somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কারে মিলিয়াছি কারে ভূলিয়াছি

১৬ ই মে, ২০০৭ বিকাল ৩:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সূর্যের সাথে পাল্লা দিয়ে বারো ঘন্টা আকাশভ্রমণ করে নামলাম আবার লন্ডনে। প্রায় দেড়মাস সময় একদম ঝাঁ করে পার হয়ে গেল। অন্যান্যবারের চেয়ে এবারের দেশ ফেরত একটু আলাদা ছিল। এবার দেখা হয়েছিল অনলাইন কমিউনিটির সাথে অফলাইনে। কার কার সাথে কি হইল তারই একটা মিনি ফিরিস্তি দিয়ে দেই। পরে কখনো আঙ্গুল চুলকালে বিস্তারিত লিখব।

****ফোনে হ্যালো করেছি যাদের****
ঝড়ো হাওয়াঃ
দু দফা ফোন পেয়েছিলাম হ্যালো আমি ঝড়ো হাওয়া বলে। কাছের থেকে ঘনিষ্ঠতা করার সুযোগ পাইনি।

তিমুরঃ
ফোনে কেতাবাদি বিষয়ক কিছু আলোচনা হয়েছিল। ভবিষ্যতের কীর্তিমান লেখক/অনুবাদকের ছায়া, কায়া পাওয়া গেছিল ফোনেই। আরো কিছু কথা বলার ছিল বাংলাবাজার সূত্রে, পরে আর ফোন পাইনি।

শুভঃ
ফ্রীডমের শুভভাই নিজেই ফোন করেছিলেন। বেশ মজার আলাপ হল। খুব ধরাধরি করেছিলেন ওনার কর্মস্থলে যাবার জন্য। ঢাকার বাইরে দেখে ইচ্ছা থাকলেও সময়ের চাপে দেখা হয়নি। আমি ঢাকায় থাকতেই ওনার কিছু বই অনলাইনে বিক্কিরি হয়েছিল। দুজনেই খুশিঃ)

কৌশিকঃ
বিখ্যাত কৌশিকের ফোন পেয়েছিলাম আমি! যদিও মার্কেটিং সূত্রে। ফোনে আমাকে বাকী বিল্লাহ ভাইয়ের ফোন আর ছাপাকলের ঠিকানা দিয়েছিলেন।

রাসেলঃ (...) ??
মতলব আমি ঠিক শিওর না এই রাসেল ভাইয়ের সাথেই ফোনে কথা হয়েছিল কিনা। ছাপাকলের হত্তাকত্তা। ফোন ছাড়া দেখা নাই।

শেখ জলিলঃ
চলে আসার আগের রাতে হটাত মিসকল। কলব্যাক করতেই দেখি আমি শেখ জলিল বলছি। দেখা করার জন্য অত্যান্ত আন্তরিক আমন্ত্রণ জানালেও সময়ের লিমিটের কারণে চান্স পাইনি।

****দেখা হয়েছে যাদের সাথে****
শাহানা(বিড়ালীঃ)
সামহোয়ারের অফিসে দেখা হয়েছিল বিলাই আপার সাথে। অল্প এক দুলাইন হাই হ্যালো ছাড়া বিশেষ জমে নাই।

হাসানঃ
সামহোয়ারের বয় জিনিয়াসের সূত্রেই অফিসে যাওয়া। ম্যালা টাইম নিয়ে সেদিন সব ঘুরিয়ে দেখিয়েছিল। আরো এক দুবার বসার ইচ্ছা ছিল মাগার টাইম পাই নাই।

আরিল্ডঃ
ব্লগের অফিশিয়াল মালিক। নর্ডিক, বাস্তববাদী, আইটি পাব্লিক। আর কি লাগে? আধাঘন্টার যে সিটিংটা দিসিলাম, হোল লাইফ মনে থাকবে।

ত্রিভূজঃ
তিন চারবার ফোনে বাক্যালাপের পরে দেখা করা ঠিক হল। পনের মিনিটের মাথায় বসুন্ধরা সিটির আটতলায় পৌছাতে হবে। রাত বাজে তখন ৮টা। টাইমের ভিতরেই পৌছায়ে দেখি তেকোনার খবর নাই। একটু পরে ফোন। বান্দা পৌছায়ে গেসে। খুজাখুজি করে দেখি সেই যথারীতি লিকলিকে শুকনা এক ছোকরা মোটা চশমা পরে ঘুরাঘুরি করছে ফোন হাতে আমারে মিসকল দিবার ধান্দায়। পেছন থেকে ঘাড়ে হাত রাখলাম। ফরিদ ভাই? চমকে উঠল ছোকরা। তারপর? আরেকদিন বলব নাহয়

