নামাযের ব্যাপারে মাহি চরিত্রের বিপরীতে গিয়ে হয়ে উঠতে পারে আক্রমনাত্মক। এইখানে সে কাউকে ছাড় দিতে রাজি নয় । ওযু সেরে , ইয়া আল্লাহ , ইয়া মাবুদ করতে করতে দৌঁড়েছে যোহরের নামায ছুটে যাওয়ার ভয়ে । একটু পরেই প্র্যাক্টিকাল ক্লাস শুরু হবে । টিচারটা একটা আস্ত ......... । নামাযের কথা বলে দেরী করে ঢুকার প্রশ্নই উঠে না । বরং , প্রকৃত মুমিনদের "পাঙ্কচুয়ালিটির " উপরে একটা ঝাড়ি শুনতে হতে পারে ।
জায়নামাযটা কোন মতে বিছিয়ে শুরু করতে না করতেই এই বিপত্তি । বেশ একটা মারকুটে ভাব ছিলো শুরুতে , কিন্তু চোখের সামনে আপাদমস্তক ঢাকা শরীর,হাতে জায়নামায আর সাদা সাদা দাঁতের ফাকে গোলাপী এক টুকরো জিব কেটে দন্ডায়মানা ( দন্ডায়মানের স্ত্রী লিঙ্গ কি?) কে দেখে মাহি নিজেই থতমত ।
এবার মাহজাবিন নিজেই একটু নড়ে ওঠে । " আই বেগ ইওর পারডন ! আই ওয়াজ ইন সাচ হারি টু প্রে দ্যাট "
মাহি পরিস্থিতি বুঝে দ্রুতই উত্তর দেয় ।
ডিয়ার , নো এপোলজিস প্লিজ। উইল বোথ বি লেইট ।
কৃতজ্ঞ নয়নে কয়বার পলক ফেলে হাসি মুখে দাঁড়িয়ে পড়ে মেয়েটা ।মাহি চিনতে পেরেছে । বাংলাদেশ থেকে এসেছে , ইউনিতে নতুন। মাহির সাথে হাই হ্যালোর সুযোগ না হলেও জেসির কাছ থেকে শুনেছে , মেয়েটা বেশ মিশুকে । হাসি - খুশি উচ্ছল । লাঞচের সময় দেখা করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কথা ছিলো । সেই তুলনায় এই দেখাটা অনেক বেশি মজার !
ক্লাসের ফাঁকে নামাযের জন্য দৌড়ায় যেই মেয়ে , তাকে মাহির ভালো না লেগেই যায় না । মন বলছে , জমে যাবে!
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:৩০