আকাশটা ছুঁতে বড্ড ইচ্ছে হত, ইচ্ছেটা সেই ছোট বেলা থেকে। আকাশ কি ছোয়া যায়? ওই বয়সে সরল বিশ্বাসে যাই বুঝেছি তাতেই ভাবনার সমস্ত আকাশ জুড়ে একটা ইচ্ছে প্রবল হয়ে সবসময় মাথাচাড়া দিত আকাশ ছুঁতেই হবে। তাইত ছোটবেলার স্মৃতিতে যতটুকুন মনে পড়ে কাচা পাকা গ্রামের বাড়ীতে মই দিয়ে বাড়ীর ছাদে উঠে আকাশ ছুঁতে চেষ্টা করতাম। সময়ের প্রবাহমান স্রোতে যতই এগিয়ে চলেছি আকাশ ছোয়ার সাধটা ততই পূর্ণ করার সুপ্ত ইচ্ছা মনের ভিতর বারবার উকি দিয়েছি। ছোট স্কুল পড়–য়া জীবনে তাই খেলাচ্ছলে খেলনা তীরটা আকাশের পানে ছুড়ে দিয়েছি, আকাশটাকে ছুয়ে যদি আবার ফিরে আসে। বড় স্কুল জীবনেও ভাবনার ডানা মেলে আরও সুবি¯তৃত হয়েছে, বড় স্কুলের ৫তলা ছাদে উঠে হাত দুটো উচিয়ে দিয়েছে, বড় থেকে আরো বড় হয়ে যখন ২০ তলা অফিসের একজন চাকুড়ে আকাশটা তখন আরো কত কাছে, ইচ্ছে করলেই যেন হাত বাড়িয়ে দিলেই ছুতে পাড়ব।
কল্পনার আকাশ ছোয়ার সাথে বাস্তবের আকাশ ছোয়ার ইচ্ছাও যে অজান্তেই মনে জন্ম নিয়েছে তা কিছুটা আঁচ করার আগেই বাস্তবের আকাশ প্রায় ছুই ছুই। বাস্তবের আকাশ ছোয়ার নেশায় আমার অর্জন, প্রাপ্তি আমাকে আকাশের সুউচ্চ সমান করেছে।
আজ বয়সের ভারে ভারাক্রান্ত, সেই ছোটবেলার কল্পনার আকাশ ছোয়া যদিও কখনো সম্ভব হয়নি, আর আজ তার খুব কাছাকাছি। আকাশের পানে তাকিয়ে স্বপ্নে বিভোর শৈশব, কৈশেরে যে কল্পনাগুলো লালিত করেছি, আকাশকে ছোয়ার পণ করেছি, আর এখন আকাশ আমাকেই ছুতে যাচ্ছে।
আমি আকাশের পথে রওনা হওয়া অপেক্ষমান এক পথযাত্রী।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মে, ২০০৭ সকাল ১০:৫৮