somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মেটামরফসিস অ্যাট বাঙলা কলেজ (১)

০৩ রা জুন, ২০০৭ সকাল ৭:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

(ইচ্ছে ছিল ছুটির দিনে উপন্যাসটা লিখি। কিন্তু বব ডিলান শুনতে শুনতে, বৃষ্টি বৃষ্টি আবহাওয়ায় নস্টালজিক হয়ে পড়লাম। উপন্যাস রাতে লিখব। এখন এটা লিখি। ব্লগের রাজনীতির লেখার মাঝে আমার লেখা বেমানান। তবু লিখি।)

সরকারী বাঙলা কলেজে আমার সবচেয়ে বেশী পরিবর্তন হয়েছে। স্কুলে আমি ছিলাম নার্ডি পড়ুয়া টাইপের বোকাসোকা একটা ছেলে। কলেজে উঠে সেই খোলশটা ছাড়ানোর সুযোগ পেলাম।

মেটমরফসিস বোঝাতে আগের কিছু কথা বলা দরকার। ব্যাপারটা নিজের ঢোল নিজে পেটানোর মত শোনাবে। অসহনশীল মানুষকে ঠিক এ জায়গা থেকে বিদায় নিতে অনুরোধ জানাচ্ছি। তবু ঘটনার প্রয়োজনে বলি।

আমার নার্ডি রূপটা আসলে দশম শ্রেণীতে প্রেমের পড়ার আগ পর্যন্ত বহাল ছিল। চিটাগাং কলেজিয়েট স্কুলে ঢুকি নবম শ্রেনীতে। তো আমার পরিচিত জনের কাছে আমি ছিলাম এক আইডল ধরনের। আশেপাশের পোলাপাইন আমার কাছে আসত পরামর্শ টর্শ চাইতে। স্বভাবতই এট্টু ভাবে থাকতাম।

তখন প্রচুর প্রচুর বই পড়তাম। আমার পড়ার গতি ছিল ভয়াবহ। তাই গোগ্রাসে গিলতাম সব কিছু। আমার বন্ধু বান্ধব ছিল সেই ধরনের, নার্ডি টাইপের।

দশম (কিংবা নবম) শ্রেনীতে প্রেমে পড়ার পর টের পেলাম আই এম নো গুড এস এ ড্যাশিং লাভার। সেই থেকে পড়া লেখা ছেড়ে ড্যাশিং হিরো হবার চেষ্টা। এইটাকে আমার পরিবর্তন না বলে একটা চেষ্টা বলা যেতে পারে। বলা বাহুল্য কৈশোরের সে প্রেম কখনই সফল হয়নাই।

টেস্ট পরীক্ষার আগে আগে সর্তক হয়ে গেলাম। টেস্টে আমাদের সেকশনে প্রথম হলাম এবং অন্যান্য সেকশনের মধ্যেও ভাল স্থানেই ছিলাম। তার আগের ব্যাচেই আঠারো জন স্ট্যান্ড করেছিল বলে আমাদের উপর অগাধ আশা ছিল তাদের।

কলেজিয়েট স্কুলে বরাবরই ছাত্রদের বেসিকের উপর জোর দেয়। আমার বাবা ছিলেন আরেক কাঠি উপর। তাই আমার বেসিক স্ট্রং করার প্রচুর চেষ্টা করা হলেও আমার কখনই ৫০০ প্রশ্ন ব্যাঙ্ক মুখস্ত থাকত না। নিজেকে জ্ঞানী ভেবে কখনও চেষ্টাও করি নাই।

ফলাফল যা হবার তাই হল- প্রতিটা অবজেকটিভে আমার ৩০-৩৫ এর বেশী নম্বর ছিল না। প্রশ্ন ব্যাঙ্কের সেই শেষ স্বর্ণালী বছরে আমি নম্বর খরায় আক্রান্ত হয়ে মেট্রিক পাস করলাম - স্ট্যান্ড তো দুরের ব্যাপার। এছাড়া অবশ্য অন্যান্য ছোটখাট কারনও ছিল - কিন্তু সেগুলো উল্লেখ করে গল্পের মূল পয়েন্টটা নষ্ট করতে চাই না।

যেটা ঘটল সেটার জন্য আমি মোটেই প্রস্তুত ছিলাম না। কলেজ ভর্তি গুলো হল সব নাম্বারের ভিত্তিতে। তাই আমার পছন্দ লিমিটেড হয়ে পড়ল। আমার বাবা কার সাথে যেন কথা বলে দেখলেন এক সরকারী কলেজে পড়লে ট্রান্সফার করা সম্ভব হয় আরেক সরকারী কলেজে। সে লোক কি কি সব আশ্বাসও দিল আব্বাকে। তাই আমি ভর্তি হলাম বাঙলা কলেজে। বলা বাহুল্য সেই লোক কখনও তার আশ্বাস রাখেননি।



(পরের পর্বে থাকবে আমার প্রতি সবার দৃষ্টিভঙ্গীর পরিবর্তন এবং আমার উপলব্ধি)
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জুন, ২০০৭ সকাল ৭:১৭
১২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×