somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দাঁতের ডাক্তার আর জন্মদিনের উপহার

০২ রা জুন, ২০০৭ রাত ৩:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জন্মদিনে আমার মেজাজ বরাবর তিরিক্ষি থাকে। একটা কারণ,মাসের ৩০ তারিখ,আমার পকেটে থাকেনা টাকা-পয়সা,যে কয়দিন ধরে কিছু পাই আরকি। বন্ধু-বান্ধবকে খাওয়াতে হলেও ধার করে খাওয়াতে হয়। আরেকটা কারণ,পরিচিত মানুষজন আমার জন্মদিন ভুলে যায়,সেটা কি আমাকে গুরুত্বপূর্ণ কেউ না ভাবায় নাকি মাসের শেষে উপহার দেবার ভয়ে,ঠিক নিশ্চিত হতে পারিনি। এবার মেজাজ আরো খারাপ ছিল,গেছি খালার বাড়িতে,ঢাকার বাইরে,ভাবলাম সবাই একসাথে আছে,এবার কেউ না কেউ মনে রাখবেই। এর মাঝে উঠলো দাঁতে ব্যথা,গেলাম ডাক্তারের কাছে,ডাক্তার আন্টি দেখে বললেন,২টা দাঁত খতম,রুট ক্যানাল করাতে হবে,অনেকদিনের ধাক্কা। কি আর করা,প্যাঁচার মত মুখ করে বললাম করেন,কি করবেন! এরপরে কাজ শুরু,ডাক্তারকে দেখে সুন্দরী নরম স্বভাবের মানুষ মনে হয়েছিল,কিন্তু বজ্রমুঠিতে চোয়াল ধরে যখন চিমটা আর কাঁটা নিয়ে দাঁতগুলিতে গুঁতানো শুরু করলেন,মনে হলো সিনেমার ভ্যাম্প।
যাই হোক,জন্মদিনে ভালো কিছু খাওয়াদাওয়ার আশায় ছিলাম,গেলো। বাসায় ফিরে সন্ধ্যা থেকে মুখ গোমড়া করে বসে আছি। কারো মনেহয় মনেও নেই। সময় যাচ্ছে,রাত ১১টার দিকে দেখি,বড় আপা ওভেন আর কেক বানানোর জিনিসপত্র নিয়ে ব্যস্ত,জিজ্ঞেস করতে বললো,খেতে না-ই পারলি,তাই বলে জন্মদিন হবে না নাকি? সত্যি সত্যিই দেখি অত রাতে কেক বানিয়ে ফেললো,ছোট বোন কই থেকে যেনো ১টা মোমবাতিও যোগাড় করে ফেললো,এরপরে চিরাচরিত মোম নেভানো,ঐ ছোট্ট কেক কাটা,৪ জন মিলে হাততালি(ছোটখালাও ছিলো),হইচই।আপনজন কাকে বলে,মনে হয় আরো একবার বুঝতে পারলাম।
ঠিক ১২টার একটু পরে,পাগলা দোস্ত লাব্বুশের এসএমএস,"হ্যাপি বার্থডে দোস্ত",তারপরে টুমপুর ফোন,না,আসল না,আমার পাতানো বোন,ভাইয়া হ্যাপি বার্থডে। সেটা ছাড়তেই,চরম কাঠখোট্টা বন্ধু দিপুর এসএমএস,ওর মতই শুকনো,তা-ও কি ভালো---"হ্যাপি বার্থডে"। এরপর সুমিতের--"হ্যাপি বার্থডে,কই খাওয়াবি,আমি ফ্রি আছি"। নিঝুমের--" হ্যাপি বার্থডে ভাইয়া"। একটার পর একটা।মনে মনে বলছি,কে বললো বাবা কেউ তোমাকে মনে রাখেনা? তোমার মত ভাগ্যবান কয়জন আছে? কয়জনের ঋণ শোধ করলে এই জীবনে? না-ই বা হলো বড় কোন দোকানে খাওয়াদাওয়া,না-ই বা মিললো খুব দামী কোন উপহার,নিজের আপনজনদের এত ভালোবাসার ঋণ কিভাবে শোধ করবে,ভেবেছ কখনো? এর দাম তো অনেক অনেক বেশি,তোমার তো সাধ্য হবেনা বদলি দেবার।
শুভ জন্মদিন রাজন!!!
৩৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কথাটা খুব দরকারী

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ৩১ শে মে, ২০২৪ সকাল ৯:৩৪

কথাটা খুব দরকারী
কিনতে গিয়ে তরকারি
লোকটা ছিল সরকারি
বলল থাক দর ভারী।

টাকায় কিনে ডলার
ধরলে চেপে কলার
থাকে কিছু বলার?
স্বর থাকেনা গলার।

ধলা কালা দু'ভাই
ছিল তারা দুবাই
বলল চল ঘানা যাই
চাইলে মন, মানা নাই।

যে কথাটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

অতিরিক্ত বা অতি কম দুটোই সন্দেহের কারণ

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ৩১ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৩০

অনেক দিন গল্প করা হয়না। চলুন আজকে হালকা মেজাজের গল্প করি। সিরিয়াসলি নেয়ার কিছু নেই৷ জোসেফ স্টালিনের গল্প দিয়ে শুরু করা যাক। তিনি দীর্ঘ ২৯ বছর সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রধান নেতা ছিলেন। বলা... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সীমানা পিলার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ৩১ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৮



বৃটিশ কর্তৃক এদেশে ম্যাগনেটিক পিলার স্থাপনের রহস্য।
ম্যাগনেটিক পিলার নিয়ে অনেক গুজব ও জনশ্রুতি আছে, এই প্রাচীন ‘ম্যাগনেটিক পিলার' স্থাপন নিয়ে। কেউ কেউ এটিকে প্রাচীন মূল্যবান ‘ম্যাগনেটিক’ পিলার... ...বাকিটুকু পড়ুন

মাথায় চাপা ভূত ভূত ভূতং এর দিনগুলি

লিখেছেন শায়মা, ৩১ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৫


এই যে চারিদিকে এত শত কাজ কর্ম, ঝামেলা ঝক্কি, ক্লান্তি শ্রান্তি সব টপকে আমার মাথায় আজও চাপে নানান রকম ভূত। এক ভূত না নামতেই আরেক ভূত। ভূতেদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিজের পাসওয়ার্ড অন্যকে দিবেন না ;)

লিখেছেন অপু তানভীর, ৩১ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:৫৭



কথায় আছে যে পাসওয়ার্ড এবং জাঙ্গিয়া অন্যকে দিতে নেই । মানুষ হিসাবে, বন্ধু হিসাবে প্রেমিক/প্রেমিকা হিসাবে অথবা আজ্ঞাবহ হওয়ার সুবাদে আমরা অন্যকে ব্যবহার করতে দিই বা দিতে বাধ্য হই।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×