পায়ের তলায় সরছে মাটিঃ গুগলের বেড়ে ওঠা
প্রঃ গুগল ব্যাবহার করেন?
উঃ এটা কোন প্রশ্ন হল?
ব্লগে লেখা পড়ছেন, মানে অনলাইনে আছেন, মানে ইন্টারনেট ব্যাবহার জানেন, মানে আন্ধা না হলে অবশ্যই গুগল ব্যাবহার করেন। টের পেয়েছেন গত দুসপ্তাহে গুগল যে একেবারে পালটে গেছে? এখনকার গুগল যে সেই গুগল নাই যেটা আমরা গত সাত বছর ধরে ব্যাবহার করছি এটা সেই গুগল না! ভিতরের কাজ মোটামুটি ঠিক থাকলেও আর বাকি সব খোলনলচে পালটে ফেলা হয়েছে। গুগল প্রথম তার বিজয়যাত্রা শুরু করেছিল সার্চ দিয়ে, তারে কিছু জানতে চাইলে সারা পৃথিবী খুঁজে জবাব বের করে দিত। তারপর শুরু হল ছবি খোঁজা, যার সম্পর্কে জানতে চান, তার ছবি খুঁজে দিবে। তারপর এলো খবর, তারপর ম্যাপ আরো কত কি। ২০০৪ সালে ঠাট্টাচ্ছলে শুরু হল জিমেইল। রাতারাতি ইমেইলের সংজ্ঞাই পালটে দিল। নেট ব্যাবহারকারী একটি বড় জনগোষ্ঠী জিমেইলের ভিতরে নিজেদের জীবনকে ট্রান্সফার করা শুরু করল। আমিই আমার সম্পর্কে যা জানি তার চেয়ে মনে হয় গুগল কম জানে না, বরঞ্চ অনেক নিখুঁত স্মৃতি আর দুর্দান্ত গতি নিয়ে হয়ত বেশিই জানে। জিমেইলে চ্যাট আর চ্যাট হিস্ট্রি ঢুকিয়ে, মাথার ভিতরের চিন্তাগুলোরও রেকর্ড রাখা শুরু করল। ধীরে ধীরে অর্কুট, ব্লগার আর ইউটিউবের অধিগ্রহণের সাথে সাথে সম্পুর্ণ সোশাল নেটওয়ার্কিং সার্কেল সম্পুর্ণ করে ফেলল। সাথে সাথে নাক গলালো আরো বেশীরকম পার্সোনালাইজেশনে। লাগালো ক্যালেন্ডার, ফটো আর গ্রুপস।
ধ্যাত্তেরি, কি নিয়ে লিখতে গিয়ে সবকিছু নিয়ে টান দিলাম। মূল পয়েন্ট হল, কিন্তু এই কিছুদিন পর্যন্ত একটা কাঁচের দেয়াল অসম্ভব শক্তিশালী এই টুলগুলোকে রেখেছিল। তাই টেক্সট সার্চ করলে খালি ওয়েব পেজ আসত, আর ছবি খুঁজলে ছবি, ভিডিও খুঁজলে ক্লিপ। শেষ পর্যন্ত সেই ব্যাবধান আর থাকছে না। এবারে মহামতি গুগল ঠিক করলেন যা এবার সব একসাথে। গুগলে খুঁজলে একই সাথে ওয়েব, ছবি, ভিডিও আর খবর। সাথে ম্যাপ বা ফাইনানশিয়াল তথ্য থাকলে তাও। তাই আমাদের অনলাইনের পৃথিবীটা আর আগের মত নাই। নতুন পৃথিবীতে স্বাগতম।
মজার আরেকটা তথ্যঃ গুগলের প্রতিষ্ঠাতা দুজনেই যে ইহুদী সেটা জানতেন? আমি টের পেলাম যখন দেখলাম যে দুজনের একজন সার্গেই ব্রিন বিবাহ করিয়াছেন ইহুদী রীতি মোতাবেক। ভাবলাম আচ্ছা? এত্তোকিছু বাদ দিয়ে এইটা কেন? আরেকটু খোঁচাখুঁচি করতে দেখলাম যে ভদ্দরলোক নিজে ইহুদী আর তার দোস্তও একই ব্যাকগ্রাউন্ডের প্রোডাক্ট। তাতে কি বদলালো? তেমন কিছুই না, নিউরোনে জমানোর জন্য আরেকটা এক্সট্রা তথ্য। আশাকরি রাগিব ভাইয়ের বলা গুগলের "খাইষ্টামি করব না" নীতিতে সে নিজেই যেন থেকে যেতে পারে।
অলরেডী সবখানে নাক গলানোর রীতির জন্য অনেকেরই একটু এমতে এমতে লাগা শুরু করেছে। দেখাই যাক সামনে কি অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য। তাই ভবিষ্যতের গুগলের প্রজেকশনের একটা ছবি দিলাম।
আজন্ম হিরো মিস্টার টি কে খুঁজুন গুগলে
আইনের ফাঁকফোকর-০৩
যেকোনো চাকরির নিয়োগের পরীক্ষা চলছে। সেটা পাবলিক সার্ভিস কমিশন, বিভিন্ন সংস্থা, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক বা উপজেলা পর্যায়ের কোনো কার্যালয়ে হতে পারে। এই নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হতে পারে। একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন
গল্পঃ অনাকাঙ্ক্ষিত অতিথি
(১)
মাছ বাজারে ঢোকার মুখে "মায়া" মাছগুলোর উপর আমার চোখ আটকে গেল।বেশ তাজা মাছ। মনে পড়লো আব্বা "মায়া" মাছ চচ্চড়ি দারুণ পছন্দ করেন। মাসের শেষ যদিও হাতটানাটানি চলছে তবুও একশো কুড়ি... ...বাকিটুকু পড়ুন
ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।
ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন
সিকান্দার রাজার চেয়ে একজন পতিতাও ভালো।
সিকান্দার রাজা কোকের বোতল সামনে থেকে সরিয়ে রাতারাতি হিরো বনে গেছেন! কিন্তু তাকে যারা হিরো বানিয়েছেন, তারা কেউ দেখছেন না তিনি কত বড় নেমকহারামি করেছেন। তারা নিজেদেরকে ধার্মিক বলে দাবি... ...বাকিটুকু পড়ুন
ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা
সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন