২৯.০৫.০৭
জলপাই, অপছন্দ যে কারণে...
দারফুরে সেনা বিদ্রোহ, মানবিক বিপর্যয়
আফ্রিকার কতদেশে মানুষ পানীয় জলের অভাব
আর এইডসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুপ্রহর গুণে যায়!
সেখানে ঈশ্বরের রঙ হয়তো কেবলই
সুস্থতা কিংবা নিঃরঙ জলের আকাঙ্ক্ষার বেদীতে খাবি খায়।
ফিলিস্তিনে প্রতিদিন রক্ত-মৃত্যু, পরাধীন জাতি ঐখানে
স্বাধীনতা খুঁজে ফেরে
তাদের ঈশ্বর ধরা দেবে মুক্তির রেপ্লিকায়।
একমুঠো স্বস্তির মাটির জন্যে ইরাক-আফগানিস্তান
নিরন্তর লড়ে যায়।
তাদের ঈশ্বর নিঃশ্বাস নেবে খোলা ভূখন্ডে
এমন আগুন প্রতি মানুষের বুকে জ্বলন্ত হায়!
গণতন্ত্র উর্দি তলে বুটের নীচে পিষে যায়
পাকিস্তান তেমন বার্তা নিয়ত শোনায়।
পাকিদের ঈশ্বর আর্মিবিহীন জাতির জন্যে
মোনাজাত তোলে আকাশ সীমায়।
বিভ্রমের দেশে চব্বিশ টাকা কেজি চাল
আশি টাকা সয়াবিন এর লিটারে
ধরপাকড়ের নারদ নৃত্যে নিত্য সমবায়;
তাদের ঈশ্বর এখন আর মানুষের মাঝে নয়
বিরাজ করে জলপাই রঙ এর সামিয়ানায়।
জলপাই দেয় না তিনবেলা খাবার নিশ্চয়তা,
রাস্তায় নিরাপত্তা, বিবিধ গ্রেফতার দেয় না
নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুত, আরও আরও মৌলিক চাহিদা
পূরণের একবিন্দু আশ্বাস-
জলপাই হলো জনতাকে মেরে অস্ত্রের তলে
ঘুরবার এক প্রাচীন তেল, যা রেঁধে যায়
অখাদ্য মধ্যাহ্ন রাতের ভোজন
কখনো বা প্রাতঃরাশ।
সত্যি আমার-ই খাজনায় জলপাই গাছে ধরে
এমন বিষাক্ত ফল যা নিজে খাদ্য নয়
আমাকে খাদ্য ভাবার প্রক্রিয়ায় লিপ্ত থাকে বারোমাস।
কোথায় প্রীতিলতা-জাহানারা, কোথায় ক্ষুদিরাম?
একবার এসো, সেই পিতার মতো ভালোবাসো
আমি অকৃত্রিম কৃষকের ফলানো সর্ষের তেলে
আবার রাঁধবো তোমাদেরই জন্যে কথা দিলাম।