বাচ্চাদের জন্য
এইসব কবিতা কী ভাবে লেখলাম? সেই গল্পটা তোমাদেরকে বলি। আমার একটা মেয়েবাচ্চা আছে। একদম তোমাদের সমান। সেই মেয়ে বাচ্চাটাকে না মেয়েবাচ্চা বললে সে যে কী যে রাগ করত। সে তার মায়ের সাথে। অনেক দূরে একটা গ্রাম। সেইখানে থাকে। সারাদিন সে খেলে। পুকুরের পাড়ে কলাগাছের পাতার উপরে বক উড়ে এসে বসে। সে বক দেখে। তারপর পানির উপর দিয়ে সাপ ভেসে বেড়ায়। গুইসাপ সরসর করে ধানেেতর ভিতরে চলে যায়। বেজি দৌড় মারে। সে কলার পাতা ছিঁড়ে ছিঁড়ে চুল বানায়। মাথায় পরে। সাদা লাল হলুদ কত ফুল সে সারাদিন ধরে তোলে। সেই গ্রামের অন্য বাচ্চারাও তার সঙ্গে খেলতে আসে। একটা কুকুরের বাচ্চা আর অনেকগুলা বিড়ালের বাচ্চা আছে তার। সারাদিন সে শুধু খেলে আর খেলে। লেচুর গাছের তলে যায়। লম্বা লেজঅলা রঙিন পাখিরা তাকে দেখে এক ডাল থেকে অন্য ডালে উড়ে গিয়ে বসে। খাওয়ার কথা তার মনেই থাকে না।
সেই মেয়েটা তার দাদুর সঙ্গে বসে বসে বক লেখে। সে তো কথা লিখতে পারে না। কিন্তু সে তো আবার কবি। না লেখতে পারলে তো তার কবিতাগুলো হারিয়ে যাবে। এখন কী করা যায়! না, সে লেখতে পারে না বলেই কি তার কবিতাগুলো হারিয়ে ফেলা যায়! তারচে বরং আমিই তার কবিতাগুলো লিখে দেই না কেন। লিখতে লিখতে দেখি কি এই কবিতাগুলো হয়ে গেল। এগুলো তো তোমাদেরকে পড়ানো দরকার। তাই যার কবিতা তার নামেই এই বইয়ের নাম দিচ্ছি তুনির কবিতা। তুনির কবিতা যদি তোমাদের ভালো লাগে তাহলে তুনির আব্বু খুব খুশি।