন কাকে ধরে। পুরো খবরটাই পরের দিন দেওয়া চাই। জলিল, বাবর, মিন্টু, সেলিম, আলতাফের আটকের দিন ভোর হয়ে গিয়েছিল। ফজরের আজান শুনলাম অফিসে। বাসায় গেলাম সকালে। গিন্নি ছিলেন বাপের বাড়ি তাই রক্ষা। নইলে খবর হয়ে যেতো।
রাতে কাজ করতে ভালো লাগে, আবার লাগে না। কোনো কোনো দিন খারাপ লাগে না। দু একদিন মোটেই ভালো লাগে না। তবু করা লাগে।
প্রতিটি কাজের কিছু নিয়ম, কিছু চরিত্র আছে। আমার কাজটির ধরণ এই। একটেল থেকে এক ছোট সুমন ফোন করলো একটু আগে। আমিও এখনও অফিসে, এটা শুনে চোখ কপালে তুললো। পরে জানলাম, সেও অফিসে, তারও বিলম্ব রজনী।
চেয়েছিলাম কী যেন হতে! কী হতে? থাক সেটা বলা, না বলা একই কথা। এটুকু বলি, জীবনের লক্ষ্য থেকে অনেক দুর চলে এসেছি আমি।
রাত মাত্র সোয়া একটা। আজকে আর মিনিট ২০ এর মধ্যে বাসায় যাওয়ার আশা রাখি।