বাকী বিল্লাহঃ
বাসার পাশেই ছাপাকলের অফিস। কৌশিকের ফোনে গেলাম সেখানে। গিয়ে দেখি পিচ্চি অফিস সেখানে সোফা/চেয়ারে এক বান্দা ঝিমাই/ঘুমাইতেসে, তারে ডাকাডাকি করে তোলার পরে জানলাম বাকীসাব নাই, কিছু সময় পরে আসবে। যাই হোক কিছু সময় পরে বস এলেন, কথাবাত্তি হইল, পরে আর দেখা হয় নাই।

নাজমুল আলবাবঃ
২০ ঘন্টার জন্য গেছিলাম সিলেটে। উদ্দেশ্য এক দুজন কাছের মানুষের সংসর্গ। সময়ের আগেই কাজ সেরে ভাবছিলাম দেখে যাই নাজমুল আলবাবের অফিস। গেলাম সাইবার ক্যাফেতে, গিয়ে ওয়েবসাইট ঘেঁটে (বৈদেশীগোর লাহান) ঠিকানা বের করলাম। পরে মনে হল বেকুবের মত ১৫ টাকা খরচ না করে, নিউজস্ট্যান্ড থেকে দেইখা নিলেই হইতঃ(। যাই হোক গেলাম অফিসে, রিসিপশনের ঝাক্কি পার হবার পর অফিসে ঢুকে দেখি সদালাপী ব্যাস্তমতন একজন কম্পিউটারে কাজ করছেন। সোজা গিয়ে বললাম, আমি ফরিদ, দেখি পাবলিক তাকায়ে আছে, বললাম বইমেলা ডট কম। মনে হল আসমান থেকে পড়ল। বিশ্বাসই করতে পারেনি আমি কোথা থেকে কোথা হয়ে যাব। পরের আধা ঘন্টা খুব আনন্দে কাটল।

আরাফাতুল ইসলামঃ
আরাফাতের ঘাড় ভাঙ্গিয়া পিজ্জা হাট চলিয়াছে। বিস্তারিত কহিলাম না। আরো অনেকেই ভাংচুরের এটেম্পট নিতে পারেঃ)

ফয়সাল আরেফিন দীপনঃ
জাগৃতি প্রকাশনীর মালিক পরিচিত বন্ধুজন। সাধারণত অনলাইনে লেখেন না, কিন্তু সিনিওর ব্লগার সবার সাথেই পরিচয় আর কমেন্ট করার মাঝেই নিজের এক্টিভিটি গুটিয়ে রাখেন। বছর পরে দেখা হতেই কোক মিষ্টি হল। বই কেনা বেচাও হল।

****দেখা হয়নি যাদের সাথে****
রাগুদিঃ
ভাবসিলাম কতা হইবে। যোগাযোগ হইল না। মাইন্ড খাইসিঃ(
মাহবুব সুমনঃ
বইলা কইয়া দেশে আইসা আমার খবর নিলেন না! আমি নাহয় পিয়াল ভাইয়ের লাহান বিয়া করি নাই, তাই বলে এত দোষ?

ছবিটা বাটার মোড়ে থেকে নেয়া। এলিফেন্ট রোডে
৮টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মৃত্যু ডেকে নিয়ে যায়; অদৃষ্টের ইশারায়

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৩৯

১৯৩৩ সালে প্রখ্যাত সাহিত্যিক উইলিয়াম সমারসেট মম বাগদাদের একটা গল্প লিখেছিলেন৷ গল্পের নাম দ্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইন সামারা বা সামারায় সাক্ষাৎ৷

চলুন গল্পটা শুনে আসি৷

বাগদাদে এক ব্যবসায়ী ছিলেন৷ তিনি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিরে এসো রাফসান দি ছোট ভাই

লিখেছেন আবদুর রব শরীফ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৮

রাফসানের বাবার ঋণ খেলাপির পোস্ট আমিও শেয়ার করেছি । কথা হলো এমন শত ঋণ খেলাপির কথা আমরা জানি না । ভাইরাল হয় না । হয়েছে মূলতো রাফসানের কারণে । কারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুমীরের কাছে শিয়ালের আলু ও ধান চাষের গল্প।

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৪০



ইহা নিউইয়র্কের ১জন মোটামুটি বড় বাংগালী ব্যবসায়ীর নিজমুখে বলা কাহিনী। আমি উনাকে ঘনিষ্টভাবে জানতাম; উনি ইমোশানেল হয়ে মাঝেমাঝে নিজকে নিয়ে ও নিজের পরিবারকে নিয়ে রূপকথা বলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×